জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয়, এমন ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়।
মহান আল্লাহ তাআলার কালাম তিলাওয়াতের বিশেষ নিয়ম ও আদব রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا
কুরআন তিলাওয়াত কর ধীরস্থির ভাবে, স্পষ্টরূপে। -সূরা মুযযাম্মিল (৭৩) : ৪
হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
زينوا القرآن بأصواتكم
সুন্দর সূরের মাধ্যমে কুরআনকে (এর তিলাওয়াতকে) সৌন্দর্যমণ্ডিত কর। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৬৮
নামাজে আস্তে কিরাআত হোক,বা জোড়ে আওয়াজে কিরাআত হোক, এমন ভাবে তেলাওয়াত করতে হবে যে,যার দ্বারা নামাজ ছহিহ হয়ে যাবে,অর্থ বিকৃত হবেনা।
এই ভাবে শুদ্ধভাবে পড়ার জন্য বারবার মশক করতে হবে,মাখরাজ তথা কোথহা হতে এই হরফ উচ্চারণ হচ্ছে,সেটি ভালো ভাবে ধরতে পারলেই নামাজে আস্তে কিরাআতের সময়েও বড় হা আর ছোট হা এর মধ্যে পার্থক্য করে পড়তে পারবেন।
কোনো সমস্যা হবেনা।
এই পার্থক্যটি না করতে পারলে,যদি উভয় হা হুবহু মিলে যায়,তাহলে অনেক সময়েই অর্থ বিকৃত হয়ে যায়,যাতে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
,
তাই বেশি বেশি মশক করা দরকার।
এক্ষেত্রে স্থানীয় মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন বা অন্য কোনো আলেমের সহযোগিতা নিতে পারেন।
আরো জানুনঃ
,
,
★★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِنَّمَا النَّجْوَىٰ مِنَ الشَّيْطَانِ لِيَحْزُنَ الَّذِينَ آمَنُوا وَلَيْسَ بِضَارِّهِمْ شَيْئًا إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ ۚ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ
এই ওয়াসওয়াসা তো শয়তানের কাজ; মুমিনদেরকে দুঃখ দেয়ার দেয়ার জন্যে। তবে (এই ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি করে) সে মুমিনদেরকে চুল পরিমাণ ক্ষতি করতে পারে না, আল্লাহর হুকুম ছাড়া। মুমিনদের উচিত আল্লাহর উপর ভরসা করা। (সূরা মুজাদালাহ ১০)
ওয়াসওয়াসার নেপথ্যে থাকে শয়তান। তার উদ্দেশ্য হচ্ছে– ঈমানদারদেরকে কষ্ট দেয়া।
আর হাদীস শরীফে এসেছেঃ
মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যার সঙ্গে জিন এবং ফেরেশতাদের মধ্য থেকে কাউকে সঙ্গী নিযুক্ত করা হয়নি।’ সাহাবারা বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনার সঙ্গেও কি জিন সঙ্গী নিযুক্ত আছে? রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, হ্যাঁ, আমার সঙ্গেও আছে। তবে আল্লাহ তাআলা তার ওপর আমাকে বিজয়ী করেছেন, ফলে সে আমার অনুগত হয়ে গেছে। সে আমাকে কল্যাণকর কাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজের পরামর্শ দেয় না।’ (সহিহ মুসলিম)
অন্য হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের প্রত্যেকের সাথেই একজন ফিরিশতা এবং একজন শয়তান জুড়ে দেয়া আছে। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেনঃ আপনার সাথেও? তিনি উত্তরে বললেনঃ হ্যাঁ, তবে আল্লাহ আমাকে তার উপর সহযোগিতা করেছেন, ফলে সে আত্মসমৰ্পন করেছে, বা আমি নিরাপদ হয়ে গেছি, সে আমাকে ভাল কাজ ছাড়া আর কোন কিছুর নির্দেশ দেয় না। [মুসলিমঃ ২৮১৪]।
,
★সুতরাং বুঝা গেলো যে শয়তানের আলামদের মনেও ওয়াসওয়াসা দিতে পারে।
,
ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্তির আমল সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