আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
79 views
in পবিত্রতা (Purity) by (11 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ।
ওস্তাদ সাদাস্রাব নিয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই।আমি বুঝতে পারছি না আমার করনীয় কি।আমি খুব পেরেশানির মধ্যে আছি।

১/একজন বোন আপনাদের প্রশ্ন করেছিল ওজুর আগে দিয়ে টিস্যু পরে ওজু করলে ওজু হবে কিনা।আপনারা বলেছেন হবে না।কারন যেহেতু উনি জানেন যে সাদা স্রাব টা বের হবে।যদি এমন হয় সাদা স্রাব বের হবে না এই ব্যাপারে নিশ্চিত হয় তাহলে টিস্যু পরলে ওজু হবে।এখন আমার প্রশ্ন হলো সাদা স্রাব আমার সব সময়ই একটু একটু বের হয়।এক দিরহাম থেকে কম পরিমাণে।
২/আরেকটা ফতোয়ায় আপনারা বলেছেন এক দিরহাম থেকে কম বের হলেও ওজু হবে না।তাহলে সে হিসেবে তো আমার ওজু নামাজ কিছুই হচ্ছে না।কারন আপনারা বলেছেন টিস্যু ও পরা যাবে না।আবার বলছেন এক দিরহাম থেকে কম বের হলেও ওজু নামাজ হবে না।তাহলে এমতাবস্থায় আমার করনীয় কি?

৩/আরেকটা ফতোয়ায় একজন বোন প্রশ্ন করেছেন তার  সাদা স্রাব বের হয় এক দিরহাম থেকে কম।তখন আপনারা বলেছে এক দিরহাম থেকে কম হলে ওজু,নামাজ হবে।এখানে এসে আমি আবার এলোমেলো হয়ে গেছি।
৪/যাদের সব সময়ই স্রাব যায় তারা মাযুর হিসেবে গন্য হবে। আমার ও সব সময়ই স্রাব যায় তবে এক দিরহাম থেকে কম।তাহলে আমি কি মাযুর হিসেবে গন্য হবো?আমি মাগরিবের তিন রাকাআত সালাত ছোট সূরা দিয়ে পড়ে দেখেছি এর মাঝেও আমার স্রাব বের হয়েছে।নামাজে দাড়ানোর আগে একবার মুছে নিয়েছিলাম তবুও বের হয়েছে।সেটাও এক দিরহাম থেকে কম।এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি?
৫/আমি যদি ওজুর আগে দিয়ে টিস্যু পরে ওজু করি তাহলে টিস্যুর বাহিরের অংশ ভিজে গেলে ওজু ভেঙে গেছে ধরে নিব?এটা যদি না হয় তাহলে করনীয় কি?

ওস্তাদ আমার সবসময় একটু একটু স্রাব বের হয়।আমি কিভাবে ওজু করলে ওজু হবে জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

লিকুরিয়া রোগ যা মহিলাদের জরায়ুতে হয়।

যার অর্থ হল জরায়ু থেকে সাদাস্রাব নির্গত হওয়া।

সাদাস্রাব নাপাক।যা নির্গত হলে অজু চলে যায়।কাপড়ের যে অংশে লাগবে সেটুকু ধৌত করতে হবে।তা নাজাসতে গলিজা।এক দিরহামের বেশী হলে নামায হবে না।


এই সাদাস্রাব নির্গত হওয়া দুই প্রকার।

ক/

সাদাস্রাব মাঝেমধ্যে নির্গত হয়।অর্থাৎ হঠাৎ জরায়ুতে চলে আসে।

এমতাবস্থায় যদি হঠাৎ নামাযের মধ্যে বা নামাযের পূর্বে নির্গত হয়, তখন কাপড় পাল্টিয়ে লজ্জাস্থান ধৌত করা পূর্বক নতুন করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।তারপর পূনরায় নামায পড়তে হবে।


খ/

যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে।যেমন মাগরিবের নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত তথা ১ঘন্টা৩০মিনিট ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে। তাহলে এমতাবস্থায় উনাকে মা'যুর গণ্য করে মা'যুরের হুকুম উনার উপর আরোপ করা হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/50



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

আপনি পরীক্ষা করে দেখবেন যে, আপনি মা'যুর কি না? যদি আপনি মা'যুর হন, তাহলে প্রতি ওয়াক্তের জন্য একটি অজুই যথেষ্ট। আর যদি মা'যুর না হন, তাহলে টিস্যু বা তুলা জাতীয় কিছু রেখে প্রতি ইবাদতের   পূর্বে একটু চেক করে নিবেন যে সাদাস্রাব বের হল কি না? যদি বের হয় তাহলে অজু করবেন নতুবা অজু লাগবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (11 points)
১/ওস্তাদ আমি মাযুর কিনা সেটা চেক করতে হলে আমি নামাজ পড়বো কিভাবে?এক্ষেত্রে তো আমাকে পুরো ওয়াক্তই অপেক্ষা করতে হবে।আমি যদি ওই ওয়াক্তে নামাজ না পড়ি তাহলে গুনাহ হবে?
২/আমি যদি মাযুর না হই তাহলে ওজু করে সালাতে দাঁড়ানোর পর সাদা স্রাব বের হলে তখন কি ওজু ভেঙে গেছে ধরে নিয়ে আবার ওজু করে সালাতে দাঁড়াবো?

৩/আমি যদি মাযুর না হই তাহলে গোপনাঙ্গ টিস্যু দিয়ে মুছে অথবা পানি দিয়ে ধুয়ে তারপর ওজু করি তাহলে হবে?

by (712,400 points)
আপনি একদিন চেক করবেন যে, স্রাব বের হওয়া ব্যতিত কি আপনি নামায পড়তে পারছেন, যদি আপনি নামায পড়ে নিতে পারেন, তাহলে তো আপনি মা’যুর নন। কিন্তু যদি আপনি পড়তে না পারেন, তাহলে তো বুঝা গেল যে, আপনি মা’যুর। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...