আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (87 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অয়া বারকাতুহু।

১/ একজন ব্যক্তি হারাম ভাবে অনেক উপার্জন করল। যেহেতু সে হারাম পথ বেছে নিয়েছে, সুতরাং বিষয়টা কি এমন যে সে হালাল পথ বেছে নিলে একি পরিমাণ উপার্জন করত?

২/ দুনিয়াবি বিভিন্ন ফলাফল ও কি রিযিক বা ত্বাকদীর। তাহলে পরিশ্রম কম বেশি করেও ফল সর্বদা সমানুপাতিক হয় না কেন।

৩/ কে কতটুকু পরিশ্রম করবে বা আমল করবে তা কি নির্ধারিত?

৪/ যদি নির্ধারিত হয়ে থাকে, তবে কে আল্লাহ এর কতটুকু প্রিয় হবে সেটাও তো নির্ধারিত, তাহলে তো চেষ্টা করলেও একটা লিমিট এর বেশি কেও প্রিয় হতে পারবে না। তাহলে উপায় কি মানুষের?

৫/ তাহলে কি বেশি উপার্জন এর জন্য, বা ভালো ফলাফল এর জন্য, বা বেশি ইলম অর্জন, আমল এর জন্য বা বেশি প্রিয় হবার জন্য আল্লাহ এর নিকট দুয়া করা যাবে?

৬/ এবং দুয়া এর দ্বারা কি রিযিক পরিবর্তন হতে পারে অর্থাৎ তাকদ্বীর এ যা আছে তা থেকে বৃদ্ধি পেতে পারে?

৭/ আল্লাহ বলেছেন যাকে ইচ্ছা রিযিক বৃদ্ধি করে দেন তাহলে নির্ধারিত কেন বলা হয়ে থাকে?

৮/ দুনিয়াবি কাজ যেমন খাদ্য গ্রহণ, বিবাহ, দুনিয়াবি পড়াশুনা, ব্যবসা বাণিজ্য, দুনিয়াবি চাহিদা মেটানো ইত্যাদি কি ইবাদাত এ রূপান্তর করা যায় কিংবা সাওয়াব পাওয়া যায় এর দ্বারা? এর জন্য শর্ত কি?

৯/ জান্নাতে এ একজন পুরুষ এর সাথে দুনিয়ার ২ জন স্ত্রী থাকবেন যা হাদিস থেকে জানা যায়। এবং এর সাথে কি আরো জান্নাতি হুর থাকবে?

১০/ বিশেষ বর্ণিত কোনো হুর প্রাপ্তির জন্য বা অধিক সংখ্যক হুর প্রাপ্তির জন্য কি দুয়া করা জায়েজ?


জাযাকাল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (714,120 points)
অতীব জরুরী ও সাধারণ মাস'আলা মাসাঈল আয়ত্বে না থাকার কারণে দৈনন্দিন জীবনে দ্বীন-ইসলাম পালন করতে, যে সমস্ত দ্বীনি ভাই-বোন থমকে দাড়ান,এবং যাদের দ্বীনি ইলম অর্জনের কাছাকাছি কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নেই, মূলত তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস .....
মুহতারাম/মুহতারামাহ!
দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।
মতবিরোধপূর্ন প্রশ্নগুলো উত্তর দেওয়ার জন্য স্থান, কাল, পাত্র অনেক কিছুই জানার প্রয়োজন হয়। যেটা অনলাইনে জানা সম্ভব হয় না।
তাই এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।
তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত  জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের  আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,
ۚفَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।(সূরা তাওবাহ-১২২)

সুতরাং আপনাকে বলবো, আপনি বিস্তারিত জানতে স্ব-শরীরে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন।
প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরোও বাড়িয়ে দিক, আমীন!!


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...