আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
148 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
আমি একজন মেয়ে আলহামদুলিল্লাহ,আমার ওয়াসওয়াসা এর একটু সমস্যা আছে,একটু এইজন্য বলছি আগে বেশি ছিল,এখন আমি এই রিলেটেড অনেক ভিডিও দেখেছি আলহামদুলিল্লাহ তাই আলহামদুলিল্লাহ সেইসব বিষয়ের কনফিউসন দুর হয়েছে,তবু এখনো কিছু অজানা বিষয় আছে।তাই উত্তর দিলে উপকৃত হব ইন শা আল্লাহ।

১.বাসায় গীবত নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়,বড় দের গীবতে বাধা দেয়া কঠিন ব্যাপার,বিশেষ করে আম্মু কে,আম্মু আমার কাছে আব্বুর ভুল ত্রুটি বর্ণনা করে,আমি বলি থাক বাদ দাও,তুমি আল্লাহর কাছে দুআ কর,আবার মাঝে মাঝে বলি এসব বললে তো তোমার ই গুনাহ হবে,আর মাঝে মাঝে বাধা দিতে অনেক জড়তা কাজ করে,কারণ গীবত তো অঙ্গভঙ্গি বা কথার ভিন্ন সুরে ও হতে পারে,বাধা দেয়ার পর ও বলতে থাকে,পরবর্তী সময়ে আবার বলে,আবার পরিবারের সদস্য রা অনেক কথা কে গীবত মনে করে করে না,বাধা দিলে রাগ করে,মনমালিন্য হয়,আম্মুর ক্ষেত্রে বাঁধা দিতে গিয়ে আম্মু এখন পর্যন্ত রাগারাগি করে নাই কিন্তু আমার অনেক জড়তা কাজ করে,সেটা ও কথা না,সমস্যা হচ্ছে একটু পর এসে আবার গীবত করে, কতবার বাধা দিব?কি করা উচিত?আর আমি যদি বাধা দিতে ব্যার্থ হই তাহলে মানুষকে প্রাধান্য দেয়ার কারনে কি শিরক হয়ে যাবে?

২.আমি গ্রামের বাড়ি আসছি বেড়াতে,ঢাকা পর্যন্ত দুরত্ব ১০০ কিমি এর ওপরে, কথা ছিল আব্বু আমাকে ঢাকায় গিয়ে দিয়ে আসবে,আমি সেখানে পড়াশুনা আর টিউশন করি আলহামদুলিল্লাহ,এখন আব্বু আমাকে বলছে দিয়ে আসবে না,আমাকে আমার খালা মামী দের সাথে যেতে বলে কোন মাহরাম ছাড়া,এখন যদি আমি বলি আমি মাহরাম ছাড়া যাব না তাহলে ঝামেলা লাগবে রাগারাগি হবে যেটা আপনি আমার আগের প্রশ্ন থেকে বুঝতে পারবেন ইন শা আল্লাহ,আমি যদি বেশি ঝামেলা করি যে না নিয়ে গেলে পড়বো না তাহলে হয়তো অনেক রাগারাগি করে নিয়ে যেতে পারে আবার না ও নিয়ে যেতে পারে,এক্ষেত্রে আমি কি করতে পারি,এছাড়া আর কোন মাহরাম নাই।

৩. আমর খালাত ভাই এর বয়স এখন প্রায় ১৩ আলহামদুলিল্লাহ,বুঝতেসি যে ওর থেকে এখন পর্দা করা উচিত,আমি নানু দের সাথে তিনতলা থাকি আর ওরা থাকে ৫ তলা,সমস্যা হচ্ছে দুই জনের ই নানুর বাসা,তাই খালাত ভাই যখন তখন চলে আসে,আমি তার সামনে কিভাবে পর্দা করতে পারি?

