জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
,
শরীয়তের বিধান হলো কেউ যদি আল্লাহ নাম উচ্ছারণ করে কসম করে ফেলে,তখন আল্লাহর নামের সম্মানার্থে সেই কসমকে পূর্ণ করা তার উপর ওয়াজিব হয়ে যায়।
যদি সে কসম কে ভঙ্গ করে ফেলে,তাহলে তখন কসম ভঙ্গ করে আল্লাহর নামের বেহুরমতি করার শাস্তি স্বরূপ তাকে কাফফারা দিতে হবে।
,
কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَ يُؤَاخِذُكُمُ اللّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَـكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا عَقَّدتُّمُ الأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُواْ أَيْمَانَكُمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে, (১) দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক।(২)অথবা, তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে।(৩) যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে।.....এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।(সূরা মায়েদা-৮৯)
কসমের ধারাবাহিক তিনটি কাফফারার প্রথমটি হল,১০জন মিসকিনকে সকাল-বিকাল দু'বেলা খাদ্য খাওয়ানো বা বস্র পরিধান করানো।খাওয়ানো পড়ানো সম্ভব না হলে,১০জনের প্রত্যেকজনকে একটি ফিতরা সমপরিমাণ টাকা দিলেই কাফফারা আদায় হয়ে যাবে।দ্বিতীয়ত একজন গোলাম আযাদ করা।তৃতীয়ত ধারাবাহিক তিনটি রোযা রাখা।
আরো জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি কসমের কাফফারা আদায় করবেন,আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবা করবেন।
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উক্ত শাস্তি দিবেননা,ইনশাআল্লাহ।
তওবা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