আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
94 views
in সালাত(Prayer) by (25 points)
Assalamualaikum
আমার কালকে পিরিয়ডের ৯ম দিন শেষ হয়ে দশম দিন চলছিল। জোহরের ওয়াক্তে শেষের দিকে আর কোনো হায়েজের রক্ত না যাওয়ায় গোসল করে জোহর নামায পরি।এরপর আবার একটু লালচে স্রাব যায়।তারপর আসরের ওয়াক্তের শেষের দিকে আর রক্ত না আসায় আবার গোসল করে নামায পরি।এরপর মাগরিব এশার নামায পরি।ততক্ষন পর্যন্ত কোনো স্রাব নির্গত হয় নি।এশার ওয়াক্তে আবার একটু হায়েজের স্রাব গিয়েছিল।

তারপর আর কোনো পিরিয়ডের স্রাব রাতে আসেনা।পরদিন সকাল প্রায় ৯টায় আমার দশদিন দশরাত পূর্ন হয়।এরপর পিরিয়ডের স্রাব আসলেও তো নামায পরতে হবে।গোসল করার কিছু সময় পর আবার লালচে স্রাব আসে।তখন ইস্তেহাযা হয়েছে এটা বুঝতে পারি।

এখন আগের মাসের অভ‍্যাস অনুযায়ী ৯ দিন ১ ঘন্টার কিছু সময় পর পর্যন্ত পিরিয়ড ছিল।

এ অনুযায়ী আমার ৯ম দিনের জোহর,আসর,মাগরিব,এশা র নামায কাযা পরতে হবে।


কিন্তু কথা হলো আমার ৯ম দিনে রক্ত আসা যখন বন্ধ ছিল পিরিয়ড শেষ ধরে নিয়ে আমি ওই নামাযগুলো তো পরেছিলাম।পরার পরে দেখি যে দশদিনের মধ‍্যেই আবার স্রাব এসেছে।


তাহলে এখন ইস্তেহাযা বুঝার পর ওই নামাযগুলো কি আবার পরতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/9904/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,
আরো জানুনঃ
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি ১০ম দিনের মাগরিব নামাজ পর্যন্ত হায়েজ ধরবেন।
ইশার ওয়াক্তে হায়েজ আসলেও ওয়াক্তের শেষে যেহেতু আপনি পবিত্র ছিলেন,আর দশদিন পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত যেহেতু আর হায়েজ আসেনি,তাই আপনার হায়েজ ইশার ওয়াক্তে বন্ধ হয়েছে ধরা হবে।

আপনি ইশার নামাজ পড়ে না থাকলে সেটির কাজা আদায় করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 88 views
0 votes
1 answer 91 views
...