৪.আমার দুই যমজ ভাই এর বয়স সাড়ে তের এবং প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার কাছাকাছি আলহামদুলিল্লাহ,আমার বাবা মা আমাকে আলাদা রুমে একাকী রাত্রি যাপনে বাধা দেয় আর ভাই দের সাথে একই বিছানায় থাকতে বলে এবং পৃথক লেপ নিতে বলে,আমি অসম্মতি জানালে বাসায় ঝামেলা তৈরি হয় এবং শেষমেশ আমাকে একই রুমে নিচে বিছানা করে দিয়েছে আর ভাই রা উপরে শুয়েছে,এভাবে থাকা কি জায়েজ হবে?এক্ষেত্রে আমি কি করতে পারি ?মা বলে সব মেনে চলা যায় না কিভাবে ওনাকে বুঝাতে পারি বুঝলে আর এমন করবে না ইন শা আল্লাহ।

৫.উকুন না মেরে ফেলে দিলে কি গুনাহ হবে,অনেক সময় বাথরুমে পিঁপড়া থাকে এর ওপর পানি ঢেলে দিলে কি গুনাহ হবে?

৬.পর্দার ক্ষেত্রে কি একরঙা কাপড় ই ব্যাবহার করতে হবে?ছাদে যাওয়া বা গ্রামে উঠানে গেলে মানুষ দেখে ফেলার সম্ভাবনা থাকে তাই জামার ওপর নামাজের হিজাব যেটা কোমর পর্যন্ত কভার করে আর নিচে পায়জামা থাকে,আর যদি মুজা পড়ে নেই তাহলে এভাবে কি ছাদে বা উঠানে যাওয়া যাবে নাকি বোরকা, নিকাব পড়তে হবে?

৭.আমি সাদা স্রাব পরিষ্কার করে গোসল করেছি এবং
বের হয়ে টিস্যু দিয়ে রাখবো সেইজন্যে পায়জামা দিয়ে লজ্জাস্থানের পানি মুছেছি যেন টিস্যু ভিজে না যায় যেহুতু গোসল করে এসেছি,কিন্তু তারপর মনে হচ্ছে হাত এবং পায়জামা নাপাক হয়ে গেল কিনা,এতে কি নাপাক হবে?

৮.আমার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ফাংগাল ইনফেকশন আছে,এটা মূলত পানির কারণে হয়েছে,আমার ইস্তিঞ্জা এর সময় কল ছাড়লে শরীরে পানির ছিটা আসে,যেহুতু এই জায়গায় প্রসাব করা হয়েছে সেহেতু নাপাকী আসতেই পারে এক্ষেত্রে দেখা যায় যে আমাকে শরীরের সেই সব স্থানে পানি ঢালতে হয়,এতে আমার স্কিন এর ক্ষতি হয়,এ অবস্থায় আমি কি শুধু টিসু দিয়ে মুছে ফেললে কি পবিত্রতা অর্জন হবে?কয়টা টিসু ইউজ করলে যথেষ্ট মনে করবো?

৯.আর শরীরে নাপাক ছিটা বা প্রসাব করার পর পানির সাথে মিশ্রিত পানি এসে যদি কাপড়ে না লাগে শুধু শরীরে লাগে সেক্ষেত্রে সে স্থান টিসু দিয়ে মুছে ফেলা কি যথেষ্ট হবে নাকি পানি ই ঢালতে হবে?

১০.অনেক সময় বাথরুম এর পানি পাড়িয়ে ঘরে আসা হয়,এই পানির পরিমাণ তো খুব কম,শুকিয়ে যাওয়ার পর ও দেখা যায় অনেক ভেজা পায়ে ওই স্থান সহ পুরো ঘর পাড়ানো হয়, এক্ষেত্রে ন্যাকড়া কি ৩ বার ধুয়ে ধুয়ে নিংড়ে মুছতে হবে?যেহুতু নির্দিষ্ট জায়গায় নাপাকী নেই

১১.আমি আমার মামী আর নানুর সাথে থাকি,মামীর সাথে আমার সম্পর্ক ভালো ছিল,আলহামদুলিল্লাহ,সে এমনে ভালো,মিশুক।আগে আমি গৃহস্থালীর কাজে সাহায্য করতাম না,আমি বলতাম হেল্প লাগলে আমাকে ডাকতে,কিন্তু তারা আমাকে ডাকতো না,শুধু বলতো আমি কোন কাজ করি না,আমি জানি আমার মামী এইজন্য আমার ওপর অসন্তুষ্ট,এখন আমি আলহামদুলিল্লাহ নিজে থেকে টুকটাক হেল্প করি,কিন্তু দীর্ঘদিন তো আমি কাজ করি নাই,আমার ওপর তার দাবি থাকতে পারে,তাই আমি এটা ফেরত দিতে চাই,কি ভাবে এই ঋণ শোধ করতে পারি?(উনি বিভিন্ন কৌশলে আমাকে এসব বুঝিয়েছেন, বলে কেউ আমার জন্য কিছু করলে আমার ও তো তার জন্য কিছু করা উচিত,তারপর আমি রান্না করলে খুব একটা খায় না,তারপর বলেছে বিনা পারিশ্রমিকে কারো কাছ থেকে কিছু নেয়া পছন্দ করে না আর বলেছে আমি কাজে সাহায্য না করলে খাবার খেতে সংকোচ লাগে, মানে যেই তরকারি রান্না করার উনি কোন হেল্প করে নাই সেটা খেতে তার সংকোচ লাগে।আর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কথা বলে থাকে)

