জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
তারাবিহ এর ক্ষেত্রে যেই নিয়ম আছে,তাহা হল আগে ইশার ফরজ সুন্নাত,তারপর তারাবিহ,তারপর বিতর নামাজ।
এটাই সুন্নাত পদ্ধতি।
তবে যদি কেহ তারাবিহ আদায়ের পূর্বেই বিতর নামাজ আদায় করে,সেক্ষেত্রে তার বিতর আদায় হয়ে যাবে,পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
তবে এটি সুন্নাত পদ্ধতির খেলাফ হবে।
সুতরাং বিনা ওযরে এমনটি করা বা এটিকে অভ্যাসে পরিণত করা জায়েজ নেই।
کذا فی الجوھرة النیرة:
ثم یوتر بھم۔۔۔۔۔۔والاصح ان وقتھا بعد العشاء الی آخر اللیل قبل الوتر و بعدہ۔۔۔۔الخ۔ (ج: ١ص: ١٠٠)
সারমর্মঃ-
তারাবিহ এর ওয়াক্ত হলো ইশার পর রাতের শেষ পর্যন্ত,বিতরে পরে বা পূর্বে,,।
الدر المختار: (باب الوتر و النوافل، 43/2، ط: سعید)
ووقتہا بعد صلاۃ العشاء إلی الفجر قبل الوتر وبعدہ في الأصح، فلو فاتہ بعضہا وقام الإمام إلی الوتر أوتر معہ، ثم صلی ما فاتہ۔
সারমর্মঃ-
তারাবিহ এর ওয়াক্ত হলো ইশার পর ফজর পর্যন্ত,বিতরে পরে বা পূর্বে,,।
কাহারো যদি কিছু রাকাত তারাবিহ ছুটে যায়,এবং ইমাম সাহেব বিতরের জন্য দাঁড়ায়,তাহলে ইমামের সাথেই দাঁড়িয়ে বিতর আদায় করবে,অতঃপর ছুটে যাওয়া তারাবিহ নামাজ আদায় করবে।
(০২)
এক্ষেত্রে নামাজ ফাসেদ হওয়ার মতো অর্থ বিকৃত হলে নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।
সেক্ষেত্রে পুনরায় ঐ রাকাতের তিলাওয়াত কৃত সুরা পড়া হলে খতম পূর্ণ হবে।
অন্যথ্যায় খতম পূর্ণ হবেনা।
★নামাজ ফাসেদ হওয়ার মতো অর্থ বিকৃত না হলে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
(০৩)
হ্যাঁ বসে আদায় করা যাবে।
তবে সেক্ষেত্রে অর্ধেক ছওয়াব পাওয়া যাবে।
হ্যাঁ অসুস্থতা বশত কেহ বসে আদায় করলে সে পূর্ণ ছওয়াবই পাবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صَلاَةِ الرَّجُلِ وَهُوَ قَاعِدٌ، فَقَالَ: «مَنْ صَلَّى قَائِمًا فَهُوَ أَفْضَلُ، وَمَنْ صَلَّى قَاعِدًا فَلَهُ نِصْفُ أَجْرِ القَائِمِ، وَمَنْ صَلَّى نَائِمًا فَلَهُ نِصْفُ أَجْرِ القَاعِدِ (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب صفة الصلاة، مَطْلَبٌ قَدْ يُطْلَقُ الْفَرْضُ عَلَى مَا يُقَابِلُ الرُّكْنَ وَعَلَى مَا لَيْسَ بِرُكْنٍ وَلَا شَرْطٍ، بحث القيام-2/131-132، طحطاوى على مراقى الفلاح، كتاب الصلاة، فصل فى صلاة النفل جالسا-402
হযরত ইমরান বিন হুসাইন রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এক ব্যক্তির বসে নামায পড়া বিষয়ে প্রশ্ন করলে জবাবে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামায পড়ে সে উত্তম। বসে যে নামায পড়ে, সে দাড়িয়ে নামায আদায়কারীর তুলনায় অর্ধেক সওয়াব পায়। আর যে ব্যক্তি শুয়ে নামায পড়ে, সে বসে নামায আদায়কারীর তুলনায় অর্ধেক সওয়াব পায়। [বুখারী, হাদীস নং-১১১৬]
আরো জানুনঃ