আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
154 views
in পবিত্রতা (Purity) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম ।
কারো নিয়মতান্ত্রিকভাবে হায়েয শুরু হবার ৭ দিন পর রক্ত ও রক্ত পরবর্তী ময়লা স্রাব আসা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সে গোসল করে নামায আদায় শুরু করে। এভাবে (হায়েয শুরু হবার) ১৩ দিন পর এক ওয়াক্তে সামান্য ময়লা হলুদ স্রাব দেখা দেয়। এভাবে কয়েক ঘন্টা পর পর বা ১-২ দিন পর পর নিয়ম ছাড়াই মাঝে মাঝে কম-বেশি ময়লা স্রাব আসে। কখনো কয়েকদিন পর একটু আসে। প্রশ্নঃ

১। ১৩ দিন পর যখন ময়লা স্রাব দেখেছে, তখন কি ঐ হায়েয ১০ দিনের ধরতে হবে? অর্থাৎ তাকে কি আবারো গোসল করে ১০ম দিনের পরবর্তী দিনগুলোর নামায ক্বাযা করতে হবে?

২। ময়লা স্রাব আসার আগে সে এক উযুতে কয়েক ওয়াক্তের সালাত আদায় করতো। এখন সে কতক্ষণ ইস্তেহাযার মাসআলায় থাকবে? কখন সে পুনরায় এক উযুতে কয়েক ওয়াক্ত আদায় করতে পারবে?
৩। যেহেতু পুরো মাস ধরে চেক করতে থাকা সম্ভব নয়, আবার ময়লা স্রাব আসাও নিয়মিত নয়। এমতাবস্থায় একবার এমন হল যে, ময়লা স্রাব কবে কখন এসেছে টের পায়নি, সুতরাং সে উযু ছাড়াই সুস্থাবস্থার মত করে সালাত আদায় করছিল। এক্ষেত্রে আগের সালাতগুলোর জন্য কী করবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 7474 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ১৩ দিন রক্তস্রাব গেলে সে তার পূর্বের আদত অনুযায়ী হায়েয গণনা করবে। যদি তার পূর্বের কোনো আদত না থাকে, তাহলে ১০ দিন হয়েয এবং অতিরিক্ত ইস্তেহাযা।
(২) হায়েযের সময়ের পর ১৫ দিন পর্যন্ত যদি রক্তস্রাব গেলে,সেই সময়টাকে ইস্তেহাযা গণ্য করা হবে। ইস্তেহাযার সময় এক অজু দ্বারা ঐ ওয়াক্তের ভিতর সকল প্রকার নামায পড়তে পারবে।
(৩) ময়লা স্রাবকে যখন দেখবে, তখন থেকেই ময়লা স্রাবের বিধান প্রযোজ্য হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
উস্তায এটা একমাসের ঘটনা না। প্রায় প্রতি মাসে ঘটে, হঠাত এক মাস হয়ত না ঘটতে পারে, যেহেতু অসুস্থতাবশত। ইস্তেহাযা বন্ধ কখন ধরবে এ বিষয়টা পরিষ্কার হয়নি। যদি ১১ তম দিনে ইস্তেহাযা টের পায়, তাহলে কি পরবর্তী হায়েয পর্যন্ত প্রতি ওয়াক্তেই উযু করে নিবে? যেহেতু আবারো এক ওয়াক্তে হঠাৎ ময়লা স্রাব দেখা দিতেও পারে? 
by (589,140 points)
আপনার প্রশ্নটা পরিস্কার নয়। যতটুুকু বুঝেছি, সেই আলোকে বলছি,
যদি ১১ তম দিনে ইস্তেহাযা টের পায়, তাহলে পরবর্তী হায়েয পর্যন্ত প্রতি ওয়াক্তেই উযু করে নিতে হবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 91 views
...