আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
132 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম আমার কয়েকটি প্রশ্ন ছিল।এর উত্তর দিলে উপকৃত হব।

১.নামাজের সময় ভুল করে হাচি কাশি আসলে নামাজ কি ভেঙ্গে যাবে?

২.আসরের নামাজের সময় ভুল করে মুখ থেকে হালকা আওয়াজ বের হয়(ব্যাথা পেলে আহা বা উহু আওয়াজ বের হয় এমন না) এতে কি আমার নামাজ ভেঙ্গে গেছে?

৩.ক্লাসে যখন স্যার থাকে না তখন অনেকে বেলকনিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে অথচ ওইখানে দাঁড়ানো নিষেধ।আর অনেকে তখন বেঞ্চ ছেড়ে ক্লাসে দুষ্টুমি করে আর টিচার আসলেই বসে যায়?

৪.ক্লাসের মধ্যে অনেকে বিনা কারণে মার দেয় তখন আত্মরক্ষা বা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বেঞ্চ ছেড়ে তাকে মারতে যাওয়া কি যায়েজ হবে?

৫.শয়তানের ওয়াস ওয়াসার ফলে মনের মধ্যে ইচ্ছা অনিচ্ছায় খারাপ কথা, গালিগালাজ এসে পড়ে।এতে কি আমার গুণাহ হবে?

৬.তওবা ও ইস্তেগফারের মধ্যে পার্থক্য ও সম্পর্ক কি?

৭.একটা হাদীসে আছে "আস্তাগফিরুল্লাহ হাল্লাযী লা ইলাহা ইল্লা হুয়ার হাইয়ুল কাইয়ুম ওয়া আতুবু ইলাইহি" এই ইস্তেগফারটি পড়লে জিহাদের ময়দান থেকে পালিয়ে আসলেও আল্লাহ মাফ করে দিবেন।এখন আমি যদি কোন গুণাহ করার যদি এই ইস্তেগফারটি পড়ি তাহলে কি আমার সকল কবিরা,সগীরাহ গুণাহ মাফ? এর জন্য তওবা করা লাগবে না?

৮.ভুলবশত যদি কারো হক নষ্ট করি তাহলে কি তা আদায় করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (707,360 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
নামাজের সময় ভুল করে হাচি বা কাশি আসলে নামাজ ভঙ্গ হবে না।

(২)
নামাযে ক্রন্দনের সবব বা কারণ যদি শারিরিক কষ্ট বা কোনো বিপদাপদ হয় তাহলে এর দ্বারা নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা তখন সেটাকে মানুষের কথা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
আর যদি ক্রন্দনের সবব জান্নাত-জাহান্নমের আলোচনা হয়, তাহলে এদ্বারা নামায ফাসিদ হবে না। কেননা তা মানুষের কথা হিসেবে বিবেচ্য হবে না বরং তা বেশী তাকওয়া ও ভয়ের উপর প্রমাণ করবে। এবং এটাই নামাযের আসল উদ্দেশ্য। সুতরাং তা তাসবীহাতের অন্তর্ভূত থাকবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/431

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার নামায ফাসিদ হবে না।

(৩)
এমনটা করা কখনো উচিৎ না।

(৪)
মাফ করে দেওয়াই নববী সুন্নাহ।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/19877

(৫)
না,গোনাহ হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379

(৬)
তাওবাহ অর্থ অতীতের গোনাহের জন্য তাওবাহ করা।আর ইস্তেগফা অর্থও ক্ষমা চাইওয়া।তাওবাহ তিনটি শর্ত। অর্থাৎ ঐ কাজ ছেড়ে দিয়ে বর্তমানে পরিত্যাগ করা এবং ভবিষ্যতে না দৃঢ় সংকল্প করা।

(৭)
এমন কোনো কথা আমরা জানি না। তবে এই দু'আ বিশুদ্ধ এবং এই দু'আর অনেক ফযিলত রয়েছে।

(৮)
ভুলবশত কারো হক নষ্ট হলে, তাহলেও তা আদায় করতে হবে অথবা তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...