আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
537 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আমি একজন মেয়েকে ভালোবাসতাম। কিন্তু আমি সাবলম্বী না হওয়ায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতে পারছিলাম না। আমি আমার বাইরে দেশে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ভাবছিলাম ভিসা হয়ে গেলে একটা কথা দিয়ে যেতে পারবো। কিন্তু সেই সময় আর মিললো না। মেয়েটাকে এক প্রকার জোর করেই বিয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্নভাবে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে। আকদের দিনও অনেক ঝামেলা হইছে। বিয়েটা ভাংতে ভাংতে হইছে। কিন্তু মেয়েটা সুখী হতে পারছে না। তার ভাবনায় এখনো আমি। ওই ছেলেটার সাথে এডজাস্ট করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তাও মা-বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে চেষ্টা করছে। ওর চেহারা দিনে দিনে বিমর্ষ হয়ে যাচ্ছে, ভেতরে ভেতরে কুকড়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাইরে থেকে কাউকে বুঝতে দিচ্ছে না। ছেলেটাকে বলছেও ডিভোর্সের কথা। কিন্তু সে ডিভোর্স দিবে না। কারণ সমাজে জানাজানি হইছে এই ভয়ে। তথাকথিত সমাজের ভয়ে কী এভাবে একজন মেয়ের সব ইচ্ছা-আকাংখা বিসর্জন দিতে হয়? আর ছেলেটাও যে যে কথা দিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিছিল বিয়ে আকদের পর সেগুলো বাস্তবায়ন করতে সময় নিচ্ছে। ওদের বাসা তোলার কথা ৩ মাসের মধ্যে। কিন্তু প্রায় দুই মাস হয়ে যাচ্ছে ঘর তুলছে না। বলতেছে এখন বৃষ্টির দিন, বৃষ্টির দিন শেষ হলে কাজ ধরবে। আবার বলে এখন পুরো বাসা একসাথে কাজ করতে পারবে না, টাকা নাই। অথচ বিয়ের আগে প্রতিশ্রুতি দিছিল কাবিনের ৩ মাসের মধ্যে ঘর তুলবে। আর ওদের ক্যাশ টাকা না থাকলেও ১০ বিঘা জমি দামী জায়গায় আছেম সেগুলো কিছু  বিক্রি  করে ঘর তুলবে। কিন্তু এখন না কী ওইগুলো বিক্রি করতে পারবে না। মেয়েটার পরিবারও এখন কেন ছেলেটাকে ছাড় দিচ্ছে বুঝতেছিনা। মেয়ে কী ওদের গলার কাটা ছিল এতোদিন কোনরকম বিয়ে দিতে পারলেই বাচি এই অবস্থা না ও বানের জলে ভেসে এসেছিল? মেয়েটা অনেক কষ্টে আছে। না পারছে কাউকে কিছু বলতে না পারছে সইতে।এমনাবস্থায় আমি এখনো ওকে আমার স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে রাজি। আমার এই চাওয়া কী শরীয়তসম্মত? আমি কি ওকে পাওয়ার জন্য দোয়া ও আমল করতে পারি?

1 Answer

+1 vote
by (709,320 points)
জবাবঃ-
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ও প্রেম ভালবাসা হারাম।সুতরাং অতীত জীবনের জন্য খালিছ নিয়তে আল্লাহ কাছে ক্ষমা চান।

মহিলার যদি তার স্বামীকে পছন্দ না হয়,সে তার স্বামীর নিকট খুলার আবেদন করতে পারবে।খুলা হলো,নিজের মহরকে মাফ করে দিয়ে বা ফিরিয়ে দিয়ে বিনিময়ে সে তার স্বামীর কাছে তালাক চাইবে।স্বামী রাজী না হইলে প্রাপ্ত মহর থেকে বেশীও কিছু দিতে পারবে।স্বামী রাজী না হলে কাযী সাহেব বা কোর্টে তালাকের আবেদন করবে।তখন কাযী সাহেব বা কোর্ট তালাক প্রদানের জন্য স্বামীকে মজবুর করবে।কিংবা কোর্ট নিজেই বিবাহ ভঙ্গের ফয়সালা দিয়ে দিবে।

অন্যর স্ত্রীকে নিজের জন্য কামনা করা বা নিজের করে পাওয়ার জন্য দু'আ যিকির করা আল্লাহ বিধিনিয়মে সীমালঙ্ঘনের শামিল।সুতরাং কোনো ব্যক্তি পরস্ত্রী বা পরস্বামীকে নিজের করে পাওয়ার জন্য দু'আ, যিকির করা কখনো জায়েয হবে।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
.............. وَعَسَى أَن تَكْرَهُواْ شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَعَسَى أَن تُحِبُّواْ شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ وَاللّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ
..........পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।(সূরা বাকারা-২১৬)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...