আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
87 views
in সালাত(Prayer) by (6 points)
edited by
আসসালামু -আলাইকুম

১/ উস্তাদ, কোনো কারণ ছাড়া জামাতে না গিয়ে  বাসায় সালাত পরলে সেই সালাত কি হবে?

২/কিংবা বাসায় সালাত পরলে কি গুনাহ হবে?

৩/ কোরআনে বলা আছে,"তোমরা রুকুকারীদের সাথে রুকু করো"। এই আয়াতের ভিত্তিতে জামাতে সালাত আদায় করা কি ওয়াজিব নাকি অন্য কিছু?

উপরোক্ত বিষয়গুলো দলিলের মাধ্যমে উপস্থাপন কামনা করছি।

জ্বাযাকাল্লাহ <!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_211030_222131_982.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

জবাবঃ-


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَن ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ قَالَ مَنْ سَمِعَ النِّدَاءَ فَلَمْ يُجِبْ فَلاَ صَلاَةَ لَهُ إِلاَّ مِنْ عُذْرٍ

ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আযান শোনে অথচ (মসজিদে জামাআতে) উপস্থিত হয় না, সে ব্যক্তির কোন ওজর ছাড়া (ঘরে নামায পড়লেও তার) নামাযই হয় না।
(ইবনে মাজাহ ৭৯৩, ইবনে হিব্বান, হাকেম ৮৯৩, ত্বাবারানী ১২১০০, বাইহাক্বী ৪৭১৯, সহীহ তারগীব ৪২৬)

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ : فَقَدَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَوْمًا فِي الصَّلَاةِ فَقَالَ : " مَا خَلَّفَكُمْ عَنِ الصَّلَاةِ " . قَالُوا : لِحَاءٌ كَانَ بَيْنَنَا . فَقَالَ : " لَا صَلَاةَ لِجَارِ الْمَسْجِدِ إلََّا فِي الْمَسْجِدِ " . هَذَا لَفْظُ ابْنِ مَخْلَدٍ وَقَالَ أَبُو حَامِدٍ : " لَا صَلَاةَ لِمَنْ سَمِعَ النِّدَاءَ ثُمَّ لَمْ يَأْتِ إلََّا مِنْ عِلَّةٍ

জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদল লোককে নামাযে উপস্থিত পাননি। তিনি বলেন, নামায থেকে তোমাদের কিসে পিছিয়ে রেখেছে? তারা বলেন, আমাদের মধ্যকার বিবাদ। তিনি বলেন, মসজিদের প্রতিবেশীর জন্য মসজিদ ব্যতীত নামায হয় না।

মূল পাঠ ইবনে মাখলাদ (রহঃ)-এর। আবু হামেদ (রহঃ)-এর বর্ণনায় আছে, যে ব্যক্তি আযান শোনার পর ওজর ব্যতীত মসজিদে এলো না তার নামায হয় না।
(সুনানে দারা কুতনি ১৫২২)

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ بُرْقَانَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الأَصَمِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ فِتْيَتِي أَنْ يَجْمَعُوا حُزَمَ الْحَطَبِ ثُمَّ آمُرَ بِالصَّلاَةِ فَتُقَامَ ثُمَّ أُحَرِّقَ عَلَى أَقْوَامٍ لاَ يَشْهَدُونَ الصَّلاَةَ "
وَقَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُمْ قَالُوا مَنْ سَمِعَ النِّدَاءَ فَلَمْ يُجِبْ فَلاَ صَلاَةَ لَهُ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ هَذَا عَلَى التَّغْلِيظِ وَالتَّشْدِيدِ وَلاَ رُخْصَةَ لأَحَدٍ فِي تَرْكِ الْجَمَاعَةِ إِلاَّ مِنْ عُذْرٍ .

আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমার ইচ্ছা হয়, আমি আমার যুবকদের কাঠের স্তুপ সংগ্রহ করার নির্দেশ দেই, অতঃপর নামায আদায়ের নির্দেশ দেই এবং ইকামাত বলা হবে (নামায শুরু হয়ে যাবে), অতঃপর যেসব লোক নামাযে উপস্থিত হয়নি তাদের (ঘরে) আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেই।
নাবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের বহু সংখ্যক সাহাবী হতে বর্ণিত আছে, তারা বলেছেন, যে ব্যক্তি আযান শুনার পরও জামা'আতে উপস্থিত হয়নি তার কোন নামায নেই। কিছু বিশেষজ্ঞ আলিম বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জামাআতের গুরুত্ব বুঝাতে এবং জামা'আতে অনুপস্থিত ব্যক্তিকে ভৎসনা করার জন্য এরূপ বলেছেন। কোন উপযুক্ত কারণ ছাড়া কারো পক্ষে জামা'আতে অনুপস্থিত থাকার অনুমতি নাই।
(তিরমিজি ২১৭)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই! 

তুহফাতুল আহওয়াযি গ্রন্থে এসব হাদীসের ব্যাখ্যায় আছেঃ
(وقال بعض أهل العلم: هذا على التغليظ والتشديد) يعني: أن قول الصحابة: "من سمع النداء فلم يجب فلا صلاة له" ليس على ظاهره، بل هو محمول على التغليظ والتشديد.
সারমর্মঃ
""আযান শোনার পরেও মসজিদে জামা'আতে যোগদান না করে ঘরে নামাজ পড়লে তার নামাযই হয় না""
এটির দ্বারা জামা'আতের প্রতি কঠোরতা আরোপ করা হয়েছে।
নামাজ হবেনা,বিষয়টি এমন নয়।

★প্রশ্নে নামাজ আদায় হয়ে যাবে,তবে গুনাহ হবে।
,
(০২)
ওযর বশত এমনটি হলে কোনো সমস্যা নেই।
তবে ওযর ছাড়া বাসায় সালাত আদায় করলে গুনাহ হবে। 
তবে নামাজ আদায় হয়ে যাবে।   

(০৩)

জামাতে নামায পড়া পুরুষদের জন্য সুন্নাতে মু'আকক্কাদাহ। মু'আক্কাদাহ দ্বারা ওয়াজিব উদ্দেশ্য।

বিস্তারিত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 103 views
0 votes
1 answer 95 views
0 votes
1 answer 88 views
...