ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
https://ifatwa.info/14867/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
■ সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোযা রাখতে হবে।
এ মর্মে সুরা বাকারার ১৮৭ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ
করেনঃ
اُحِلَّ
لَکُمۡ لَیۡلَۃَ الصِّیَامِ الرَّفَثُ اِلٰی نِسَآئِکُمۡ ؕ هُنَّ لِبَاسٌ لَّکُمۡ
وَ اَنۡتُمۡ لِبَاسٌ لَّهُنَّ ؕ عَلِمَ اللّٰهُ اَنَّکُمۡ کُنۡتُمۡ تَخۡتَانُوۡنَ
اَنۡفُسَکُمۡ فَتَابَ عَلَیۡکُمۡ وَ عَفَا عَنۡکُمۡ ۚ فَالۡـٰٔنَ بَاشِرُوۡهُنَّ
وَ ابۡتَغُوۡا مَا کَتَبَ اللّٰهُ لَکُمۡ ۪ وَ کُلُوۡا وَ اشۡرَبُوۡا حَتّٰی یَتَبَیَّنَ
لَکُمُ الۡخَیۡطُ الۡاَبۡیَضُ مِنَ الۡخَیۡطِ الۡاَسۡوَدِ مِنَ الۡفَجۡرِ۪ ثُمَّ
اَتِمُّوا الصِّیَامَ اِلَی الَّیۡلِ ۚ وَ لَا تُبَاشِرُوۡهُنَّ وَ اَنۡتُمۡ
عٰکِفُوۡنَ ۙ فِی الۡمَسٰجِدِ ؕ تِلۡکَ حُدُوۡدُ اللّٰهِ فَلَا تَقۡرَبُوۡهَا ؕ کَذٰلِکَ
یُبَیِّنُ اللّٰهُ اٰیٰتِهٖ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمۡ یَتَّقُوۡنَ ﴿۱۸۷﴾
সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের নিকট গমন হালাল
করা হয়েছে। তারা তোমাদের জন্য পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের জন্য পরিচ্ছদ। আল্লাহ জেনেছেন
যে, তোমরা নিজদের সাথে খিয়ানত করছিলে। অতঃপর তিনি তোমাদের তাওবা
কবূল করেছেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন। অতএব, এখন তোমরা তাদের সাথে মিলিত হও এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা লিখে
দিয়েছেন, তা অনুসন্ধান কর। আর আহার কর ও পান কর যতক্ষণ না ফজরের সাদা
রেখা কাল রেখা থেকে স্পষ্ট হয়। অতঃপর রাত পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর। আর তোমরা মাসজিদে
ইতিকাফরত অবস্থায় স্ত্রীদের সাথে মিলিত হয়ো না। এটা আল্লাহর সীমারেখা, সুতরাং তোমরা
তার নিকটবর্তী হয়ো না। এভাবেই আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহ মানুষের জন্য স্পষ্ট করেন যাতে
তারা তাকওয়া অবলম্বন করে।
,
এখানে বলা হয়েছে যে তোমরা রাত তথা সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোযা পূর্ণ
করো।
,
■ হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ سَهْلِ، بْنِ سَعْدٍ
- رضى الله عنه - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ
يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ " .
সাহ্ল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যতদিন
মানুষ বিলম্ব না করে ইফতার করবে,
ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৪৪৪
হাদিসের মান : সহিহ হাদিস
,
■ হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي عَطِيَّةَ،
قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَمَسْرُوقٌ، عَلَى عَائِشَةَ - رضى الله عنها - فَقَالَ
لَهَا مَسْرُوقٌ رَجُلاَنِ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم كِلاَهُمَا
لاَ يَأْلُو عَنِ الْخَيْرِ أَحَدُهُمَا يُعَجِّلُ الْمَغْرِبَ وَالإِفْطَارَ
وَالآخَرُ يُؤَخِّرُ الْمَغْرِبَ وَالإِفْطَارَ . فَقَالَتْ مَنْ يُعَجِّلُ
الْمَغْرِبَ وَالإِفْطَارَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ . فَقَالَتْ هَكَذَا كَانَ
رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصْنَعُ .
আবূ ‘আতিয়্যাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিত: তিন বলেন,
আমি ও মাসরূক ‘আয়িশা (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। এরপর মাসরূক তাঁকে
বললেন, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীগণের
মধ্যে দু’ ব্যক্তি যারা কল্যাণজনক কাজে কোন প্রকার অবহেলা প্রদর্শন করেন না, তাঁদের একজন
মাগরিব এবং ইফত্বারের মধ্যে ত্বরা করেন। আর অপরজন মাগরিব ও ইফত্বারে বিলম্ব করেন। তিনি
বললেন যে, কোন ব্যক্তি সে মাগরিব ও ইফত্বারে ত্বরা করেন? তিনি বললেন, তিনি ‘আবদুল্লাহ।
তখন ‘আয়িশা (রাঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপই করতেন।
সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ২৪৪৭
হাদিসের মান : সহিহ হাদিস
,
★আপনি গুগলে সার্চ
দিয়ে ইসলামি ফাউন্ডেশনের ক্যালেন্ডার থেকে আপনার এলাকার/আপনার জেলার ইফতারীর টাইম দেখে
ইফতারী করবেন বা বাজার থেকে আপনার জেলার জন্য প্রযোজ্য এমন একটি ইসলামীক ফাউন্ডেশনের
ক্যালেন্ডার ক্রয় করে নিয়ে আসবেন। অগ্রহণযোগ্য কোনো টাইম মেনে ইফতারী করবেননা। ইসলামীক ফাউন্ডেশনের
ক্যালেন্ডার নির্ভরযোগ্য উলামায়ে কেরামদের তত্তাবধানে লিখিত হয়েছে।
,
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
,
প্রশ্নোক্ত কথাটি সঠিক নয়। বরং সূর্যাস্তের
পর পরই ইফতারি করতে হয়। একেবারে রাতে নয়। কারণ, উক্ত আয়াতে আল্লাহ তায়ালা রাত পর্যন্ত
অর্থাৎ রাতের সূচনা পর্যন্ত রোজা পূর্ণ করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। আর রাতের
সূচনা হয় সূর্যাস্তের মাধ্যমেই। তা ছাড়া সূর্যাস্তের পর ইফতার করার আমলটি নবীজি
সা. ও সাহাবায়ে কেরাম থেকে চলে আসছে।