আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
43 views
in পবিত্রতা (Purity) by (115 points)
আমি একজন রুকইয়াহ পেশেন্ট।কোনো কোনো রুকইয়াহ পেশেন্টের হায়েজের দিনগুলোতে প্রব্লেম হয়।হয় হায়েজ হয়না,হয় ইস্তেহাযা হয়,নাহয় অনিয়মিত হায়েজ হয়।


আলহামদুলিল্লাহ আমার নিয়মিত হায়েজ হতো।কিন্তু ৫/৬ মাস আগে আমার হায়েজের সময় শুধু হলুদ স্রাব যেতো (হায়েজের প্রথমদিকে)

১০দিনের শেষদিকে আবার ব্লাড যেতো,এরপর ইস্তেহাযাও হতো।


কিন্তু এই মাসে ১০দিনে কোনো ব্লাড ই দেখা যায়নি। শুধু হলুদ স্রাব দেখা গিয়েছে।(ডাক্তার বলেছেন এভাবে এতোদিন হলুদ স্রাব যায়না এইটা আমার কোনো ইনফেকশনের সমস্যা হতে পারে)।

এরপর আমি পাক হয়ে যাই।কিন্তু এরপরদিনই অর্থাৎ ১০দিন পরই আমার ব্লাড যাওয়া শুরু হয় যেভাবে হায়েজের দিনগুলোতে যায়!


এখন আমি সন্দেহে পড়ে যাই যে আমার হয়তো হায়েজ ই হয়েছে।এছাড়া আমি রুকইয়াহ পেশেন্ট আমার এমন হতেও পারে।

এরপর আমি আইওএমের আই ক্লিনিকে ডাক্তার দেখাই । উনি বলেছেন আগামী মাসে দেখতে হবে আমার আগের মাসিক টাইমেই হায়েজ হচ্ছে নাকি এই যে এইবার যে টাইমে ব্লাড গিয়েছে সেই টাইমে ব্লাড যাচ্ছে,যদি এভাবেই চলতে থাকে তাহলে এইটাই আমার মাসিকের সময়।

মেডিকেল টার্ম অনুযায়ী এখন আমার হায়েজ চলছে।কিন্তু শরীয়ত অনুযায়ী তো আমার ইস্তেহাযা হচ্ছে।আবার চিন্তা করছি আমি যেহেতু রুকইয়াহ পেশেন্ট তাই আমার অন্য সমস্যাও হতে পারে।এখন এইক্ষেত্রে আমি এইটাকে কি ধরব?আমি এখনো সলাত আদায় করছিনা,সামনে রোজা রাখব কি রাখব না সেটাও বুঝতে পারছিনা।আমি কি এখন এইটাকে হায়েজ ধরব?

1 Answer

0 votes
by (676,960 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।   

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আগের মাসের হায়েজ বন্ধের দিন হতে এই মাসের যে দিন হলুদ স্রাব দেখা গিয়েছে,উভয় সময়ের মাঝে পবিত্রতার যদি নুন্যতম ১৫ দিন অতিবাহিত হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে হলুদ স্রাব আসার দিনগুলো হায়েজ বলেই গন্য হবে।
(এক্ষেত্রে যেহেতু ১০ দিন পরেও ব্লাড আসছে,সুতরাং এমতাবস্থায় পূর্বের মাস গুলোর অভ্যাস এর দিন অনুপাতে হায়েজ এর দিন হিসাব করতে হবে।)

আর যদি উভয় সময়ের মাঝে পবিত্রতার যদি নুন্যতম ১৫ দিন অতিবাহিত না হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে হলুদ স্রাব আসার দিনগুলো হায়েজ বলেই গন্য হবেনা।

পবিত্রতার ১৫ দিন পর হতে হায়েজ বলে গন্য হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 74 views
...