আসসালামু আলাইকুম, উস্তাদ।
কিছু বিষয় এ জানার ছিল,,
১.একাকিত্ব আল্লাহ তায়ালার এক বিশেষ নিয়ামত, একা থাকলে গীবত মুক্ত থাকা যায়,গুনাহ কম হয়।যথেষ্ট বিনয়ের পর ও কেউ যদি বাজে আচরণ করে,কষ্ট দেয়,দূর্বল মনে করে আঘাত করে তবে কি তাদের থেকে দূরত্ব মেইনটেইন করা যাবে,মানে কম কথা বলা যাবে কি,,এই মুহুর্তে করনীয় কি?
২.পরিপূর্ণ পর্দা মেইনটেইন এর ক্ষেত্রে,নিকাব পরিহিত অবস্থায় বাসায় বা বাইরে পরিচিত কারো সাথে কথা বলা বা উনি যদি কোন প্রশ্ন করেন,উত্তর দেয়া যাবে কি?
৩.আমার নানার আপন ভাই,উনি অনেক বয়স্ক,বয়স ৬০+ হবে। উনার সামনে নিকাব ছাড়া যাওয়া যাবে কি?
৪.আমরা যারা জেনারেল লাইনে পড়াশুনা করি, অনেক সময় ক্লাসে,ভাইভা তে আমাদেরকে মাস্ক /নিকাব খুলতে বাধ্য করা হয়,এই অবস্থায় আমাদের কি করা উচিত?
৫.প্রশ্ন টা এক বোনের,,আলহামদুলিল্লাহ, তিনি কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করেন,হালাল হারাম মেইনটেইন করেন।আপুর মা,তিনিও নামাজ পরেন,আলহামদুলিল্লাহ। তবে তিনি এখনো পরিপূর্ণ ভাবে দ্বীনের বুঝ পান নি,তবে সন্তানদের দ্বীন পালনে সর্বোচ্চ সাপোর্ট দেন।উনার রাগ একটু বেশি।মাঝে মাঝে তিনি তার সন্তানদের প্রতিও অবিচার করেন,বকা দেয়া,বাজে বিহেভ করেন। সবসময় তার নিজের আত্মীয়দের প্রায়োরিটি দেন বেশি,বাবার আত্নীয়দের অনেক কম,কারণ তারা এক সময় তাকে অনেক কষ্ট দিত যা তিনি ভুলতে পারেননি। এছাড়াও আরো অনেকভাবে তিনি পরিবারে অধিকার খাটান,ব্যাপারটা এমন যে উনি যা বলবেন তাই ঠিক।পরিবারে সমস্যার মেইন টপিক হলো আত্নীয়স্বজন।বান্দার হক এই বিষয় আপু কিছু বলতে গেলে,বুঝাইতে গেলে অল্পতেই তার মা তাদের উপর রেগে যান,অসন্তুষ্ট হন।বাস্তবিকপক্ষে সন্তান এটা বলতে চায় যে,এটা জুলুম হচ্ছে, ভুল হচ্ছে, অন্যায় হচ্ছে।ইসলামের দৃষ্টিকোন থেকে বুঝানোর চেষ্টা করেন।কিন্তু তিনি কোনভাবেই মানতে রাজি না।উল্টো আপুর উপর রাগ হন।এমন কিছু বলেন যার এক পর্যায়ে আপুও উচু গলায় কথা বলেন।যার ফলে উনার মা কষ্ট পান।কিন্তু তিনি কষ্ট দিতে চান না,অবাধ্য হতে চান না,তিনি চান তার মা ভুল বুঝতে পেরে নিজেকে শুধরে নিক,দ্বীনের পথে আসুক।রাগের মাথায় আপু তখন কথা বলে ফেলেন। এই অবস্থায় কি আপু অন্যায় মেনে নিয়ে চুপ থাকবে,এখন উনার কি করা উচিত??
৬ নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা উত্তম পরিকল্পনাকারী,এমন একটা জিনিস আমরা চাইছি,যা বাস্তবিকভাবে কল্লাণকর মনে হচ্ছে,এক্ষেত্রে প্রথমে দুয়া করছি,হে আল্লাহ আপনি যা ভালো মনে করেন তাই করুন।কিন্তু হঠাত করেই মন পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে, আবার দুয়া করছি,হে আল্লাহ এই জিনিসটা পাইয়ে দিন,এতে কল্লাণ দিন।এমনটা করা কি ঠিক হবে, একারনে আমার গুনাহ হচ্ছে কি?