আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
255 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
edited by
১)মেয়েরা তাদের মুখের ছোট ছোট পশম যেগুলো গালে বা কানের পাশে হয় আবার ঠোঁটের উপরে কপালে,ঠোঁটের নিচে হয়ে থাকে। যেগুলো কি তুলে ফেলতে পারবে যেকোনো পদ্ধতিতে?

নাকি যারা তুলে ফেলে সেসব মহিলাদের রসূল ﷺ অভিশম্পাত করেছেন?

২) নামাজে সিজদা দেওয়ার সময় বা নামাজ পড়ার আগে হিজাব যেটা পড়া হয়। সেটা যদি পুরো কপাল কে ঢেকে রাখে। এবং এমতাবস্থায় সিজদাহ দেয় তাহলে কি তার নামাজ হবে? নাকি সিজদাহ দেওয়ার সময় কপালের উপরে কোনো কাপড় রাখা যাবে না? রাখলে নামাজ ভেংে যাবে কি?

 ৩) নাবী ﷺ এর কয়জন দাসী ছিলেন?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
মেয়েরা তাদের মুখের ছোট ছোট পশম যেগুলো তাদের গালে বা কানের পাশে কিংবা ঠোঁটের উপরে বা নীচে এবং কপালে হয়ে থাকে, সেগুলোকে তুলে ফেলা তাদের জন্য জায়েয হবে।কেননা নারীদের জন্য সৌন্দর্য গ্রহণ শরীয়ত সমর্থিত। তবে অপ্রয়োজনীয় বিষয় করা যাবে না যেমন, আব্রুকে ছেটে ছোট করা জায়েয হবে না। হ্যা, কাউকে কারো আব্রু অতিরিক্ত বড় হলে, তখন তার আব্রুকে ছাটাই করা জায়েয হবে।

حاشية رد المحتار على الدر المختار (6/ 373):
"( والنامصة إلخ ) ذكره في الاختيار أيضاً، وفي المغرب: النمص نتف الشعر ومنه المنماص المنقاش اهـ ولعله محمول على ما إذا فعلته لتتزين للأجانب، وإلا فلو كان في وجهها شعر ينفر زوجها عنها بسببه ففي تحريم إزالته بعد؛ لأن الزينة للنساء مطلوبة للتحسين، إلا أن يحمل على ما لا ضرورة إليه؛ لما في نتفه بالمنماص من الإيذاء.  وفي تبيين المحارم: إزالة الشعر من الوجه حرام إلا إذا نبت للمرأة لحية أو شوارب فلا تحرم إزالته بل تستحب -

(২)
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رضى الله عنهما قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أُمِرْتُ أَنْ أَسْجُدَ عَلَى سَبْعَةِ أَعْظُمٍ عَلَى الْجَبْهَةِ ـ وَأَشَارَ بِيَدِهِ عَلَى أَنْفِهِ ـ وَالْيَدَيْنِ، وَالرُّكْبَتَيْنِ وَأَطْرَافِ الْقَدَمَيْنِ، وَلاَ نَكْفِتَ الثِّيَابَ وَالشَّعَرَ "
৭৭৫। মু’য়াল্লা ইবনু আসা’দ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ আমি সাতটি অঙ্গের দ্বারা সিজদা করার জন্য আদিষ্ট হয়েছি। কপাল দ্বারা এবং তিনি হাত দিয়ে নাকের প্রতি ইশারা করে এর অন্তর্ভুক্ত করেন, আর দু’ হাত, দু’ হাঁটু, দু’ পায়ের আঙ্গুলসমূহ দ্বারা। আর আমরা যেন চুল ও কাপড় না গুটাই।( সহীহ বোখারী-৭৭৫)



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
খালি কপালে সিজদা করাই মুস্তাহাব। তথাপি যদি কারো কপাল যদি হিজাব দ্বারা ডেকে যায়,তাহলে  এমতাবস্থায়ও সিজদাহ আদায় হয়ে যাবে। হালকা শক্তি প্রয়োগ করো জমিনের শক্ততা কপালে অনুভূত হয়ে গেলেই সিজদা আদায় হয়ে যাবে।


"عن صالح بن حیوان السبائی، حدثه أن رسول الله صلی الله علیه وسلم، رأی رجلًا یصلي یسجد بجبینه، وقد اعتمّ علی جبهته، فحسر النبي صلی الله علیه وسلم عن جبهته."
(المراسیل لأبي داؤد ص:۸، رقم:۷۶، السنن الکبری للبیهقي، باب الکشف عن الجبهة في السجود، دارالفکر بیروت جدید۲/۴۳۹،)

"عن علي-رضي الله عنه-إذا صلی أحدکم، فلیحسر العمامة عن جبهته." (المصنف لابن أبي شیبة، کتاب الصلاة )

"و یکره السجود علی کور عمامته من غیر ضرورة حرٍ، أو بردٍ، أو خشونة أرضٍ ..." الخ
( مراقي الفلاح، کتاب الصلاة، فصل في المکروهات)


الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 500):
"(كما يكره تنزيها بكور عمامته) إلا بعذر (وإن صح) عندنا (بشرط كونه على جبهته) كلها أو بعضها كما مر.
(أما إذا كان) الكور (على رأسه فقط وسجد عليه مقتصرا) أي ولم تصب الأرض جبهته ولا أنفه على القول به (لا) يصح لعدم السجود على محله وبشرط طهارة المكان وأن يجد حجم الأرض والناس عنه غافلون:

(৩)
৪ জন ছিলেন। এই বিষয় নিয়ে সরাসরি দারুল ইফতায় যোগাযোগ করাই ভালো হবে। কেননা এই স্বল্প পরিসরে এই বিষয় সম্পর্কে পরিপূর্ণরূপে আলোকপাত করা সম্ভবপর হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...