ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(২) নামাজে অনেক খারাপ চিন্তা আসায় মুখে যদি বিরক্তিভাব প্রকাশ পায়। তাহলে নামাজে কোনো সমস্যা হবে না। হ্যা, খারাপ চিন্তাকে স্থান দেয়ার কারণে পরিপূর্ণ সওয়াব থেকে মাহরুম হবেন।
(৩) পরিবারের অন্যান্যদের কাপড়ে নাজাসত যদি থাকে, এবং সেই কাপড় থেকে পানির ফোটা আপনার কাপড়ের উপর পরে, তাহলে আপনার কাপড়ও নাপাক হবে। সুতরাং নিজের কাপড়কে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।
(৪) ইফতারি যারা দিয়েছেন, তারা যদি কোনোপ্রকার চাপে পড়ে এই ইফতারি দেন, তাহলে তো আপনাদের জন্য ঐ ইফতারি জায়েয হবে না। নতুবা খেতে পারবেন।
(৫) ইচ্ছা করে ডেকুর আনলে যদি ভিতর থেকে কিছু আসে, এবং আবার ইচ্ছাকৃত ভিতরে চলে যায়, তাহলে রোযা ফাসিদ হয়ে যাবে।
(৬) যে হিজাব দিয়ে নামাজ পড়া হয় তা এমন যে দূর হতে হিজাবের ভেতরে হাত পা গুলোকে ছায়া বা কালো দেখায় তবে গায়ের রঙ বোঝা যায় না। যদিও এমন কাপড়ে নামায হয়ে যাবে, তবে নামাযের পূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে না।
في حلبی کبیر :(ص: 214)
"إذا کان الثوب رقیقًا بحث یصف ماتحته أي لون البشرة لایحصل به سترة العورۃ."
في الفتاوی الشامی :
"(قَوْلُهُ: لَايَصِفُ مَا تَحْتَهُ) بِأَنْ لَايُرَى مِنْهُ لَوْنُ الْبَشَرَةِ احْتِرَازًا عَنْ الرَّقِيقِ وَنَحْوِ الزُّجَاجِ (قَوْلُهُ: وَلَايَضُرُّ الْتِصَاقُهُ) أَيْ بِالْأَلْيَةِ مَثَلًا، وَقَوْلُهُ: وَتَشَكُّلُهُ مِنْ عَطْفِ الْمُسَبَّبِ عَلَى السَّبَبِ. وَعِبَارَةُ شَرْحِ الْمُنْيَةِ: أَمَّا لَوْ كَانَ غَلِيظًا لَايُرَى مِنْهُ لَوْنُ الْبَشَرَةِ إلَّا أَنَّهُ الْتَصَقَ بِالْعُضْوِ وَتَشَكَّلَ بِشَكْلِهِ فَصَارَ شَكْلُ الْعُضْوِ مَرْئِيًّا فَيَنْبَغِي أَنْ لَايَمْنَعَ جَوَازَ الصَّلَاةِ لِحُصُولِ السَّتْرِ. اهـ."
(كتاب الصلاة، باب شروط الصلاة، مطلب في ستر العورة، ١/ ٤١٠)
(৭) অফিসের মালিক নিউ ইয়ার উপলক্ষ্যে বখশিশ দেয় যা দিয়ে মোবাইল কেনা হয়েছে।ঐ মোবাইল জরুরি প্রয়োজন যেমন ফতোয়া জানতে ব্যবহার করলে নামাজে কোনো সমস্যা হবে না। হ্যা, উক্ত মুবাইলকে সদকাহ করে দিতে হবে।
(৮) নামাজে বাকা হয়ে দাঁড়ানোর পর সোজা হয়ে দাড়ালে নামাজে কোনো সমস্যা হবে না।
(৯) ১ম বৈঠকে তাশাহহুদ এর একটি বা দুইটি লাইন একাধিকবার পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।