আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
87 views
in সাওম (Fasting) by (129 points)
edited by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকা-তুহ।

১, চুলা থেকে ঢাকনা খুললে খাবার ধোয়া, ট্যাল্কম পাউডার(ঘামাচি পাউডার) এর ধোয়া অথবা আটা ময়দা যখন বাতাসে ভেসে যায় নাড়ানাড়ির কারণে তা যদি ইচ্ছাক্রিত ভাবে শোকা হয় কিন্তু গলায় স্বাদ অনুভূত হয়না,তবে রোযা ভাংবে কি



ঠোটের উপর যদি আমার কোনো বিচ্ছিন্ন থুতু দেখি তা গিলে ফেললে রোযা ভাংবে? থুতুটা আমার

৩, অনেক সময় কথা বলতে গিয়ে ঠোটের বাইরে যেখানে দেহের চামড়া আছে সেখানে কামড় পড়ে বা জিহবা লেগে যায়। এমতাবস্থায় কি আমার তখন থুতু ফেলতে হবে? নাকি লাগবেনা
৪, ৩নং ক্ষেত্রে যদি জিহবায় ঘামের নোনতা স্বাদ পাই তখন থুতু না ফেললে কি সমস্যা হবে? নিক্বাব পড়ে থাকলে এরকম ঘাম হয় আমার স্ত্রীর।

৫, অখাদ্য বিষয় যেমন কাপড় কাঠ এসব যদি চাটা হয় এরপর কি থুতু না ফেললে রোযা নষ্ট হবে? অনেক সময় দাত দিয়ে কোনো জিনিস ছেড়ার প্রয়োজন পড়ে।

৬, অযুতে বা এম্নিতে পুরো মুখ দিলে ঠোট ও যেহেতু ধুয়ে যায় তারপর কি ঠোট টিস্যু বা কাপড় দিয়ে মুছতে হবে? কারণ ধোয়ার পর পর যদি সেখানকার পানি জিহবায় গেলে তা পরবুর্তীতে গলায় গেলে রোযা ভাংবে কি?

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
https://ifatwa.info/15092/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
রোজা থাকা অবস্থায় কোনো কিছুর গন্ধ নাকে গ্রহণ করলে রোযার কোনো সমস্যা হবেনা।

রোযাদারের জন্য সুরমা লাগানো বা সুগন্ধি ব্যবহার করা মাকরূহ নয়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
আতা রাহ. বলেন, ‘রোযাদারের জন্য সুরমা ব্যবহার করাতে দোষ নেই।’-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ৪/২০৮; আলবাহরুর রায়েক ২/২৮০)

রমজান মাসে দিনের বেলা মশার কয়েল, ধূপ, আগরবাতি ইত্যাদি জ্বালানো জায়েয। এতে রোজার ক্ষতি হবে না। কারণ ধূপ, কয়েল, আগরবাতি ইত্যাদি জ্বালানোর পর আশপাশে সাধারণত এর ঘ্রাণই ছড়ায়। এর ধোঁয়া নাক পর্যন্ত পৌঁছে না। এরপরও অনিচ্ছাকৃত তা নাকে-মুখে চলে গেলে রোজা নষ্ট হবে না। তবে রোজা অবস্থায় কেউ যদি নাক বা মুখ দিয়ে এগুলোর ধোঁয়া টেনে নেয় সেক্ষেত্রে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। [রদ্দুল মুহতার ২/৩৯৫; আশশুরুনবুলালিয়া ১/২০২; মাজমাউল আনহুর ১/৩৬১; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাদ্দুর ১/৪৫০) 

لو أدخل حلقہ الدخان أي بأي صورة کان الإدخال حتی لو تبخر بخورة وآواہ إلی نفسہ واشتمہ ذاکرًا لصومہ، أفطر لإمکان التحرز عنہ․ (رد المختار: ۳/۳۶۶، زکریا)
সারমর্মঃ
যদি ইচ্ছাপূর্বক রোযা স্বরন থাকা সত্ত্বেও এ ধোয়া নাক দিয়ে টেনে নেয়,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।   

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে খাবারের ধোঁয়ার ক্ষেত্রে রোজা অবস্থায় কেউ যদি নাক বা মুখ দিয়ে এগুলোর ধোঁয়া ইচ্ছাকৃতভাবে টেনে নেয় সেক্ষেত্রে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে।

অন্যথায় রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
উল্লেখ্য এক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত অন্যান্য ছুরত গুলোতে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে সর্বাবস্থায় সতর্কতা কাম্য।

(০২)
এক্ষেত্রে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা। 

আরো জানুনঃ- 

(০৩)
এক্ষেত্রে থুথু ফেলতে হবেনা।
হ্যাঁ যদি কোনো খাবার ইত্যাদির স্বাদ অনূভুত হয়,সেক্ষেত্রে থুথু ফেলতে হবে। 

(০৪)
এক্ষেত্রে থুথু ফেলতেই হবে।

(০৫)
এক্ষেত্রে থুথু গিলে ফেললে যদি কোনো কিছুর স্বাদ অনুভূত না হয়,সেক্ষেত্রে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।

(০৬)
এমতাবস্থায় সতর্কতামূলক ঠোঁট টিস্যু বা তোয়ালে/কাপড় দিয়ে মুছতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...