(০১)
رُجُو ع [رجع]
[রুজূ'] শব্দের অর্থঃ-
প্রত্যাবর্তন
প্রত্যাগমন
পুনরাগমন
আশ্রয়গ্রহণ
প্রত্যাহার।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কেউ কোনো কথা বা কাজ ভুল করলে সেই ভুল স্বীকার করে সেই কথা/কাজ প্রত্যাহার করে নেয়ার নামই রুজু করা।
(০২)
এক্ষেত্রে বৈধ প্রয়োজনীয় কথা ছাড়া অতিরিক্ত কথা বলা যাবেনা। ফিতনার আশংকা থেকে মুক্ত থেকে চলতে হবে। দৃষ্টি নত রেখে কথা বলতে হবে।
ইস্তেগফার চালিয়ে যেতে হবে।
(০৩)
সেখানে অবশ্যই চেহারা হাত,পা সহ পূর্ণ শরীর ঢাকতে হবে।
এখানে ইমামতি বা জামাত্র নামাজ পড়া হলে সেটি মাকরুহে তাহরিমি বলে বিবেচিত হবে।
(০৪)
আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ صَلاَةَ حَائِضٍ إِلاَّ بِخِمَارٍ
আল্লাহ তাআলা খিমার পরিধান করা ব্যতীত কোন প্রাপ্ত বয়স্কা নারীর নামাজ কবুল করেন না। (সুনান আবু দাউদ ৬৪১)
অন্য বর্ণনায় এসেছে-
عَنْ عَائِشَةَ: «أَنَّهَا كَانَتْ تَطُوفُ بِالْبَيْتِ وَهِيَ مُنْتَقِبَةً»
হযরত আয়শা সিদ্দিকা রাঃ বাইতুল্লাহ তওয়াফ করতেন পর্দাবৃত অবস্থায়। {মুসন্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৮৮৫৯}
মহিলাদের সতর কতটুকু?
ﻭَﻟِﻠْﺤُﺮَّﺓِ ﺟَﻤِﻴﻊُ ﺑَﺪَﻧِﻬَﺎ ﺧَﻠَﺎ ﺍﻟْﻮَﺟْﻪِ ﻭَﺍﻟْﻜَﻔَّﻴْﻦِ ﻭَﺍﻟْﻘَﺪَﻣَﻴْﻦ
মুখমণ্ডল, দুই হাত কবজি পর্যন্ত ও টাখনুর নিচে পায়ের পাতা ছাড়া মহিলাদের সারা শরীরই সতর। (রদ্দুল মুহতার ১/৪০৪)
সুতরাং নামাজের সময় মহিলাদের জন্য পরপুরুষ দেখার সম্ভাবনা না থাকলে মুখমণ্ডল, দু হাতের কব্জি ও পায়ের পাতা খোলা রাখা আবশ্যক নয়।
★মহিলারা নামাজে টাখনুর নিচে পায়ের পাতা ছাড়া পুরো অংশ ডাকবে।
টাখনুর নিচ পর্যন্ত ঢাকা ফরজ।
সতর্কতামূলক গোড়ালি পর্যন্ত ঢাকা উচিত।
মেয়েদের নামাজের সময় গোড়ালি ঢাকলেই হবে। পায়ের উপরের পাতা এবং পায়ের আঙ্গুল সহ ঢাকতে হবেনা।