আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
2,763 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম
১.নামাজে যখন মুয়াজ্জিন ইকামত দেয় তখন সাথে সাথে মুসল্লিরা দাঁড়ানো সুন্নত নাকি হাইয়া আলাস সালাহ বলার পর দাঁড়ানো সুন্নত? এখন যদি আগেই দাঁড়িয়ে যায় তাহলে কি বিদআত হবে? উভয় পক্ষের দলিলসহ বলবেন।

২. ইমাম সাহেব যে সবাইকে বলে নামাজের কাতার সোজা করেন এটা কি বিদআত নাকি সুন্নত?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)   
শরীয়তের বিধান মতে দাড়িয়ে তাকবির শোনা নিষেধ নয়।
হাইয়া আলাস সালাহ বলার সময় যেখানে দাড়ানো মুস্তাহাব বলা হয়েছে,সেটার দ্বারা উদ্দেশ্য তার আগেই যেনো সকলেই দাড়িয়ে যায়।
হাইয়া আলাস সালাহ বলার পর যেনো কেউ বসে না থাকে,সকলেই যেনো তার আগেই দাড়িয়ে যায়।     
এখানে আগে দাড়ানোকে কোনো ভাবেই আগে দাড়াবেনা,বলা বুঝানো হয়নি।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/২০৮)

(★এই বিষয় নিয়ে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।)
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: إذا أقیمت الصلاۃ فلا تقوموا حتی تروني۔ (صحیح البخاري ۱؍۱۸۸)
যখন নামাজের ইকামত দেওয়া হবে,তখন আমাকে দেখার আগ পর্যন্ত দাড়াবেনা।

والقیام لإمام ومؤتم حین قیل حي علی الفلاح، إن کان الإمام بقرب المحراب وإلا فیقوم کل صف ینتہي إلیہ الإمام علی الأظہر، وإن دخل من قدام قاموا حین یقع بصرہم علیہ إلا إذا قام الإمام بنفسہ في مسجد، فلا یقفوا حتی یتم إقامتہ۔ (درمختار مع الشامي ۲؍۱۷۷)
সারমর্মঃ যদি ইমাম মেহরাবের নিকটেই থাকে,তাহলে হাইয়া আলাস সালাহ বলার সময় দাড়াবে,,,,

والقیام حین قیل حي علی الفلاح؛ لأنہ أمر بہ فیستحب المسارعۃ إلیہ أطلقہ فشمل الإمام والماموم إن کان الإمام بقرب المحراب، وإلا فیقوم کل صف ینتہي إلیہ الإمام وہو الأظہر، وإن دخل من قدام وقفوا حین یقع بصرہم علیہ۔ (البحر الرائق ۱؍۳۰۴ کراچی)
সারমর্মঃ হাইয়া আলাস সালাহ বলার সময় দাড়ানো মুস্তাহাব যদি ইমাম মেহরাবের কাছে থাকে,,,        

عن عبد الرحمن بن عوف رضي اللّٰہ عنہ سمع أبا ہریرۃ رضي اللّٰہ عنہ قال: أقیمت الصلاۃ وصف الناس صفوفہم، وخرج رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم، فقام مقامہ فأومأ إلیہم بیدہ أن مکانکم، فخرج وقد اغتسل، ورأسہ ینظف الماء فصلی بہم۔ الحدیث۔ (صحیح مسلم ۱؍۲۲۰)
সারমর্মঃ নামাজের ইকামত হলো,মানুষেরা কাতার বদ্ধ হলো,এবং রাসুলুল্লাহ সাঃ বের হলেন,তখন তার সাথে দাঁড়িয়ে গেলো,,,,       

عن أبي ہریرۃ رضي اللّٰہ عنہ یقول: أقیمت الصلاۃ فقمنا فعدلنا الصفوف قبل أن یخرج إلینا رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم، فأتی رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم حتی إذا قام في مصلاہ قبل أن یکبر ذکر فانصرف، وقال لنا مکانکم: فلم نزل قیاماً ننتظرہ حتی خرج إلینا رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم، وقد اغتسل ینطف راسہ مائہً، فکبر فصلی بنا۔ (صحیح مسلم ۱؍۲۲۰)
সারমর্মঃ আবু হুরায়রা রাঃ বলেন আমরা সোজা হয়ে দাড়িয়ে গেলাম রাসুলুল্লাহ সাঃ বের হওয়ার পূর্বেই,,,      , 

