আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
25 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (55 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্ উস্তায


১. ফর‍য নামাজের তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার পর বিসমিল্লাহির পর্যন্ত পড়ে যদি মনে পড়ে যে এখন আর সূরা মিলাতে হবে না তখন যদি আবার পুরো আয়াতটা সম্পূর্ণ করার জন্য বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম পড়ি তাহলে কি কোনো সমস্যা হবে?

২. সামিয়াল্লাহুলিমান হামিদা না বলে অনিচ্ছাকৃত আল্লাহু আকবার বললে কি কোনো সমস্যা হবে?

৩. প্রস্রাবের পর কোনো মহিলার ভ্যাজাইনার ভিতরের অংশ পরিষ্কার না করলে যদি অত্যাধিক সন্দেহ হয় তাহলে সে পরিষ্কার করলে কি রোযায় সমস্যা হবে? ভ্যাজাইনা দিয়ে পানি প্রবেশ করলে কি সিয়াম ভঙ হয়?

৪. শুধু বাইরের অংশ পরিষ্কার করলে পরবর্তীতে প্রস্রাব বাইরের দিকে বেরিয়ে আসলে সেক্ষেত্রে ইবাদতে কি কোনো সমস্যা হবে?

৩. সেহরির সময়ের  পর গলায় কিছু আটকে থাকলে যা কাশি দিলেও বের হয়নি তা গিলে ফেললে কি কিছু হবে?

1 Answer

0 votes
by (679,480 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
এতে কোনো সমস্যা হবেনা। 

(০২)
অনিচ্ছাকৃত হলে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৩)
https://ifatwa.info/40235/ ফতোয়ায় উল্লেখ রয়েছে,   
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রাযি. থেকে বর্ণিত-

ذكر عنده الوضوء من الطعام، قال الأعمش مرة والحجامة للصائم، فقال : إنما الوضوء مما يخرج وليس مما يدخل، وإنما الفطر مما دخل وليس مما خرج.

শরীর থেকে (কোনো কিছু) বের হলে অযু করতে হয়, প্রবেশ করলে নয়। পক্ষান্তরে রোযা এর উল্টো। রোযার ক্ষেত্রে (কোনো কিছু শরীরে) প্রবেশ করলে রোযা ভেঙ্গে যায়, বের হলে নয়। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪০২)

ولو بالغ في الاستنجاء حتی بلغ موضع الحقنۃ فسد۔ (شامي ۳؍۳۶۹ زکریا)

সারমর্মঃ  যদি ইস্তেঞ্জার ক্ষেত্রে মুবালাগাহ করা হয়,এমনকি হাকনার স্থান পর্যন্ত পৌছে যায়,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।   

আরো জানুনঃ 

★শরীয়তের বিধান হলো রোযা অবস্থায় যদি কোনো মহিলা গোপনাঙ্গে আঙ্গুল প্রবেশ করায়,এক্ষেত্রে আঙ্গুল যদি শুকনো থাকে, তাহলে রোযা ভাঙ্গবে না। যদি ভিজা আঙ্গুল প্রবেশ করায়, তাহলে মহিলার রোযা ভেঙ্গে যাবে।
এতে কাজা ওয়াজিব হবে।
কাফফারা নয়।

ولو ادخل إصبعه فى إسته أو المرأة فى فرجها، لا يفسد، وهو المختار، إلا إذا كانت مبتلة بالماء أو الدهن، فحينئذ يفسد لوصول الماء او الدهن، (الفتاوى الهندية، كتاب الصوم، الباب الرابع فيما يفسد الصوم ومالا يفسد-1/204, كذا فى الدر المختار-2/397)
সারমর্মঃ
যদি কেহ তার আঙ্গুল মলদ্বারে প্রবেশ করায়,বা কোনো মহিলা তার লজ্জাস্থানে আঙ্গুল প্রবেশ করায়,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে আঙ্গুল যদি তৈল বা পানি দ্বারা ভিজানো থাকে,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।    

রোযা অবস্থায়  যদি ইস্তেঞ্জার ক্ষেত্রে মুবালাগাহ করা হয়,এমনকি হাকনার স্থান পর্যন্ত পৌছে যায়,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।   

হাকনার স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ   

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ভ্যাজাইনা দিয়ে পানি প্রবেশ করলে সিয়াম ভঙ্গ হয়।

(০৪)
এক্ষেত্রে পেশাব এক দিরহাম সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি হলে নামাজ হবেনা।

এক দিরহাম চেয়ে কম হলে নামাজ হবে।

(০৫)
এক্ষেত্রে রোযা হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 72 views
0 votes
1 answer 92 views
asked Jul 13, 2021 in সাওম (Fasting) by Ummaleeza (3 points)
0 votes
1 answer 152 views
0 votes
1 answer 48 views
0 votes
1 answer 109 views
0 votes
1 answer 78 views
...