আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
আসসালামুয়ালাইকুম।
আমার বাবা মা ছোটবেলায় এক নাম রেখেছিল। পরে আরেকটা নাম রাখে। কিন্তু তারা এবং আমার আত্মীয় স্বজনরা আগের নামে ডাকে, কিন্তু বন্ধু-বান্ধব ও অন্যান্য লোকেরা নতুন নামে ডাকে। এখন আমার এক জায়গায় এক পরিচয়, অন্য জায়গায় আরেক পরিচয়। বাবা মা আমাকে আগের নামে ডাকলে, যারা অন্য নামে আমাকে চিনে যারা আমাকে সন্দেহ করে। ভবিষ্যতে কি হবে জানি না। আমার করণীয় কি? আমি যদি কোনো কারণে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যাই কিংবা দূরে সরে গিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করে নতুন করে নিজেই নিজের নাম রাখি, তবে কি আমার গুণাহ হবে? বাবা মায়ের এই কর্মকাণ্ডের কারণে তাদের প্রতি অনেক ঘৃণা কাজ করে, এতে কি আমার গুণাহ হবে?
যোহরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজে উভয় রাকাতে সূরা ফাতেহার পর সূরা ইখলাস পড়লে কি নামাজ হবে?
নামাজে পরিপূর্ণ মনোযোগ লাভের উপায় কি?
কেউ পিতা-মাতার হক ভালো করে আদায় করতে পারলো না, কিন্তু আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য জিহাদ করে শহিদ হলো। সে কি নাজাত পেতে পারে?
কারও সাথে খারাপ আচরণ করা হলো, খারাপ আচরণকারীকে পাওয়া গেল না। এখন খারাপ আচরণকারী কিভাবে মাফ চাইবে? মাফ না চাইতে পারলে কিভাবে দায়মুক্ত হবে?

1 Answer

0 votes
by (696,720 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
নামের জন্য বাবা মায়ের প্রতি ঘৃণা করা কখনো জায়েয হবে না।হ্যা  বর্ণিত পরিস্থিতি অনুযায়ী আপনি জন্মনিবন্ধন ও আইডি কার্ডের নামে পরিচয় দিবেন। দূরে কোথাও গিয়ে নাম পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। বরং যে নাম সরকারি ভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে, সেই নামের মধ্য শিরিক বা অমুসলিম জাতীয় নাম হলেই হল।


(২)
জ্বী, দু'রাকাতি নামাযের উভয় রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহার সাথে সূরায়ে ইখলাছ পড়া যাবে।তবে ইচ্ছাকৃত এভাবে না পড়ে বরং ভিন্ন ভিন্ন রা'কাতে ভিন্ন ভিন্ন সূরা পড়াই উত্তম।

(৩)
কোনো নেককার ব্যক্তির সোহবতে থেকে উনার সাথে নফল ইবাদতে দীর্ঘ সময় লিপ্ত থাকলেই নামাযের স্বাদ বুঝা যাবে।

(৪)
যেই ব্যক্তি জিহাদ করে শহীদ হবে, তাকে অনেক পুরুস্কার দেয়া হবে, এর মধ্যে বড় পুরুস্কার হল, তাকে সাথে সাথে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। শুধুমাত্র ঋণ থাকলে সে জিজ্ঞাসিত হবে। জেনে রাখবেন,মাতাপিতার নাফরমানি কবিরা গোনাহ। আল্লাহই ভালো জানেন, ঐ শহীদের সাথে কিরূপ ব্যবহার করবেন।


(৫)
যদি তাকে খুজে পাওয়া না যায়, তাহলে তার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।এবং নিজের জন্যও ক্ষমা চাইতে হবে। সম্ভব হলে, তার নামে কিছুটা সদকাহ করে দেওয়া উত্তম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (696,720 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...