আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
43 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম,

১.https://ifatwa.info/95279/ এখানে ১ নং প্রশ্নের উত্তরে অনুতপ্ত বলতে কি গুণাহের জন্য দুঃখ পাওয়া বুঝায়?

আর আমি ১ নং এর উত্তর মতে আমি গুণাহ এর জন্য অনুতপ্ত হয়ে গুণাহ উচিত হয়নি ও আল্লাহর অবাধ্যতা হয়েছে এইটা মনে মনে বললাম ও উপলধ্বি করলাম ।আর সাথে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিলাম যে গুণাহ‌ আর কোনদিন করবো না।আর আস্তাগফিরুল্লাহা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুমু ওয়া আতুবু আলাইহি পড়লাম

আমার তওবা হবে ?আর এই ইস্তিগফারে শব্দ উচ্চারণে কোন ভুল হলে তা ঐ ভুলটা ঠিক করার জন্য রিপিট করলাম তাহলে তওবা তে কোন সমস্যা হবে?

২.আমার আব্বু পরকীয়ায় আসক্ত। এরজন্য টাকা পয়সা ভালো মতো দেয়না।কাল ইফতারের টাকা দিতে অস্বীকার করেছে।আমি বলেছি শুধু পঞ্চাশ টাকা দিতে ইফতারের জন্য।তা দিতে অস্বীকার করায় আমি একটু জুড়াজুড়ি করি। তবে যথাসম্ভব অনুচ্চস্বরে কথা বলি। এরপর আমার আব্বু ইফতার কিনে দেয়।আমি যতটুকু চেয়েছিলাম তারচেয়েও বেশি কিনে দেয়। যদিও এতকিছু কিনার জন্য জোর করিনি।আর ইফতারের টাকা না দিলেও অবশ্য ইফতার করতে পারতাম।তবুও টাকা চেয়েছি। আমার ধারনা আব্বু হয়ত স্বেচ্ছায়ই দিয়েছে।এখন আমি জানতে চাই আমার জোড়াজুড়ি জায়েজ হয়েছে?আর ইফতারী খাওয়া কি জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (687,520 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
অনুতপ্ত বলতে গুণাহের জন্য মহান রবের দরবারে লজ্জিত হওয়া বুঝায়।
দুঃখ পাওয়াও বুঝায়।

প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার তওবা শুদ্ধ হবে।
সমস্যা নেই।

(০২)
আল্লাহ তা'আলা মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা এবং তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।তাদের অবাধ্য হওয়াকে হারাম ঘোষনা দিয়েছেন।এ বিষয়ে সমস্ত উলামায়ে কেরাম ঐক্যমত পোষণ করে থাকেন।

মা বাবার সর্বদায় আনুগত্য করতে হবে,তাদের কথার নাফরমানী করা যাবেনা।
তাদের সাথে সর্বদায় ভালো ব্যবহার করতে হবে।
তারা কষ্ট পায়,এমন কাজ কখনোও করা যাবেনা।

তাদের হক বা অধিকারসমূহ এবং তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করা সন্তানের ওপর ওয়াজিব বা আবশ্যক।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ إِحْسَانًا ۖ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ كُرْهًا وَوَضَعَتْهُ كُرْهًا ۖ وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا

“আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস।” (সূরা আহকাফ-১৫)

আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন,

وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُل لَّهُمَآ أُفٍّ وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلاً كَرِيمًا

তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।(সূরা বনী ইসরাঈল-২৩)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বেয়াদবি না করে থাকলে আপনার জোড়াজুড়ি জায়েজ হয়েছে।
ইফতারী খাওয়াও জায়েজ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...