আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
62 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
আমাকে পরিবার থেকে বিয়ে দেয়া হয়।আমার স্বামী বেকার জেনেও আমাদের বিয়েটা হয় সে শীঘ্রই কোনো কিছু করবে জেনে।আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ির অনেক টাকা ঋণ রয়েছে যেটা তারা বিয়ের আগে জানান নি।বিয়ের পরে আমার স্বামী আমাকে বলেছে যে আমাকে অমার্সে অনেক ভালো রেজাল্ট করতে হবে এবং বিদেশের কোনো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে হবে।আমাকে কিছুদিন কষ্ট করে বাইরে কাজ করতে হবে এরপর উনি আমাকে ঘরে সম্পূর্ণ পর্দায় রাখবেন।কারণ  দেশে কাজ করে জীবনে কোনো উন্নতি করতে পারবেন না তিনি।

 আমার শাশুড়ি অসুস্থ বিধায় ঘরের কোনো কাজ করতে পারেন না কাজের লোক ও নেই।ঘরের সব কাজ সামলে পড়াশোনা করতে আমার অসুবিধা হয় খুব বেশি পড়তে পারিনা।আমার পড়া মুখস্ত করতেও সময় লাগে তবুও আমি চেষ্টা করি পড়ার, তাতে আশানুরূপ হয়না জন্য আমার স্বামী আমার  উপর অসন্তুষ্ট। আমার স্বামী এখনো কোনো চাকুরী করেন না মাঝে মাঝে ফুড ডেলিভারির কাজ করেন।উনি আমাকে বলেন আমাকে দেখে উনি ইন্সপায়ার হন না।ভালো কোনো কাজ করার পড়াশোনা করার উৎসাহ পান না।বিয়ের পর আমার সব পোশাক বিভিন্ন আত্নীয় স্বজন ও বাবা মা দিয়েছেন। আমার স্বামীর কাছে আমি আমার নিজস্ব কোনো চাহিদা প্রকাশ করিনা। তবুও আমার শাশুড়ি আমাকে বলেন যে আমি আমার স্বামীকে চাপ দেই  ঘরের ভিতর নির্যাতন করি ভালো কোনো কিছু তে উৎসাহিত বা সাহায্য করতে পারিনা।আমার স্বামী নিয়মিত সালাত আদায় করেন না। কখনো পড়েন কখনো ছেড়ে দেন।এ বিষয়ে উনাকে  বেশি বললেও বিরক্ত হন।

১)আমার স্বামীকে সালাত আদায় করতে এবং হালাল চাকরি করতে আমি কিভাবে উৎসাহিত করতে পারি?

২)আমার শাশুড়ির কথায় আমি খুব কষ্ট পাই হতাশাগ্রস্ত হয়ে যাই। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি?

৩)আমার  উপরোক্ত কথায় আমার যে গীবত হলো। আল্লাহর কাছে কি ক্ষমা পাব?
by (5 points)
৪) ঋনের কথা বিয়ের আগে গোপন রাখা কি উনাদের উচিত হয়েছে? 
by (678,880 points)
এই ব্যপারে তো আপনারা প্রশ্ন করেননি।
সুতরাং বিষয়টি গোপন করায় তাদের গুনাহ হবেনা।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ دَاعٍ يَدْعُو إِلَى هُدًى إِلَّا كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِ مَنْ اتَّبَعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَا مِنْ دَاعٍ يَدْعُو إِلَى ضَلَالَةٍ إِلَّا كَانَ عَلَيْهِ مِثْلُ أَوْزَارِهِمْ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أَوْزَارِهِمْ شَيْئًا

মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট খবর পৌছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইয়াছেনঃ যেকোন আহবানকারী হিদায়াতের দিকে আহবান করিবে তবে তাহাকে তাহার অনুসরণকারীদের সমান পুণ্য দেওয়া হইবে। অনুসরণকারীদের পুণ্য হইতে বিন্দুমাত্র কম করা হইবে না। আর যেকোন আহবানকারী পথভ্রষ্টতার দিকে আহবান করিবে, তবে তাহার উপর অনুসরণকারীদের পাপসমূহের সমান পাপ বৰ্তাইবে। তাহাতে অনুসরণকারীদের পাপসমূহের এতটুকুও কম করা হইবে না।
(মুয়াত্তা মালিক ৪৯৬)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
নিম্নোক্ত ফাতওয়ায় প্রদত্ত আমল গুলি আপনার স্বামীকে করতে বলবেন,তাহলেই নামাজের ব্যপারে উদাসিনতা দূর হয়ে যাবে,ইনশাআল্লাহ। 


হিকমতের সহিত জীবন,রিযিক,কর্ম,ভবিষ্যত জীবনের গুরুত্ব বুঝালে হালাল চাকরির প্রতি উৎসাহিত হবে,ইনশাআল্লাহ। 

(০২)
এক্ষেত্রে ধৈর্য ধারনের পরামর্শ থাকবে,মহান আল্লাহর কাছে সংসারের অশান্তি দূর হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।

(০৩)
মাসয়ালা জানার লক্ষ্যে বললে গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...