১২.বিভিন্ন সময় রেস্টুরেন্ট এ মামী আমাকে নিয়ে গিয়েছে,তখন আমার বয়স কম ছিল ,এত টাকা থাকতো না,আমি রিকশা ভাড়া ও দিতাম না,কেউ দিলে আমাকে ও যে দিতে হবে এটা আমি বুঝতাম না,এটাও কৌশলে বলেছে কেউ আমাকে খাওয়ালে আমার ও তো তাকে খাওয়ানো উচিত,এক্ষেত্রে কি আমি ঋণী থাকবো?

1 Answer

0 votes
by (564,690 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
এক্ষেত্রে শিরক হবেনা।

(০২)
শরীয়তের বিধান হলো  মহিলাদের জন্য তার মাহরাম পুরুষ ব্যতীত ৪৮মাইল বা তদাপেক্ষা বেশী দুরুত্বের সফর করা জায়েয নয়। এর কম হলে জায়েয আছে । তবে সর্বাবস্থায় মাহরাম পুরুষের সাথে সফর করাই উত্তম। আর গাইরে মাহরামদের সাথে সফর করা মারাত্তক গোনাহ।হাদীসে মাহরাম ব্যতীত মহিলাদের সফরের ব্যপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। -বুখারী শরীফ হা: নং১০৮৬,ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৪২।
,
সফর কমপক্ষে ৭৮ কিলোমিটারের চেয়ে কম হলে মহিলাগণ পর্দার সাথে একা একা সফর করতে পারবে। ৭৮ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি হলে স্বামী বা মাহরাম ছাড়া কারো সাথে বা একা সফর করা জায়েজ নয়। {আহসানুল ফাতওয়া-৪/৯৫}
,
عن أبي سعيد الخدري قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم لا يحل لإمرأة تؤمن بالله واليوم الآخر أن تسافر سفرا يكون ثلاثة أيام فصاعدا إلا ومعها أبوها أو ابنها أو زوجها أو أخوها أو ذو محرم منها

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ তাআলা এবং কিয়ামত দিবসের উপর ঈমান রাখে
এমন কোন মহিলার জন্য জায়েজ নয়, তিন দিন বা এর চেয়ে অধিক দিনের সফর করে অথচ তার সাথে তার পিতা, তার ছেলে, বা তার স্বামী বা তার ভাই কিংবা কোন মাহরাম না থাকে। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪২৩}
,
دَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ مُسْلِمَةٍ تُسَافِرُ مَسِيرَةَ لَيْلَةٍ، إِلَّا وَمَعَهَا رَجُلٌ ذُو حُرْمَةٍ مِنْهَا

আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মুসলিম নারীর জন্য সাথে মাহরাম (যার সাথে বিবাহ হারাম এমন আত্মীয়) ছাড়া এক রাতের রাস্তা সফর করা বৈধ নয়।
(আবু দাউদ ১৭২৩)

হাদীস শরীফে এসেছে, ইবনে আববাস রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী করীম ﷺ বলেছেন,

لاَ تُسَافِرِ الْمَرْأَةُ إِلاَّ مَعَ ذِي مَحْرَمٍ، وَلاَ يَدْخُلُ عَلَيْهَا رَجُلٌ إِلاَّ وَمَعَهَا مَحْرَمٌ ”. فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَخْرُجَ فِي جَيْشِ كَذَا وَكَذَا، وَامْرَأَتِي تُرِيدُ الْحَجَّ. فَقَالَ ” اخْرُجْ مَعَهَا

