আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
131 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। একটা বিষয় জানা খুবই জরুরী।অনুগ্রহ করে এপ্রুভ করবেন।আমার বিয়ের কথা চলছে,তাই জানা খুবই জরুরী।

ছোটবেলায় একবার বিয়ে বিয়ে খেলার ছলে একজনার সাথে বিয়ের মত হয়।
তখন আমার বয়স ৭/৮ বছর,ছেলেটার বয়স ৮/৯ বছর এবং ওখানে যেসব বাচ্চারা ছিলো তাদের বয়স ১০/১১ বছরের মধ্যেই ছিলো।দু এক জনার ১২/১৩ হতে পারে যারা ছেলে ছিলো।

ওখানে আমাকে কবুল বলতে বলে,আমি বলি।ছেলেও বলে।কোনো মোহর নির্ধারণ বা ছেলেপক্ষ,মেয়েপক্ষ ছিলো না।স্রেফ বিয়ে বিয়ে খেলার ছলে এটা হয় এবং।ঘটনা এ পর্যন্ত ই শেষ।কোনো রকম শারিরীক সম্পর্ক বা এরকম কিছুই হয়নি।দুজনেই নাবালক ছিলাম।এবং বিয়ে নিয়ে স্বচ্ছ কোনো ধারণা ছিলো না।
উল্লেখ্য যার সাথে বিয়ের এই খেলা হয় সে সম্পর্ক আমার আপন ফুফাতো ভাই এর ছেলে।উল্লেখ্য সেখানে আমাদের কারো অভিভাবক উপস্থিত ছিলো না।পরে তারা তা হয়ত জেনেছেন,জেনে থাকলেও তা খেলা হিসেবেই নিয়েছেন।

এ বিষয়টি নিয়ে খুবই ডিপ্রেশনে আছি।যদি সত্যিই বিয়ে হয়ে থাকে,তাহলে তো অন্য জায়গায় বিয়ে বৈধ হবে না।না হয়ে থাকলে তো আলহামদুলিল্লাহ। হয়ে থাকলে আমার করণীয় কি।অনুগ্রহ করে জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (567,240 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান হলো যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক (বালেগ) সমঝদার (বুঝবান) সাক্ষ্যির সামনে প্রাপ্ত বয়স্ক (বালেগ) পাত্র ও পাত্রি (বালিগাহ)  যদি প্রস্তাব দেয় এবং অপরপক্ষ তা গ্রহণ করে নেয়, তাহলে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়। অভিভাবকের সম্মতি থাকুক বা না থাকুক। অভিভাবক জানুক বা না জানুক।

তবে যদি গায়রে কুফুতে বিবাহ করে, তথা এমন পাত্রীকে বিবাহ করে, যার কারণে ছেলে বা মেয়ের পারিবারিক সম্মান বিনষ্ট হয়, তাহলে পিতা সে বিয়ে আদালতের মাধ্যমে ভেঙ্গে দিতে পারে। যদি কুফুতে বিবাহ করে, তাহলে পিতা এ অধিকারও পাবে না।
,
এক্ষেত্রে কাজি বা হুজুরের কোনো প্রয়োজন নেই।  


عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ؛ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «الْأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا.


হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মেয়ে তার ব্যক্তিগত বিষয়ে অভিভাবকের চেয়ে অধিক হকদার। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৮৮৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৪২১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৮৮৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২০৯৮, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৩৪, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১০৮, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৩২৬০, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪০৮৪, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৩৫৭৬}

আরো জানুনঃ-

হানাফি মাযহাব মতে অভিভাবক নাবালক-নাবালিকার বিয়ে তাদের সম্মতি ব্যতীতও দিতে পারবে।তবে ঐ নাবালক-নাবালিকা অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত কোথাও বিয়ে বসতে পারবে না।এবং বিয়ে করলেও সেটা বাতিল বলে গণ্য হবে।কেননা নাবালক থাকার ধরুণ শরীয়ত তাদের কাজকে সমর্থন দিবে না। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি যেহেতু সেই সময় নাবালেগাহ ছিলেন,সুতরাং প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার সেই বিবাহ শুদ্ধ হয়নি। 

আপনার অন্য জায়গায় বিয়ে বৈধ হবে,এতে কোনো সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...