আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
162 views
in পবিত্রতা (Purity) by (115 points)
edited by
https://ifatwa.info/93216/

এইখানে আমার এই মাসের হায়েজ এর ডেট ছিল(পূর্বের হায়েজের ১৫দিন পর) ২৭ ফেব্রুয়ারি। আমার ১০দিনই হায়েজ যায়।তাই ২৭-৮ মার্চ তারিখ পর্যন্ত আমার হায়েজের সময় চলছিল।কিন্তু আমার কোনো ব্লাড দেখা যায়নি কিন্তু অন্য কালারের স্রাব দেখা গিয়েছে।প্রায় সময় হলুদ স্রাব।(আর প্রায় সময় হলুদ স্রাব যাওয়াটা আমার অন্য কোনো ইনফেকশনের লক্ষণ হতে পারে!)এরপর আমি ভেবেছি আমার আর ব্লাড যাবেনা।এছাড়া ১০দিন ও কমপ্লিট হয়ে যায় অপবিত্রতার।তাই পাক হয়ে যাই।কিন্তু হায়েজের ১০দিন শেষ হওয়ার ঠিক পরেই আমার ব্লাড যাওয়া শুরু হয়।অর্থাৎ ৯ মার্চ থেকে ব্লাড যায় একদম হায়েজের মতোই।

আমার শরীরের নিয়ম হচ্ছে।যখন ব্লাড যায় এরপর পরের মাসেও ঠিক একই সময়ে ব্লাড যাবে।কোনো কোনো সময় বেশকম হতে পারে তবে এমনই হয়।

 তার মানে আবার আগামী মাসে এই মাস অনুযায়ী ব্লাড যাবে।যদি ৯তারিখই আমি হায়েজের টাইম ধরি তাহলে ১৯তারিখের পর আবার ১৫দিন পর অর্থাৎ ৩এপ্রিল থেকে আমার হায়েজ যাওয়ার সম্ভবনা আছে।কিন্তু আমি যদি আমার হায়েজের টাইম ২৮-৮মার্চ তারিখের টা ধরি তবে ২৩মার্চ আবার হায়েজের ডেট পড়বে কিন্তু এরপর থেকে পুরো ১০দিন আমার কোনো ব্লাড ই যাবেনা।আমার প্রশ্ন,

* আমার এখন যে ব্লাড যাচ্ছে এইটাকে কি ধরব?(ডাক্তার বলেছেন এইভাবে অন্য মাসে গেলেও এইটাই আমার হায়েজ টাইমিং হবে এছাড়া এই মাসে এতোটা দিন যে হলুদ স্রাব গেছে এইটা কোনো ইনফেকশনের লক্ষণ হতে পারে।)

* আর এইটা যদি ইস্তেহাযা হয় তবে তো আজীবন আমার এভাবেই হায়েজের দিনগুলোতে ব্লাড যাবেনা কিন্তু হায়েজের দিন শেষ হলেই ব্লাড যাওয়া শুরু হবে।এছাড়া অনেক ব্লাড যায় এভাবে সলাত আদায় করা অনেক অনেক টাফ।অসম্ভব ও বলা যায়। এতো প্যাড বা অন্য কিছু নেওয়াতে সময় যাবে খুব এছাড়া খরচের বিষয়  ও আছে।কিছু নিলেও সাথে সাথেই ভরে যাবে।এভাবে করে খুব কষ্টকর হবে ব্যপারটা।এছাড়া ব্যাপার যদি এমন হতো যে এক মাসেই শুধু এমন হচ্ছে তাহলে সাড়া যেতো কিন্তু এমনটা আজীবন যাবে এভাবে নিয়ম অনুযায়ী যদি ধরি।আল্লাহু আলাম।এইক্ষেত্রে আমি কিভাবে সলাত আদায় করব?প্রত্যেক ওয়াক্তে প্যাড নেওয়াও সম্ভব না।আর আমি প্যাড ই ব্যবহারে অভ্যস্ত  । কিন্তু এক ওয়াক্তেই প্যাড ভরে যাবে।অর্থ্যাৎ বুঝাতে চাচ্ছি এক ওয়াক্তেই প্যাডে ৫সিকির চেয়ে বেশি ব্লাড লেগে থাকবে এরপর আবার প্যাড নেওয়া সম্ভব না।এছাড়া অযু ও অনেকবার ভাঙ্গবে  এভাবে বাথরুমে অনেকটা সময় আমার চলে যাবে।অন্যান্য কাজেবাধা সৃষ্টি হবে।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।   

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
পূর্বের হায়েজ যেদিন বন্ধ হয়েছিলো,তারপর দিন থেকে হিসাব করলে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট কয়দিন হয়?

যদি ১৫ দিন বা তার চেয়ে বেশি হয়,সেক্ষেত্রে 
২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে হলুদ স্রাব আসার দিনগুলো হায়েজ বলেই গন্য হবে।
এক্ষেত্রে যেহেতু ১০ দিন পর অর্থাৎ ৯ মার্চ থেকে ব্লাড আসছে, সুতরাং এমতাবস্থায় পূর্বের মাস গুলোর আপনার হায়েজের যে  অভ্যাস আছে,২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুধু সেই কয়দিন হায়েজ হিসেবে ধরবেন।
বাকি দিন গুলি ইস্তেহাজা।
সুতরাং এমতাবস্থায় নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।


আগের মাসের হায়েজ বন্ধের পর দিন হতে ২৭ ফেব্রুয়ারির মাঝে পবিত্রতার যদি নুন্যতম ১৫ দিন অতিবাহিত না হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে ১৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার দিন থেকে হায়েজ ধরতে হবে।
তার আগের দিন গুলি ইস্তেহাজা। 

এমতাবস্থায় পূর্বের মাস গুলোর আপনার হায়েজের যে অভ্যাস আছে, সেই কয়দিন হায়েজ হিসেবে ধরবেন।
পরবর্তী বাকি দিন গুলি ইস্তেহাজা।
সুতরাং এমতাবস্থায় নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।

কোনো  অস্পষ্টতা থাকলে কমেন্ট বক্সে উল্লেখ করতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (115 points)
এভাবে ইস্তেহাযা গেলে তাহলে কিভাবে সলাত আদায় করব?তারাবিহ ও আছে!এতবার কিভাবে অযু বানাব?
by (565,890 points)
এক্ষেত্রে আপনি মা'যুর হলে এক বার অযু করে সেই ওয়াক্তের মধ্যে যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করতে পারবেন।
পরবর্তী ওয়াক্তে পুনরায় অযু করে নিবেন।

আর যদি আপনি মা'যুর না হোন,সেক্ষেত্রে পাক হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন।

পাক হলেই অযু করে এসে নামাজ আদায় করবেন।
by (565,890 points)
আপনি মা'যুর কিনা,এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 163 views
...