আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)

১. স্ত্রী কে বা অন্য কোথাও সংখ্যা লিখার পরে কেও যদি তালাকের নিয়ত পরে, নিয়ত নিয়ে লিখা নয় লিখার পরে নিয়ত করে এতে কি তালাক পতিত হয়?

শায়েখ আমার আগমীকাল আনুষ্ঠানিক বিবাহ তার আগে দুইএকটি বিষয় না জানলে শান্তি পাচ্ছি না কোনো ভাবেই, এইগুলো ওসওয়াসা কি না তাও পরিষ্কার বুঝতেছিনা।প্লিজ বিশেষ বিবেচনায় জবাব দিয়ে একটু সাহায্য করুন...

২.কারো যদি বউকে ম্যাসেজে একটি সংখ্যা লিখে দেওয়ার সময়, সংখ্যা টি লিখে যদি তার মাথায় তালাক শব্দ চলে আসে, , কিন্তু মাঝে মাঝে এই শব্দ মাথা থেকে তাড়াতে এতে কি কোনো সমস্যা হবে? মাঝে মাঝে শব্দটি তাড়ানোর চেষ্টা করি কিন্তু মাঝে মাঝে তাড়াই না মনে গয় যেমন ইচ্ছে করেই মনে মনে আনছি।..
( তার মাথায় প্রায়ই বিভিন্ন সংখ্যা উল্লেখের সময়, তালাকের ভাবনা, কল্পনা ইত্যাদি চলে আসে,যদিও তার স্ত্রী ত্যাগের কোনো ইচ্ছেই নাই)

৩. স্ত্রী যদি বলে "আমি কি তোমাকে ছেড়ে দেবো এখন?" এই কথা বলার পরে যদি স্বামী চুপ থাকে ও পরবর্তী তে বউ নিয়ত ছাড়া কোনো কেনায়া বাক্য বলে, তাহলে কি তালাক পতিত হয়?

(যেমন: আমি তোমার সাথে নাই, তুমি তোমার পথে যাও ইত্যাদি)

৪. বউকে টাকা দিবো বুঝানোর জন্য "কালকে তোমারে ৫ হাজার টাকা" এই লেখা লেখার সময় অভ্যাসের ধরুন মনের মাঝে "কালকে তোমারে ৫হাজার " লিখার পরে মনে মনে তালাক শব্দটি চলে আসে, কিন্তু তার বউকে ত্যাগের ইচ্ছেই নাই, এতে কি তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
উত্তর গুলো একটু জানিয়ে দিবেন প্লিজ...
জানলে এই সমস্যা গুলো হবে না আর... ইনশাআল্লাহ না জানায় মনের মাঝে অশান্তি লাগছে

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...