ইমাম নামাযের জন্য প্রস্ত্তত হওয়ার পরই ইকামত শুরু করা উচিত। ইমামের প্রস্ত্তত হওয়ার আগে ইকামত শুরু করা ঠিক নয়। তদ্রূপ মুসল্লিদের জন্যও আগে থেকে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকা ঠিক নয়; বরং মুসল্লিগণ ইকামত আরম্ভ হওয়ার সময় দাঁড়িয়ে যাবে। যাতে ইকামতের শেষ পর্যন্ত কাতার সোজা হয়ে যায় এবং ইকামত শেষ হওয়ার পর ইমাম সাহেব নামায শুরু করতে পারেন।

সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হাদীসে আছে, বিলাল রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আসতে দেখে ইকামত বলা শুরু করতেন। আর অন্যরা কাতার সোজা করা শুরু করতেন। এভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের জায়গায় পৌঁছার পূর্বেই কাতার পুরোপুরি সোজা হয়ে যেত। (সহীহ মুসলিম ১/২২০)

অপর হাদীসে আছে, মুআযযিন আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার বলে ইকামত বলামাত্রই লোকেরা নামাযের জন্য দাঁড়িয়ে যেত এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের জায়গায় পৌঁছতে পৌঁছতে কাতার সোজা হয়ে যেত। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ১/৫০৭) 

এসব হাদীস থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, মুক্তাদীগণ হাইয়া আলাল ফালাহ বলা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে না; বরং ইকামতের শুরুতেই দাঁড়িয়ে যাবে।

★ইকামত শুরু হওয়ার পর ইমাম বা কোনো মুক্তাদীর দাঁড়ানো থেকে বসে যাওয়া অতপর হাইয়াআলাল ফালাহ বা ক্বাদকামাতিস সালাহ বলার পর দাঁড়ানোর প্রচলনটি শরীয়তসম্মত নয়। কেননা পূর্বে বর্ণিত সহীহ মুসলিমের হাদীস থেকে এ কথা সুস্পষ্ট যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মসজিদে আসতে দেখলেই ইকামত শুরু হয়ে যেত এবং সাহাবায়ে কেরাম শুরুতেই দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করতেন আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোজা ইমামের জায়গায় পৌঁছে যেতেন। এমন ক্ষেত্রে মসজিদে প্রবেশ করে নবীজীর বা কোনো সাহাবীর বসে যাওয়া অতপর হাইয়াআলাস সালাহ বলার সময় দাঁড়ানোর কোনো বর্ণনা পাওয়া যায় না।

আর ইকামতের পূর্ব থেকে যারা বসে আছে তাদের জন্যও ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’ বা ‘ক্বদকামাতিস সালাহ’ বলা পর্যন্ত বসে অপেক্ষা করতে থাকা ঠিক নয়। এটিও সুন্নত পরিপন্থী কাজ।
(জাওয়াহিরুল ফিকহ ২/৪২৭; শরহে মুসলিম, নববী ১/২২০)
۔
,
ফুকাহায়ে কেরামগন বলেছেনঃ  
এ বিষয়ে আসলে উলামায়ে কেরাম থেকে অনেক মতামত পাওয়া যায়। এ সবক’টি করারই সুযোগ রয়েছে। কেউই অন্য বক্তব্যের উপর আমলকারীকে গোনাহগার বলে সাব্যস্ত করেননি। সেই সাথে না এমন কোন প্রমাণও বিদ্যমান আছে, যার দ্বারা উক্ত ব্যক্তি গোনাহগার প্রমানিত হয়ে থাকেন। ইলাউস সুনান গ্রন্থের  চতুর্থ খন্ডে এসব বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে।
কতিপয় নির্ভরযোগ্য ফক্বীহ লিখেছেন, “যেসব বর্ণনায় ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ এর সময় দাড়ানো যে প্রমাণ রয়েছে এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল, এটি হল শেষ সীমা। এর পর আর বসে থাকবে না। এর দ্বারা উদ্দেশ্য এটা নয় যে, এর আগে বসে থাকতেই হবে, দাড়ানো যাবে না। বরং উদ্দেশ্য হল, সীমা নির্দিষ্টকরণ। এরপর আর বসে থাকা যাবে না। দাঁড়িয়ে পড়তে হবে।
তাইতো ইলাউস সুনানে এ বিষয়ে সকল বক্তব্য উদ্ধৃত করার পর আল্লামা তাহতাবী রহঃ এর বক্তব্য নকল করা হয়েছে-
والظاهر احتراز عن التاخير لا التقديم، حتى لو قام اول الإقامة لا بأس به (اعلاء السنن، باب وقت قيام الإمام والمأمومين للصلاة-4/328، ادارة القرآن كرتاشى)
স্পষ্ট হল এই যে, এর চেয়ে [হাইয়া আলাল ফালাহ এর চেয়ে] দেরী করা যাবে না, কিন্তু আগে করা যাবে না এমন নয়। সুতরাং কেউ যদি ইকামতের শুরুতেই দাড়িয়ে পড়ে, তাহলে এতে কোন সমস্যা নেই। {ইলাউস সুনান-৪/৩২৮}

