আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
55 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته.. সম্মানিত শাইখ, আমার প্রশ্ন:

১. Nurma নামের অর্থ কি? (দাদীর দেওয়া নাম..)

২. একাডেমিক অনেক খরচের বই, খাতা এগুলো পড়ার জন্য কিনে যথাযথ না পড়লে পরে বেছে দেওয়ার অবস্থা হলে এগুলোর হক নষ্টের ভয় করছে। এমন অবস্থায় এগুলোর হক আদায়ের কোনো উপায় কি আছে? ইস্তিগফার করেছি।

দয়া করে জানাবেন। جزاك الله خير

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/52953/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কুরআন অতীব পবিত্র ও সম্মানের বস্তু। আর তাই কোনভাবে যেন তার সম্মানহানি না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই সম্ভবত: সাহাবায়ে কেরাম অব্যবহারযোগ্য কুরআনের কপিগুলো পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মূল কুরায়শী আরবিতে কুরআন নাযিল হয়েছিল। পরে অন্য উপভাষাতেও কুরআন পাঠের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তাতে শব্দ ও মর্ম গত বিপত্তি দেখা দিলে ৩য় খলীফা উসমান (রাঃ) কুরআনের মূল কুরায়শী কপি রেখে বাকি সব কপি পুড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। বর্তমানে কেবল সেই কুরআনই সর্বত্র পঠিত হয় (বুখারী, মিশকাত হা/২২২১)।

পোড়ানোর ক্ষেত্রেও লক্ষ্য রাখতে হবে যেন, কুরআনের অক্ষরগুলো চেনা না যায়। কেননা, অনেক সময় পোড়ানো কাগজেও অক্ষর দেখা যায়। তাই ছাইগুলোও এমনভাবে গুড়া করে দিতে হবে যেন কুরআনের অক্ষরগুলো সম্পূর্ণরূপে মুছে যায়।

আধুনিক যুগে কাগজ গুড়া করার মেশিন (Paper shredder)পাওয়া যায়। এ সব মেশিন ব্যবহার করেও কুরআনের অকেজো পাতাগুলোকে খুব সূক্ষ্মভাবে গুড়া করা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন, গুড়া করার পর কুরআনের কোন অক্ষর অক্ষত না থাকে।

তবে অনেক আলেম বলেছেন যে, তা এমন স্থানে দাফন করাও জায়েয রয়েছে যেখানে মানুষজন চলাফেরা করে না বা যেখানে ময়লা ফেলা হয় না। তবে ১ম পদ্ধতিটি সর্বোত্তম। কেননা, এ মর্মে সাহাবীদের আমল রয়েছে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে কুরআনের আয়াত লিখিত খাতা বা কাগজ এমন কারো কাছে বিক্রি করা জায়েয হবে না, যে সেগুলির আদব রক্ষা করতে পারবে না। সুতরাং এমন পরিস্থিতিতে অত্যন্ত আদব ও সম্মানের সাথে নির্দিষ্ট কোন স্থানে উপরে উল্লেখিত পন্থায় পুড়িয়ে ফেলা জায়েয আছে। অর্থাৎ পোড়ানোর ক্ষেত্রেও লক্ষ্য রাখতে হবে যেন, কুরআনের অক্ষরগুলো চেনা না যায়। কেননা, অনেক সময় পোড়ানো কাগজেও অক্ষর দেখা যায়। তাই ছাইগুলোও এমনভাবে গুড়া করে দিতে হবে যেন কুরআনের অক্ষরগুলো সম্পূর্ণরূপে মুছে যায়। অতপর উত্তম হবে যে, সেই ছাইগুলি কোন পবিত্র স্থানে দাফন করা।

শরীয়তের বিধান হলো কাউকে কোনোভাবেই ধোকা দেওয়া জায়েজ নেই। সুতরাং ক্রয় বিক্রয়ের সময় ধোকা দেওয়া যাবেনা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

১. Nurma Meaning: Successful, Problem Avoider, Noble। তবে এরচেয়েও আরো সুন্দর অনেক ইসলামিক নাম রয়েছে। উত্তম নামে নাম করণ উচিত।

২. যদি একাডেমিক বই-খাতাগুলোর মালিক আপনি হোন তাহলে আপনার মালিকানাধীন বই খাতা আপনার জন্য বিক্রি করা জায়েয আছে। তবে কুরআনের আয়াত লিখিত বই, খাতা বা কাগজ এমন কারো কাছে বিক্রি করা জায়েয হবে না, যে সেগুলির আদব রক্ষা করতে পারবে না।

বি:দ্র: পড়ালেখায় ফাঁকি বা ধোকা দেওয়া বা মাতা পিতার সাথে প্রতারণার করা অবশ্যই গুনাহের কাজ, যা পরিত্যায্য।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...