আমি একজন মেয়ে আলহামদুলিল্লাহ,আমার ওয়াসওয়াসা এর একটু সমস্যা আছে,একটু এইজন্য বলছি আগে বেশি ছিল,এখন আমি এই রিলেটেড অনেক ভিডিও দেখেছি আলহামদুলিল্লাহ তাই আলহামদুলিল্লাহ সেইসব বিষয়ের কনফিউসন দুর হয়েছে,তবু এখনো কিছু অজানা বিষয় আছে।তাই উত্তর দিলে উপকৃত হব ইন শা আল্লাহ।
১.বাসায় গীবত নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়,বড় দের গীবতে বাধা দেয়া কঠিন ব্যাপার,বিশেষ করে আম্মু কে,আম্মু আমার কাছে আব্বুর ভুল ত্রুটি বর্ণনা করে,আমি বলি থাক বাদ দাও,তুমি আল্লাহর কাছে দুআ কর,আবার মাঝে মাঝে বলি এসব বললে তো তোমার ই গুনাহ হবে,আর মাঝে মাঝে বাধা দিতে অনেক জড়তা কাজ করে,কারণ গীবত তো অঙ্গভঙ্গি বা কথার ভিন্ন সুরে ও হতে পারে,বাধা দেয়ার পর ও বলতে থাকে,পরবর্তী সময়ে আবার বলে,আবার পরিবারের সদস্য রা অনেক কথা কে গীবত মনে করে করে না,বাধা দিলে রাগ করে,মনমালিন্য হয়,আম্মুর ক্ষেত্রে বাঁধা দিতে গিয়ে আম্মু এখন পর্যন্ত রাগারাগি করে নাই কিন্তু আমার অনেক জড়তা কাজ করে,সেটা ও কথা না,সমস্যা হচ্ছে একটু পর এসে আবার গীবত করে, কতবার বাধা দিব?কি করা উচিত?আর আমি যদি বাধা দিতে ব্যার্থ হই তাহলে মানুষকে প্রাধান্য দেয়ার কারনে কি শিরক হয়ে যাবে?
২.আমি গ্রামের বাড়ি আসছি বেড়াতে,ঢাকা পর্যন্ত দুরত্ব ১০০ কিমি এর ওপরে, কথা ছিল আব্বু আমাকে ঢাকায় গিয়ে দিয়ে আসবে,আমি সেখানে পড়াশুনা আর টিউশন করি আলহামদুলিল্লাহ,এখন আব্বু আমাকে বলছে দিয়ে আসবে না,আমাকে আমার খালা মামী দের সাথে যেতে বলে কোন মাহরাম ছাড়া,এখন যদি আমি বলি আমি মাহরাম ছাড়া যাব না তাহলে ঝামেলা লাগবে রাগারাগি হবে যেটা আপনি আমার আগের প্রশ্ন থেকে বুঝতে পারবেন ইন শা আল্লাহ,আমি যদি বেশি ঝামেলা করি যে না নিয়ে গেলে পড়বো না তাহলে হয়তো অনেক রাগারাগি করে নিয়ে যেতে পারে আবার না ও নিয়ে যেতে পারে,এক্ষেত্রে আমি কি করতে পারি,এছাড়া আর কোন মাহরাম নাই।
৩. আমর খালাত ভাই এর বয়স এখন প্রায় ১৩ আলহামদুলিল্লাহ,বুঝতেসি যে ওর থেকে এখন পর্দা করা উচিত,আমি নানু দের সাথে তিনতলা থাকি আর ওরা থাকে ৫ তলা,সমস্যা হচ্ছে দুই জনের ই নানুর বাসা,তাই খালাত ভাই যখন তখন চলে আসে,আমি তার সামনে কিভাবে পর্দা করতে পারি?
৪.আমার দুই যমজ ভাই এর বয়স সাড়ে তের এবং প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার কাছাকাছি আলহামদুলিল্লাহ,আমার বাবা মা আমাকে আলাদা রুমে একাকী রাত্রি যাপনে বাধা দেয় আর ভাই দের সাথে একই বিছানায় থাকতে বলে এবং পৃথক লেপ নিতে বলে,আমি অসম্মতি জানালে বাসায় ঝামেলা তৈরি হয় এবং শেষমেশ আমাকে একই রুমে নিচে বিছানা করে দিয়েছে আর ভাই রা উপরে শুয়েছে,এভাবে থাকা কি জায়েজ হবে?এক্ষেত্রে আমি কি করতে পারি ?মা বলে সব মেনে চলা যায় না কিভাবে ওনাকে বুঝাতে পারি বুঝলে আর এমন করবে না ইন শা আল্লাহ।
৫.উকুন না মেরে ফেলে দিলে কি গুনাহ হবে,অনেক সময় বাথরুমে পিঁপড়া থাকে এর ওপর পানি ঢেলে দিলে কি গুনাহ হবে?