মোদ্দাকথা, ফিক্বহের গ্রন্থে ইকামতের সময় দাড়ানো বিষয়ে যত মত আছে, এর মাঝে ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’ বলার সময় দাড়ানোটি আদব।
আদবের সংজ্ঞা ফিক্বহে হানাফীর প্রসিদ্ধ গ্রন্থ “আদদুররুল মুখতার” এ এভাবে উদ্ধৃত হয়েছে-
تركها لا يوجب اساءة ولا عتابا كترك سنة الزوائد لكن فعله افضل، (الدر المختار، كتاب الصلاة، باب صفة الصلاة-1/477)
অর্থাৎ এটি যে ছেড়ে দেয়, সে গোনাহগার ও অপরাধী সাব্যস্ত হয় না। যেমন সুন্নতে জায়েদা ছেড়ে দিলে হয় না। তবে এটি করা উত্তম। {রদ্দুল মুহতার-১/৪৭৭}
সুতরাং এর উপর আমলকারী যদি যে তা ছেড়ে দেয় তাদের খারাপ ও মন্দ না বলে তাহলে সে আদবের উপর আমলকারী সাব্যস্ত হবে। আর যদি এটি পরিত্যাগকারীদের ভর্ৎসনা করে, মন্দ বলে তাহলে উক্ত ব্যক্তি বিদআতি সাব্যস্ত হবে। কারণ যে কাজ করা আবশ্যক নয়, সুন্নত নয়, সেটিকে দ্বীনের মাঝে জরুরী মনে করা সুষ্পষ্ট বিদআত।

আমরা জানি, এক সময়ে যদি দু’টি কাজ একত্র হয়। যার একটি জরুরী। অপরটি জরুরী নয়। আর একটির উপর আমল করলে অপরটির উপর আমল করা সম্ভব না হয়।

এক্ষেত্রে শরয়ী দৃষ্টিকোণ হল, জরুরী কাজটি করবে, আর অনাবশ্যকীয় কাজটি ছেড়ে দিবে।
দেখুন, উক্ত আলোচিত মাসআলা বিষয়ে প্রসিদ্ধ ফিক্বহ গ্রন্থ ‘আদদুররুল মুখতার’ এ এসেছে-
وشوع الامام فى الصلاة مذ قيل قد قامت الصلاة (رد المحتار-1/479)
কাদ কামাতিস সালাহ বলার সময় ইমামের নামায শুরু করা উচিত। {রদ্দুল মুহতার-১/৪৭৯}

এটিকেও আদবের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। তাই কোন ইমাম যদি ‘কাদ কামিতাস সালাহ’ বলার সময় নামায শুরু না করে, বরং ইকামত শেষ হবার পর নামায শুরু করে তাতে কোন সমস্যা নেই।

এ কারণে লিখা হয়েছে-
ولو أخر حتى اتمها لا بأس به اجماعا (رد المحتار-1/479)
আর যদি দেরী করে ইকামত শেষ হওয়া পর্যন্ত এতে ঐক্যমত্বের ভিত্তিতে কোন সমস্যা নেই। {প্রাগুক্ত}
এরপর এ দেরী করাটিকে প্রাধান্য পাওয়া বক্তব্য এবং উত্তম বলে এর স্বপক্ষে এ প্রমাণ পেশ করা হয়-
لأن فيه محافظة على فضيلة متابعة المؤذن وإعانة له على الشروع مع الامام (رد المحتار، كتاب الصلاة، آداب الصلاة قبيل “فصل”-1/479)
কেননা, এতে করে মুআজ্জিনের সম্মান রক্ষা করা হয়, আর ইমামের সাথে তার নামায শুরু করতে সহায়ক হয়ে থাকে। {রদ্দুল মুহতার-১/৪৭৯}

