ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে যে,
«وَيَنْقَسِمُ إلَى وَاجِبٍ، وَهُوَ الْمَنْذُورُ تَنْجِيزًا أَوْ تَعْلِيقًا، وَإِلَى سُنَّةٍ مُؤَكَّدَةٍ، وَهُوَ فِي الْعَشْرِ الْأَخِيرِ مِنْ رَمَضَانَ، وَإِلَى مُسْتَحَبٍّ، وَهُوَ مَا سِوَاهُمَا هَكَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ.»
- «الفتاوى الهندية» (1/ 211)
ইতিকাফ তিন প্রকার যথা- (১) ওয়াজিব ইতিকাফ, যা নযর বা মান্নতের জন্য কারো উপর ওয়াজিব হয়েছে। (২) সুন্নতে মুআক্কাদা ইতিকাফ, তা হল রমজানের শেষ দশ দিনের ইতিকাফ।(৩) মুস্তাহব ইতিকাফ, এছাড়া সকল ইতিকাফকে মুস্তাহব ইতিকাফ বলা হয়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
16195
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনি একদিন একরাত রোযা সহ নফল ইতিকাফ করবেন। আপনার সুন্নত ইতিকাফ আর হবে না। বরং নফল ইতিকাফ হবে।
(২) ইতিকাফ অবস্থায় ইতিকাফ স্থলে বসে খাবার লাগবে কি না? এসব জিজ্ঞেসা করা হলে উত্তর দেয়া যাবে। ইতিকাফ ফাসিদ হবে না।
(৩) ইতিকাফ স্থল থেকে বের হয়ে ১ মিনিটের মতো সময় মায়ের সেবাযত্ন করার দ্বারা সুন্নত ইতিকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে। রোযা সহ একদিন একরাত ইতিকাফ কা'যা করতে হবে।
(৪) ১/২ দিন পর পর ঠান্ডা অর্জনে নিমিত্তে রুমের বাহিরে গিয়ে গোসল করলে ইতিকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে।
(৫)ওয়াশরুমে গিয়ে ফেসওয়াশ দ্বারা মুখ ধৌত করতে যদি অজুর সময় থেকে বেশী সময় ব্যায় না হয়, তাহলে ইতিকাফ ফাসিদ হবে না। নতুবা ফাসিদ হয়ে যাবে।