জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক্ষেত্রে আপনার সালাত আদায় হবে।
(০২)
আপনার সালাত হবে।
(০৩)
‘‘(আল্লাহুম্মা) রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ, হামদান কাসীরান ত্বাইয়্যিবান মুবারাকান ফীহ’’
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْمُجْمِرِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَحْيَى الزُّرَقِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ الزُّرَقِيِّ، قَالَ كُنَّا يَوْمًا نُصَلِّي وَرَاءَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَلَمَّا رَفَعَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ قَالَ " سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . قَالَ رَجُلٌ وَرَاءَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم اللهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ فَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنِ الْمُتَكَلِّمُ بِهَا آنِفًا " . فَقَالَ الرَّجُلُ أَنَا يَا رَسُولَ اللهِ . فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " لَقَدْ رَأَيْتُ بِضْعَةً وَثَلَاثِينَ مَلَكًا يَبْتَدِرُونَهَا أَيُّهُمْ يَكْتُبُهَا أَوَّلَ "
রিফা‘আহ ইবনু রাফি‘ আয-যুরাকী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে সলাত আদায় করছিলাম। সে সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকু‘ হতে মাথা উঠিয়ে সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্ বললে এক ব্যক্তি বলে উঠেন- ‘‘আল্লাহুম্মা রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ, হামদান কাসীরান ত্বাইয়্যিবান মুবারাকান ফীহ’’। সলাত শেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এই দু‘আ পাঠকারী কে? লোকটি বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি দেখলাম, তিরিশেরও অধিক মালায়িকাহ্ (ফিরিশতা) তা সর্বাগ্রে লিপিবদ্ধ করার জন্য প্রতিযোগিতা করছে।
বুখারী (অধ্যায়ঃ আযান, অনুঃ কুনূত, হাঃ ৭৯৯), বায়হাক্বী (অধ্যায়ঃ সালাত, অনুঃ রুকু‘ থেকে মাথা উঠানোর সময় দু‘আ ২/৯৫), ইবনু খুযাইমাহ (৬১৪)।
,
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، أَخْبَرَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَتَادَةَ، وَثَابِتٍ، وَحُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ إِلَى الصَّلاَةِ وَقَدْ حَفَزَهُ النَّفَسُ فَقَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَتَهُ قَالَ " أَيُّكُمُ الْمُتَكَلِّمُ بِالْكَلِمَاتِ فَإِنَّهُ لَمْ يَقُلْ بَأْسًا " . فَقَالَ الرَّجُلُ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ جِئْتُ وَقَدْ حَفَزَنِي النَّفَسُ فَقُلْتُهَا . فَقَالَ " لَقَدْ رَأَيْتُ اثْنَىْ عَشَرَ مَلَكًا يَبْتَدِرُونَهَا أَيُّهُمْ يَرْفَعُهَا " . وَزَادَ حُمَيْدٌ فِيهِ " وَإِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ فَلْيَمْشِ نَحْوَ مَا كَانَ يَمْشِي فَلْيُصَلِّ مَا أَدْرَكَهُ وَلْيَقْضِ مَا سَبَقَهُ " .
মূসা ইবনু ইসমাঈল ........... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি দ্রুত গতিতে মসজিদে আগমনের ফলে খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়ে সে বলল, “আল্লাহু আক্বার আলহামদু লিল্লাহি হামদান কাছীরান তাইয়েবান মুবারাকান ফীহ্। নামায শেষে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞেস করেনঃ তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি এই দু’আ পাঠ করেছে? ঐ ব্যক্তি খারাপ কিছু বলে নাই। তখন ঐ ব্যক্তি বলে, ইয়া রাসূলুল্লাহ! মসজিদে আগমনের পর ক্লান্ত হয়ে আমি এই দু’আ পাঠ করি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি দেখতে পাই যে, বারজন, ফেরেশতা প্রতিযোগীতামূলকভাবে উক্ত দু’আ সর্বাগ্রে অল্লাহ তা’আলার নিকটে নেওয়ার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়েছে। রাবী হুমায়েদের বর্ণানায় আরও আছে যে! মসজিদে জামাআতে নামায আদায়ের সময় প্রত্যেক মুসল্লীর জন্য স্বাভাবিক পদক্ষেপে আগমন করা উচিত। অতঃপর সে ব্যক্তি ইমামের সাথে নামাযের যে অংশ প্রাপ্ত হয় তা আদায়ের পর যদি নামাযের কিছু অংশ ছুটে গিয়ে থাকে- তা ইমামের সালাম ফিরানোর পর একাকী আদায় করবে।
(আবু দাউদ ৭৬৩)
(০৪)
আপনার সালাত হবে।
(০৫)
এক্ষেত্রে নামাজ ভেঙ্গে যাওয়ার মতো অর্থ বিকৃত হলে ইমামের পাশাপাশি মুক্তাদীদেরও সালাত ভেঙে যাবে।
(০৬)
হ্যাঁ, এই ভাবে বাসায় তারাবিহ এর সালাত আদায় করতে পারেন।
যেই সুরা গুলি আপনার মুখস্ত আছে,শুধু সেই সুরাগুলি দিয়েই তারাবিহ আদায় করতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে ইশার নামাজ মসজিদে জামায়াতের সাথেই আদায় করবেন।
(০৭)
আপনার সালাত হয়েছে।
এক্ষেত্রে আপনি যেহেতু মুক্তাদী ছিলে,তাই আপনার নামাজ হয়ে যেতো।
(০৮)
যেই তারাবিহতে পুরো কুরআন তিলাওয়াত করা হয়,সেই তারাবিহকে খতম তারাবিহ বলে।
আর যেই তারাবিহ নামাজে পুরো কুরআন তিলাওয়াত করা হয়না,সেটা সুরা তারাবিহ।
(০৯)
স্বপ্নের মধ্যে এমনটি হলে গোসল ফরজ হবে।
(১০)
এক্ষেত্রে হস্তমৈথুন বা কাহারো সাহায্যে মৈথুন করা ছাড়াই বীর্য বের হয়ে গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
(১১)
শুধু সেই অংশ শরীয়তের নিয়ম অনুপাতে তিন বার করে ধুয়ে ও প্রত্যেক বার নিংড়িয়ে নিলে পাক হয়ে যাবে।
(১২)
হ্যাঁ, আবশ্যক।
এক্ষেত্রে প্রত্যেক বার নিংড়িয়ে নেয়াও আবশ্যক।
তবে প্রবাহিত পানিতে ধোয়া হলে বিধান আলাদা।
যদি প্রবাহমান পানি যেমন, নদী, পুকুরে বা টেপের পানিতে এত বেশি করে ধোয়া হয়, যাতে নাপাকি দূর হওয়ার ব্যাপারে প্রবল ধারণা হয়ে যায় তাহলে তা পাক হয়ে যায়। এক্ষেত্রে তিনবার নিংড়িয়ে ধোয়া জরুরি নয়।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(১৩)
এক্ষেত্রে সেই কাপড় শরীয়তের নিয়ম অনুপাতে তিন বার করে ধুয়ে ও প্রত্যেক বার নিংড়িয়ে নিয়ে থাকলে সম্পূর্ণ শুকানোর পূর্বে ব্যাবহার করা যাবে। তখন সেটা পাক হবে।