আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
104 views
in সালাত(Prayer) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ।  বিভিন্ন ওয়াক্তের নামাযে কি বিভিন্ন রাকাআতে একই সূরা একাধিকবার পড়া যাবে। যেমন : তারাবিহর নামায তো বিশ রাকাআত এখন এই বিশ রাকাআতের প্রত্যেক রাকাআতে কি সূরা ফাতিহার সাথে মিলিয়ে কি বিশটা সূরায় পড়তে হবে

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/4007/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে:-
কুরআনে কারীমের কয়েকটি সূরা জানা থাকলে, প্রত্যেক রা'কাতে পৃথক পৃথক সূরা পড়াই নিয়ম ও উত্তম।কিন্তু কেউ যদি পরপর একাধিক রা'কাতে একই সুরাকে পড়ে নেয়,তাহলে সেটা তার জন্য জায়েয রয়েছে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

 عن رجل من جهينة : " سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : يَقْرَأُ فِي الصُّبْحِ ( إِذَا زُلْزِلَتْ الْأَرْضُ ) فِي الرَّكْعَتَيْنِ كِلْتَيْهِمَا ، فَلَا أَدْرِي أَنَسِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمْ قَرَأَ ذَلِكَ عَمْدًا "

রাসূলুল্লাহ সাঃ পরপর দুই রা'কাতে সূরা যিলযাল পড়েছেন।রাবী বলছেন,আমি জানি না, রাসূলুল্লাহ ভুলে পড়েছেন না ইচ্ছাকরে পড়েছেন।(সুনানু আবি-দাউদ-৮১৬)

শায়েখ আলবানী রাহ, বলেন,
"والظاهر أنه صلى الله عليه وسلم فعل ذلك عمدا للتشريع"
রাসূলুল্লাহ সাঃ বৈধতা বুঝানোর জন্যই এমনটা করেছেন।(আস-সালাত-৯০)

হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ عَائِشَةَ رضي الله عنها أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ رَجُلًا عَلَى سَرِيَّةٍ وَكَانَ يَقْرَأُ لِأَصْحَابِهِ فِي صَلَاتِهِمْ فَيَخْتِمُ بِقُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ .... إلخ الحديث

রাসূলুল্লাহ সাঃ একজন সাহাবীকে আমীর বানিয়ে প্রেরণ করলেন।ঐ সাহাবী প্রত্যেক রাকাত বা প্রত্যেক দ্বিতীয় রা'কাতে সূরা ইখলাছ পড়তেন।রাসূলুল্লাহ নিষেধ করেননি।
(সহীহ বুখারী-৭৩৭৫,সহীহ মুসলিম-৮১৩)
 
ইবনুল আরাবি রাহ বলেন,
فَكَانَ هَذَا دَلِيلًا عَلَى أَنَّهُ يَجُوزُ تَكْرَارُ سُورَةٍ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ
এই হাদীস সমূহ প্রমাণ হল,পরপর একাধিক রা'কাতে এক সূরাকে পড়া যাবে(আহকামুল কুরআন-৪/৪৬৮)

ফরজ ওয়াজিব সুন্নত অথবা নফল  নামাজের  ক্ষেত্রে একই রাকাতের সুরা ফাতেহার সাথে দুই বা ততোধিক সূরা পাঠ করা যাবে।ফরয ওয়াজিব নামাযে সূরা সমূহের মধ্যকার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব।নফল নামাযে মুস্তাহাব।
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে- 
وإذا جمع بين سورتين بينهما سور أو سورة واحدة في ركعة واحدة يكره وأما في ركعتين إن كان بينهما سور لا يكره وإن كان بينهما سورة واحدة قال بعضهم: يكره، وقال بعضهم: إن كانت السورة طويلة لا يكره. هكذا في المحيط كما إذا كان بينهما سورتان قصيرتان. كذا في الخلاصة. وقال بعضهم: لا يكره أصلا
যদি কেউ একই রা'কাতে এমন দু'টি সূরা তেলাওয়াত করে যে দু'টি সূরার মধ্যখানের অনেক সূরা রয়েছে,বা একটি সূরা রয়েছে,তাহলে এমনটা করা মাকরুহ।তবে যদি দুই রা'কাতে কেউ এমন দু'টি সূরা তেলাওয়াত করে যে দু'টি সূরার মধ্যখানে অনেক সূরা রয়েছে,তাহলে সেটা মাকরুহ হবে না।আর যদি ঐ দু'টি সূরার মধ্যখানে একটি সূরা থেকে যায়,তাহলে কেউ কেউ এটাকে মাকরুহ বলেছেন।এবং কেউ কেউ বলেন,যদি মধ্যখানের সূরা বেশ দীর্ঘ হয়,তাহলে মাকরুহ হবে না।ঠিক তেমনি দু'টি ছোট ছোট সূরা থাকলে মাকরুহ হবে না।(খুলাসাহ)
আর কেউ কেউ বলেন,এমনটা করলে কোনো অবস্থাতেই মাকরুহ হবে না।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1903

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
তারাবিহ নামাজ বিশ রাকাত হলেও আপনি তো এক তাকবীরে তাহরিমার সাথে বিশ রাকাত আদায় করছেননা।

আপনি দুই রাকাত দুই রাকাত করে আদায় করছেন।

এক্ষেত্রে দুই রাকাতের ১ম রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে সুরা ইখলাস পড়ে ২য় রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে অন্য সুরা পড়বেন।

এরপর আবার দুই রাকাতের নিয়ত বেধে ১ম রাকাতে সুরা ইখলাস পড়তে পারবেন।

প্রতি দুই রাকাতের হিসাব আলাদা আলাফা হবে।

দুই রাকাত নামাজের সুরা গুলিকে পরবর্তী দুই রাকাত নামাজেও আবার পড়তে পারবেন।

কোনো সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...