السلام عليكم ورحمة الله وبركاته أستاذ
গতকাল আমি আর আমার ভাই(বয়স তার ১৭) আসরের নামাজ বাসায় আদায় করি তাকে ইমামতি দাঁড় করিয়ে,{প্রায় সময় এভাবে আমি-আমার ছোট ভাই-মাঝেমধ্যে আব্বুসহ বাসায় জামাত করি-কখনো বৃষ্টির ফলে বাড়ীর সামনে পানি উঠে যাওয়াতে-অসুস্থতায়, জামাতের প্রস্তুতি নিতে নিতে মসজিদের জমাত ছুটে যাবে এই প্রবল আশংকায়}
এতে কয়েকটি মাস'আলা জানতে চাই,
১। নাবালেক ইমামের পিছনে কি সব রকমের নামাজ(ফরজ/ওয়াজিব/সুন্নত/নফল) বালেকের ইক্তিদা হয় না?/নামাজ হয় না?চাই সে হাফিজ হোক না কেন?
২। নাবালেকের বয়সের সময়সীমা ইসলামি শরীয়ায় কতটুকু সময়/কত বছর পর্যন্ত থাকে?
৩। নাবালেক নিজেরা নিজেদের নিয়ে জামাত করতে পারবে কিনা?
৪। এভাবে প্রায়সময় বাসায় জামাত করে ফেলাটা কেমন?-অনেকসময় প্রায় মাদ্রাসাগুলোতেই দেখি মসজিদ ২মিনিটের দূরত্বে থাকলেও তারা নিজেরা নিজেদের সুবিধামতো নিজেদের মাঝে জামাত করে ফেলে-এ বিষয়েও জানাবেন দয়া করে,
৫। আমার ছোট ভাইয়ের পিছনে ইক্তিদা করায় নামাজ সহীহ হবে কিনা?
মূল মাস'আলায় আসি, গতকাল আসরের নামাজে আমার প্রবল ধারণা ছিলো সে ২য় বৈঠক দেয় নাই,তার প্রবলধারণা ছিলো দিয়েছে, আমার লোকমা দেওয়ায় সে গ্রহণ করে শেষ বৈঠকে সাহু সিজদা দিয়ে নামাজ শেষ করে, পরে আমাকে জানায় তার প্রবল ধারণা সে অবশ্যই দিয়েছে, ফলে তার মতে ৫রাকাত হয়ে গেলো এবং সেই রাকাতেই সিজদায় সাহু দিলো, আমার প্রবল ধারণামতে ২য় রাকাতে বৈঠক না করায় ৪র্থ রাকাতে সিজদায় সাহু দিয়েছে
- এখন এতে নামাজ শুদ্ধ হয়েছে কিনা? নাকি দোহরাতে হবে?
-এতে কার প্রবলধারণা গ্রহণ করতে হবে-(নামাজে এবং নামাজের বাহিরে)
-সে যেহেতু আমার লোকমা গ্রহণ করেছে এক্ষেত্রে সহীহ কারটা ধরা হবে?
- এগুলোর বিস্তারিত মাসায়েল জানাবেন দয়া করে,
এক জায়গায় পেয়েছি,
"নামাযে রা'কাত বা সেজদা সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হলে,যে ঐ ব্যক্তির কি এটা প্রথম হয়েছে না মাঝেমধ্যে এমন হয়।যদি প্রথমবার বা কদাচিৎ হয়ে তাহলে উনি আবার প্রথম থেকে শুরু করে নতুনভাবে পড়ে নিবেন।
(মুছান্নাফে ইবনে আবি শাইবা ২/২৮)"
এটি কি তবে প্রায়সময় যেহেতু আমাদের ভূল হয় না- উপরের হাদীসের বিধান কি আমাদের উপর বর্তাবে?
আবার এটি আমাদের ইচ্ছাকৃত কোনো ভূল নয়, এমন ভূল যা আমাদের সন্দেহে পতিত করে অনিচ্ছাকৃতভাবেই।
বিষয়গুলো বিস্তারিত খোলাসা করে মাস'আলা জানাবেন আশা করছি,
জাযাকাল্লাহু খাইরান উস্তায।