আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
218 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
গত দুইদিন ধরে আমার স্বামীর সাথে কিছু বিষয়ে মান অভিমান চলছিলো, আমি তার ব্যবহারে প্রচন্ড কষ্ট পেয়েছি বলার পর ও সে অনুতপ্ত ছিল না বরং আমাকে আরো কষ্ট দিচ্ছিলো।
আমরা দুজন দুই জায়গায় থাকি আমাদের যেহেতু মেসেজে কথা হয় তাই আমি রাগ করে তাকে ব্লক করে রাখি, আর তাকে বলেছিলাম আমি এত কষ্ট পেতে চাই না আর, আমি বাকি জীবন নিজের বাবা মা কে নিয়ে থাকতে চাই। আমি তালাক চেয়ে বলিনি আমি শুধু চাইছিলাম যেহেতু আমি এত কষ্ট পাচ্ছি তার কাছে তাহলে আমি দূরে ই থাকি, যোগাযোগ না করি তাহলে কষ্ট পেতে হবে না।
পরে আবার সে ফোন করে রিকুয়েস্ট করে আনব্লক করার জন্য তখন আমি আনব্লক করে তাকে বলি "তুমি প্লিজ আমাকে আর ফোন দিও না, আমি আর কষ্ট পেতে চাই না।" আরো অনেক তর্ক হয়, অনেক কথা হয়, এক পর্যায়ে আমার স্বামী বলে যে,
" আচ্ছা ব্লক করে দাও, তুমি নিজের মতো থাকতে চাও তো.........আর কি বলবো...মনে পরলে ফোন দিও।"
আমার স্বামীকে জিজ্ঞেস করায় সে বলেছে, এই কথা বলার সময় সে মনে মনে ভেবেছে তার তালাকের নিয়ত নাই, সে শুধু কষ্ট পেয়ে বলেছে, রাগ করেও বলেনি।

"তুমি নিজের মতো থাকো" এভাবেও বলেনি, বলেছে "নিজের মতো থাকতে চাও তো..." বলে থেমে গেছিলো...

আর আমি প্রথম বার ব্লক করার আগে এই কথা বলেছিলাম যে, আমি বাকি জীবন আব্বু আম্মুকে নিয়ে থাকতে চাই। আমি আসলে রাগ করে বলেছিলাম যে যেহেতু কথা হলেই আমি কষ্ট পাচ্ছি বরং আমরা যোগাযোগ না করি, আমি আমার বাবা মা কে নিয়ে ই থাকি, তালাক চাওয়া আমার উদ্দেশ্য ছিলো না।

 তার অনেক পরে আমি আবার আনব্লক করি এবং বলি আমাকে আর ফোন দিবা না, আরো অনেক কথা হয় সে আমাকে কিভাবে কষ্ট দিয়েছে এসব নিয়ে তার এক পর্যায়ে সে বলে" ঠিক আছে, ব্লক করে দাও, তুমি নিজের মতো থাকতে চাও তো.....আর কি বলবো..মনে পরলে ফোন দিও..."

এখন আমার ভয় হচ্ছে এখানে কি আমার পক্ষ থেকে বিচ্ছেদ চাওয়া হয়েছে আর তার এই কথায় কি সেটা সম্মতি সূচক বোঝায়? যদিও সে এই কথা বলার সময় মনে ভেবেছে যে সে কোন তালাক বা বিচ্ছেদের নিয়তে বলছে না।

অনেক দুশ্চিন্তা হচ্ছে আমাকে দয়া করে জানাবেন  আমাদের কি তালাক হয়ে গেছে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুযাকারায়ে তালাক বা তালাকের আবােদন/ আলোচনার প্রেক্ষাপট 
 وفي حالة مذاكرة الطلاق يقع الطلاق في سائر الأقسام قضاء إلا فيما يصلح جوابا وردا فإنه لا يجعل طلاقا كذا في الكافي 
মুযাকারায়ে তালাকের মুহূর্তে সকল প্রকার কেনায়া তালাকের শব্দ দ্বারা (কাযা'আন) তালাক পতিত হবে,(তবে দিয়ানাতান তালাক হবে না)। হ্যা, যেই সব শব্দ দ্বারা তালাকের আবেদনকে গ্রহণ এবং প্রত্যাহার উভয়টাই বুঝাবে,সেই সব শব্দ দ্বারা তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

প্রশ্ন জাগে,মুযাকারায়ে তালাক কাকে বলে?
এ বিষয়ে রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
"(قَوْلُهُ: وَهِيَ حَالَةُ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ) أَشَارَ بِهِ إلَى مَا فِي النَّهْرِ مِنْ أَنَّ دَلَالَةَ الْحَالِ تَعُمُّ دَلَالَةَ الْمَقَالِ قَالَ: وَعَلَى هَذَا فَتُفَسَّرُ الْمُذَاكَرَةُ بِسُؤَالِ الطَّلَاقِ أَوْ تَقْدِيمِ الْإِيقَاعِ كَمَا فِي اعْتَدِّي ثَلَاثًا وَقَالَ قَبْلَهُ الْمُذَاكَرَةُ أَنْ تَسْأَلَهُ هِيَ أَوْ أَجْنَبِيٌّ الطَّلَاقَ".
( كتاب الطلاق، بَابُ الْكِنَايَاتِ، ٣ / ٢٩٧)
মুযাকারায়ে তালাকের অর্থ হল, স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন করা ,অথবা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন এবং তামান্না করা। এই উভয় প্রকারকে 'মুতালাবায়ে তালাক বা মুযাকারায়ে তালাক' নামে অভিহিত করা হয়।তাছাড়া স্বামী যদি ইতিপূর্বে স্ত্রীকে এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকে,তাহলে এদ্বারাও মুযাকারায়ে তালাক প্রমাণিত হবে।এই তৃতীয় প্রকারকে  তাকদীমূল ঈ'কা বলা হয়ে থাকে।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৯৭) 

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1049

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে তালাক হবে না। প্রথমত এখানে তালাকের আবেদন বুঝা যাচ্ছে না, তাছাড়া এখানে স্বামীর তালাক প্রদানের কোনো নিয়তও ছিলনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...