কোনো মহিলা তার মাহরাম ব্যতিরেকে সফর করবে না এবং কোনো পুরুষ মাহরাম ছাড়া কোনো মহিলার নিকট যাবে না। অতপর এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি অমুক সৈন্যদলের সাথে জিহাদে যেতে চাই আর আমার স্ত্রী হজ্বে যেতে চায়। নবী করীম ﷺ বললেন, তুমিও তার সাথে হজ্বে যাও। (সহীহ বুখারী ১৭৪০)
,
উক্ত হাদিস থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়, মাহরাম ব্যতীত সফর করতে না পারার এই হুকুম সকল প্রকার সফরের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য; এমনকি হজ্জের সফরের ক্ষেত্রেও।

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُسَافِرَ سَفَرًا يَكُونُ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَصَاعِدًا إِلاَّ وَمَعَهَا أَبُوهَا أَوْ أَخُوهَا أَوْ زَوْجُهَا أَوِ ابْنُهَا أَوْ ذُو مَحْرَمٍ مِنْهَا "

আবু সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ ও আখিরাতের উপর যে সকল মহিলা ঈমান রাখে, তার সাথে তার পিতা অথবা তার ভাই অথবা তার স্বামী অথবা তার ছেলে অথবা তার কোন মাহরাম আত্মীয় না থাকলে সে সকল মহিলার জন্য তিন দিন বা তার বেশি সময় (একাকী) সফর করা বৈধ নয়।

ইবনু মাজাহ (২৮৯৮) তিরমিজি ১১৫৯

আরো জানুনঃ
.
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু এই সফরে আপনার,আপনার খালার,আপনার মামীর কাহারোই কোনো মাহরাম পুরুষ নেই,সুতরাং এই সফরের দরুন সকলের গুনাহ হবে। 

যেহেতু কোনোভাবেই আপনি মাহরাম পুরুষ এর সাথে যেতে পারছেননা,তাই এভাবে সফর করলে পরবর্তীতে তওবা করে নিতে হবে। 

(০৩)
সে আসলে আপনি তার সামনে হিজাব দয়ে চেহারা ঢেকে রাখবেন।
উড়না দিয়ে হাত ঢাকবেন।
শালীন ও ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করবেন। সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবেন।

(০৪)
নিম্নের লিংকে প্রদত্ত ফতোয়া আপনার অভিভাবকদের পড়তে দিবেন।

(০৫)
উকুন না মেরে ফেলে দিলে গুনাহ হবেনা। বাথরুমে পিঁপড়ার ওপর পানি ঢেলে দিলে গুনাহ হবেনা।

(০৬)
ছাদে উঠার জন্য বোরকা নিকাব পড়া বাধ্যতামূলক নয়।
তবে চেহারা হাত পা সহ পূর্ণ শরীর ঢাকা আবশ্যক। 
সুতরাং শালীন ও ঢিলেঢালা পোশাক পড়ে হিজাব পড়ে, পা মোজা পড়ে চেহারা হাত ঢেকে আপনি ছাদের উপর যেতে পারবেন।
এক রঙ এর কাপড় পড়া আবশ্যক নয়।

(০৭)
এক্ষেত্রে গোসলের পর পুনরায় সাদা স্রাব বের হয়ে আপনার হাত ও পায়জামায় না লাগলে আপনার হাত ও পায়জামা নাপাক হয়নি।

(০৮)
হ্যাঁ শুধু টিস্যু দিয়ে মুছে ফেললে পবিত্রতা অর্জন হবে।

তিনটি টিস্যু নিবেন।

তবে এক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন, পেশাব যেনো পেশাবের রাস্তা হতে নিচের দিকে গড়িয়ে না আসে।

এক্ষেত্রে গড়িয়ে আসলে এক দিরহাম সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি অতিক্রম করলে পানিই ঢালতে হবে।

(০৯)
পানি ঢালতে হবে। 

(১০)
এক্ষেত্রে ন্যাকড়া দিয়ে পুরো ঘর তিনবার মুছতে হবে। প্রত্যেকবার ন্যাকড়া নতুন পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। 

(১১)
আপনি তাদের থেকে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।
তাহলেই হবে।

(১২)
বিষয়টি নিয়ে আপনার মামীর সাথে বসে সিদ্ধান্ত নিবেন। 

তিনি কোনো টাকা নিতে চাইলে সেটিরও সমাধান করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...