৬.পর্দার ক্ষেত্রে কি একরঙা কাপড় ই ব্যাবহার করতে হবে?ছাদে যাওয়া বা গ্রামে উঠানে গেলে মানুষ দেখে ফেলার সম্ভাবনা থাকে তাই জামার ওপর নামাজের হিজাব যেটা কোমর পর্যন্ত কভার করে আর নিচে পায়জামা থাকে,আর যদি মুজা পড়ে নেই তাহলে এভাবে কি ছাদে বা উঠানে যাওয়া যাবে নাকি বোরকা, নিকাব পড়তে হবে?
৭.আমি সাদা স্রাব পরিষ্কার করে গোসল করেছি এবং
বের হয়ে টিস্যু দিয়ে রাখবো সেইজন্যে পায়জামা দিয়ে লজ্জাস্থানের পানি মুছেছি যেন টিস্যু ভিজে না যায় যেহুতু গোসল করে এসেছি,কিন্তু তারপর মনে হচ্ছে হাত এবং পায়জামা নাপাক হয়ে গেল কিনা,এতে কি নাপাক হবে?
৮.আমার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ফাংগাল ইনফেকশন আছে,এটা মূলত পানির কারণে হয়েছে,আমার ইস্তিঞ্জা এর সময় কল ছাড়লে শরীরে পানির ছিটা আসে,যেহুতু এই জায়গায় প্রসাব করা হয়েছে সেহেতু নাপাকী আসতেই পারে এক্ষেত্রে দেখা যায় যে আমাকে শরীরের সেই সব স্থানে পানি ঢালতে হয়,এতে আমার স্কিন এর ক্ষতি হয়,এ অবস্থায় আমি কি শুধু টিসু দিয়ে মুছে ফেললে কি পবিত্রতা অর্জন হবে?কয়টা টিসু ইউজ করলে যথেষ্ট মনে করবো?
৯.আর শরীরে নাপাক ছিটা বা প্রসাব করার পর পানির সাথে মিশ্রিত পানি এসে যদি কাপড়ে না লাগে শুধু শরীরে লাগে সেক্ষেত্রে সে স্থান টিসু দিয়ে মুছে ফেলা কি যথেষ্ট হবে নাকি পানি ই ঢালতে হবে?
১০.অনেক সময় বাথরুম এর পানি পাড়িয়ে ঘরে আসা হয়,এই পানির পরিমাণ তো খুব কম,শুকিয়ে যাওয়ার পর ও দেখা যায় অনেক ভেজা পায়ে ওই স্থান সহ পুরো ঘর পাড়ানো হয়, এক্ষেত্রে ন্যাকড়া কি ৩ বার ধুয়ে ধুয়ে নিংড়ে মুছতে হবে?যেহুতু নির্দিষ্ট জায়গায় নাপাকী নেই
১১.আমি আমার মামী আর নানুর সাথে থাকি,মামীর সাথে আমার সম্পর্ক ভালো ছিল,আলহামদুলিল্লাহ,সে এমনে ভালো,মিশুক।আগে আমি গৃহস্থালীর কাজে সাহায্য করতাম না,আমি বলতাম হেল্প লাগলে আমাকে ডাকতে,কিন্তু তারা আমাকে ডাকতো না,শুধু বলতো আমি কোন কাজ করি না,আমি জানি আমার মামী এইজন্য আমার ওপর অসন্তুষ্ট,এখন আমি আলহামদুলিল্লাহ নিজে থেকে টুকটাক হেল্প করি,কিন্তু দীর্ঘদিন তো আমি কাজ করি নাই,আমার ওপর তার দাবি থাকতে পারে,তাই আমি এটা ফেরত দিতে চাই,কি ভাবে এই ঋণ শোধ করতে পারি?(উনি বিভিন্ন কৌশলে আমাকে এসব বুঝিয়েছেন, বলে কেউ আমার জন্য কিছু করলে আমার ও তো তার জন্য কিছু করা উচিত,তারপর আমি রান্না করলে খুব একটা খায় না,তারপর বলেছে বিনা পারিশ্রমিকে কারো কাছ থেকে কিছু নেয়া পছন্দ করে না আর বলেছে আমি কাজে সাহায্য না করলে খাবার খেতে সংকোচ লাগে, মানে যেই তরকারি রান্না করার উনি কোন হেল্প করে নাই সেটা খেতে তার সংকোচ লাগে।আর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কথা বলে থাকে)
১২.বিভিন্ন সময় রেস্টুরেন্ট এ মামী আমাকে নিয়ে গিয়েছে,তখন আমার বয়স কম ছিল ,এত টাকা থাকতো না,আমি রিকশা ভাড়া ও দিতাম না,কেউ দিলে আমাকে ও যে দিতে হবে এটা আমি বুঝতাম না,এটাও কৌশলে বলেছে কেউ আমাকে খাওয়ালে আমার ও তো তাকে খাওয়ানো উচিত,এক্ষেত্রে কি আমি ঋণী থাকবো?