মুহতারাম!
প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।আপনার প্রশ্নটি অত্যান্ত সংক্ষিপ্ত বা অস্পষ্ট। তাই আবার প্রশ্ননটি লিখে দেবার জন্য আপনাবে আহবান জানাচ্ছি।জাযাকুমুল্লাহ।
এখানেআমার ২ টি প্রশ্ন রয়েছ।
১. সে তো এটা বিয়ের আগের হারাম সম্পর্ক নিয়ে বলছিল, তখন ত বিয়েই হয়নি তাহলে কেনায়া তালাক/ তালাক কেন হবে?
জবাবঃ-
উক্ত প্রশ্নের জবাবে বলা যায় যে,
ছেড়ে দিয়েছি শব্দ যদিও উনি বিয়ের আগের বিষয় নিয়ে বলেছেন,তবে তো উনি এখন এই শব্দ বলছেন বিবাহিত অবস্থায়। তাই ছেড়ে দিয়েছি শব্দ বিয়ের পরের হিসেবে গণ্য হওয়ার কথা।তাই এটাকে তালাকে কেনায়া ধরে নেয়া হবে।আর তালাকে কেনায়াতে তালাকের নিয়ত থাকলে তালাক পতিত হবে,নতুবা তালাক পতিত হবে না।
২. এখানে আপনি বলেছেন, তুমি ইদ্দত গননা কর, তুমি পছন্দ কর, তোমার বিষয় তোমার হাতে, এই কথাগুলা কেনায়া তালাক এর অন্তর্ভুক্ত নাকি সরীহ তালাক এর অন্তর্ভুক্ত একটু বুঝিয়ে বলবেন।
জবাবঃ-
এগুলো কেনায়া তালাকের অন্তর্ভুক্ত। তালাকের নিয়ত থাকলে, তালাক পতিত হবে, নতুবা তালাক পতিত হবে না।
৩. তুমি বিয়ে করে ফেল, এ কথাটা স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে, এ কথাটা কেনায়া নাকি সরীহ তালাক এর অন্তর্ভুক্ত? স্বামী সত্যিই চায় স্ত্রী বিয়ে করে নিক কারন তাদের বাচ্চা হয়ন,এক্ষেত্রে সমস্যা স্বামীর। ও এ কথা বলার কারনে আমি তাকে বলেছি এক স্বামী থাকা অবস্থায় কোন মেয়ে বিয়ে করলে তা হবে না, সে বলল, আমি তোমাকে তালাক দেব না, তুমি বিয়ে করে ফেল, ও আমাকে খুবই ভালোবাসে, কখনো তার থাকে তালাক চাইনি।এ পযন্ত ৬-৭ বার বলেছে তুমি বিয়ে করে ফেল, এর মধ্যে প্রত্যেকবার নরমাল ছিল, শুধু ২ বার বলার সময় একটু ঝগড়া হইছে, কিন্তু তালাকের কোন পরিস্থিতি ছিল না, দয়া করে আনসার দেবেন।
জবাবঃ-
তুমি বিয়ে করে ফেল,এ কথা দ্বারা যদি স্বামী উদ্দেশ্য নেয় যে,তুমি তালাক।অন্য কোথাও বিয়ে করে ফেল,তাহলে তুমি তালাক।তাহলে তালাক পতিত হবে,যত তালাকের নিয়ত স্বামী করবে।আর যদি স্বামীর নিয়ত থাকে যে,তুমাকে তালাকের তাফবিসের অধীকার দেয়া হল,চাইলে তুমি নিজেকে তালাক দিয়ে অন্য কোথাও বিয়ে বসতে পারো,তাহলে তালাক পতিত হবে না।