আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)

ফতওয়াঃ-   "যে জান্নাতি নারী বিবাহিতা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে, তবে তার স্বামী যদি জাহান্নামি হয়, তখন সে জান্নাতে প্রবেশের পর সেখানে অনেক পুরুষ দেখতে পাবে, যারা বিয়ে করেনি অথবা বিয়ে করেছে; কিন্তু তাদের স্ত্রী জাহান্নামি। তাদের থেকে পছন্দমাফিক একজনকে স্বামী হিসেবে বেছে নিতে পারবে। (মাজমু ফাতাওয়া ওয়া রাসায়েলে ইবনে উসাইমিন : ২/৩৮)"

আমার প্রশ্ন হলঃ-

১। এখানে জাহান্নামি বলতে চিরস্থায়ী জাহান্নামী নাকি শাস্তির পর জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাতীর কথা বুঝানো হয়েছে?

২। (জরুরি)    স্বামী-স্ত্রী দুজনই যদি চিরস্থায়ী জাহান্নামী না হয়, অর্থাৎ শাস্তির পর জান্নাতী, তখন একজন যদি আগে বের হয়, তাহলে কি একজন আরেকজনের জন্য অপেক্ষা করতে পারবে? বা সাময়িকভাবে জাহান্নামে শাস্তিরত তার দুনিয়ার সঙ্গিকে চাইতে পারবে? কুরান-সুন্নাহ কি বলে?

 

                                                                                                                                           -জাজাকাল্লাহ খায়রান।

1 Answer

0 votes
by (675,800 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
উম্মে সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! যদি কোনো নারী দুনিয়ায় একাধিক স্বামীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে থাকে আর নারীর মৃত্যুর পর জান্নাতে প্রবেশ করে এবং তার স্বামীরা প্রত্যেকেই জান্নাতে প্রবেশ করে, তাহলে তাদের মধ্যে কে ওই নারীর স্বামী হবে? রাসুল (সা.) বলেন, হে উম্মে সালামা! ওই নারী নিজের পছন্দমতো তার স্বামীদের থেকে যে কাউকে বেছে নিতে পারবে। আর নিঃসন্দেহে সে উত্তম চরিত্রের স্বামীকেই বেছে নেবে। ওই নারী আল্লাহর কাছে আরজ করবে, ‘হে আল্লাহ! এ ব্যক্তি দুনিয়ায় আমার সঙ্গে সবচেয়ে ভালো আচরণ করেছে। অতএব তার সঙ্গেই আমায় বিয়ে দিন।’ হে উম্মে সালামা! উত্তম চরিত্র দুনিয়া ও আখিরাতের সব কল্যাণের মাঝে উত্তম। 
(তাবরানি)

আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘একজন নারী তার সর্বশেষ স্বামীর জন্যই থাকবে।’ (জামে সাগির : হাদিস : ৬৬৯১, সিলসিলা সহিহাহ, হাদিস : ১২৮১)


التذکرۃ: (ص: 562، بیروت)
قال ھشام بن خالد: من میراثه من اھل النار یعنی رجالا دخلوا النار فورث اھل الجنۃ نسائھم کما ورثت امرأۃ فرعون۔
সারমর্মঃ-
হিশাম বিন খালেদ রহঃ বলেন, কোনো পুরুষ যদি জাহান্নামে প্রবেশ করে,সেক্ষেত্রে তার স্ত্রীদের ওয়ারিশ হিবে জান্নাত বাসীগন। যেমন ফেরাউনের স্ত্রীর ওয়ারিশ জান্নাতীগন হবেন।

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
একমাত্র কাফেররাই তো চিরস্থায়ী জাহান্নামি হবে।
মুমিন গন তো একদিন না একদিন জান্নাত্র যাবেই।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে চিরস্থায়ী জাহান্নামি উদ্দেশ্য নয়।

(০২)
অপেক্ষা করতে চাইলে, আল্লাহর কাছে এই আশা প্রকাশ করলে আল্লাহ তায়ালা সেটি কবুল করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...