তো বুঝা গেল, আসলে ‘কাদ কামাতিস সালাহ’ বলার সময় নামায শুরু করা আদব। তবু বিশেষ কারণে দেরী করে নামায শুরু করাকে উত্তম সাব্যস্ত করা হয়েছে।
এমনিভাবে আলোচিত মাসআলাটিতে বিশেষ কারণে ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’ বলার সময় দাড়ানোর বদলে ইকামতের শুরুতেই দাড়ানো উত্তম হবে। সেই বিশেষ কারণটি হল, কাতার সোজা করা। প্রথমে দাড়িয়ে গেলে কাতার সোজা করা সহজ হয়। আর কাতার সোজা করার কড়া নির্দেশসূচক বেশ কিছু হাদীস বর্ণিত হয়েছে। একথা আশা করি সবারই জানা।

একথাতো পরিস্কার যে, ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’ বলার সময় মুসল্লিগণ দাঁড়ালে ইকামত শেষ হতে হতে মুসল্লিদের কাতার ভাল করে সোজা হবে না। এক্ষেত্রে হয়তো কাতার সোজা করা ছাড়াই নামায শুরু হবে, কিংবা কাতার সোজা করার জন্য দেরী করতে হবে, যা ইকামত ও নামায শুরু করার মাঝে দেরী করিয়ে ফেলবে। যা প্রমাণিত সত্য কথা।

মোদ্দাকথা হল, ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’ বলার সময় দাড়ানো এটি কেবলি আদবের অন্তর্ভূক্ত। সুন্নত, ওয়াজিব কিছু নয়। কিন্তু একটি জরুরী কাজের জন্য এটিকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। যেমন ‘কাদ কামিতাস সালাহ’ বলার সময় নামায শুরু করা আদব। কিন্তু আরেকটি জরুরী কাজের জন্য তা পরিত্যাগ করা হয়। তেমনি এখানে এ আদবটি ছেড়ে দেয়া হয় কাতার সোজা করার মত জরুরী কাজের জন্য।

তাই এ কাজের উপর যদি কেউ অন্য কারো উপর অভিযোগ উত্থাপন ও ভর্ৎসনা ছাড়াই আমল করে তাহলে উক্ত ব্যক্তি আদবের উপর আমলকারী সাব্যস্ত হবে। আর যদি যে এ আদবের উপর করে না, তাকে ভর্ৎসনা করে, খারাপ বলে তাহলে উক্ত ব্যক্তি বিদআতি সাব্যস্ত হবে। কারণ গায়রে জরুরী বিষয়কে জরুরী মনে করা বিদআত।
,
(০২)
 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
وَعَن أنس قَالَ: أُقِيْمَتِ الصَّلَاةُ فَأَقْبَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللّهِ ﷺ بِوَجْهِه فَقَالَ: أَقِيْمُوْا صُفُوفَكُمْ وَتَرَاصُّوْا فَإِنِّي أَرَاكُمْ مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِيْ . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ. وَفِي الْمُتَّفَقِ عَلَيْهِ قَالَ: أَتِمُّوا الصُّفُوْفَ فَإِنِّي أَرَاكُم مِنْ وَرَاء ظَهْرِيْ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা সালাতের ইক্বামাত(ইকামত/একামত) দেয়া হলো। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে চেহারা ফিরালেন এবং বললেন, নিজ নিজ কাতার সোজা করো এবং পরস্পর গায়ে গায়ে লেগে দাঁড়াও! নিশ্চয় আমি আমার পেছনের দিক হতেও তোমাদেরকে দেখতে পাই। 
(বুখারী ৭১৮, ৭১৯, মুসলিম ৪৩৪,মিশকাতুল মাসাবিহ ১০৮৬)
,
দারুল উলুম দেওবন্দ এর 148717 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে কাতার সোজা করা মুক্তাদিদের,জিম্মাদারি,  দায়িত্ব। 
তারা নামাজ শুরু করার পূর্বে কাতার সোজা করবে।
তবে ইমাম সাহেবেরও উচিত যে কাতার সোজা করার উপর গুরুত্ব আরোপ করবে।
রাসুল সাঃ ছাহাবায়ে কেরামগন বিশেষ করে খুলাফায়ে রাশেদীন গন মুক্তাদির কাতার সোজা করার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতেন।
,
★সুতরাং  ইমাম সাহেবের কাতার সোজা করার কথা বলা বিদআত নয়।
ইমাম সাহেব এটি বলতে পারেন,কোনো সমস্যা নেই।
এই বিষয়ে ইমাম সাহেব গুরুত্ব দিবেন।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
মিশকাতে ৬৪ পৃষ্ঠায় কি আইয়া আলাছ সালাহ বললে দাড়াতে বলছে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...