আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
625 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)
আমার স্বামীর সাথে আমার বিয়ের আগে হারাম সম্পর্ক মানে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই সময় যখন  বুঝতে পারলাম এরকম সম্পর্ক করলে গুনাহ হয় এরপর ছেডে দেবার  চেষ্টা করেছি, সে ও আমাকে বার বার ছেড়ে দিতে চেয়েছে এবং আমাকে না বলে বিদেশ ও     চলে গেছিল। দুজনের পক্ষ থেকেই ছেডে     দেবার চেষ্টা  ছিল, তারপর ও মাঝে মাঝে কথা বলে ফেলতাম। এখন আমরা বিবাহিত। তো কিছুদিন আগে আমরা কথা বলছিলাম, আমাদের মধ্যে হাল্কা একটু কথা কাটাকাটি হচ্ছিল, আগে যে একজন অন্যজনকে ছেড়ে দিছিলামওই কথাগুলা হচ্ছিল, হঠাৎ করে সে কথায় কথায় বলে উঠলো, আমি ত তোমাকে ছেড়ে দিছি,  আমি ঠিক তখনি বুঝেছি ও কিন্তু বিয়ের আগের সম্পর্কে ইংগিত করে কথাটা বলছে, তারপরও জিজ্ঞেস করছি কেন বলছে ওটা, ও বলছে, ওই যে আগে আমাকে ছেডে দিছে ওই কথার জন্য কথাটা বলছে, ও আমাকে আরো বলছে বর্তমান সম্পর্ক নিয়ে ত আমাদের তখন কোন কথা হয় নি তাহলে বলব কেন। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, ওর এই কথার জন্য কি কোন সমস্যা হবে। তখন আমাদের তালাক নিয়েও কোন আলোচনা হয়নি। উত্তর টা দিবেন প্লিজ

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বাংলা ভাষায় 'ছেড়ে দিয়েছি' কথাটা মূলত তালাকে কেনায়া।তবে সমাজের ব্যাপক প্রচলনের নিমিত্তে এটাকে তালাকে সরিহের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে।
প্রশ্নের বিবরণমতে উক্ত 'ছেড়ে দিয়েছি' শব্দ দ্বারা তালাক পতিত হবে না।এ শব্দকে এখন তালাকে কেনায়া ধরে নেয়া হবে।আর কেনায়া শব্দ দ্বারা তখনই তালাক পতিত হবে,যখন তালাকের নিয়ত থাকবে।তালাকের নিয়ত না থাকলে তালাক পতিত হবে না।
এখানে যেহেতু তালাকের নিয়ত নেই,তাই তালাক পতিত হবে না।

এক্ষেত্রে আনুষাঙ্গিক দুয়েকটি মাস'আলা লক্ষণীয়-
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.
রাগের অবস্থাঃ-
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।
তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।
যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

নির্ভরযোগ্য ফাতাওয়া গ্রন্থ ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
قال لها لا نكاح بيني وبينك أو قال لم يبق بيني وبينك نكاح يقع الطلاق إذا نوى
স্বামী যদি তার স্ত্রীকে বলে তোমার আর আমার মধ্যকার বিয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।অথবা বলে যে, তোমার আর আমার মধ্যকার আর বিয়ে নেই।তাহলে তালাক পতিত হবে যদি স্বামী তালাকের নিয়ত করে।নতুবা তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)কিতাবুন-নাওয়াযিল-৯/৪৪৬


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (9 points)
এখানেআমার ২ টি প্রশ্ন রয়েছ। 
১. সে তো এটা বিয়ের আগের হারাম সম্পর্ক নিয়ে বলছিল, তখন ত বিয়েই হয়নি তাহলে কেনায়া তালাক/ তালাক কেন হবে?
২. এখানে আপনি বলেছেন, তুমি ইদ্দত গননা কর, তুমি পছন্দ কর, তোমার বিষয় তোমার হাতে, এই কথাগুলা কেনায়া তালাক এর অন্তর্ভুক্ত নাকি   সরীহ তালাক এর অন্তর্ভুক্ত একটু বুঝিয়ে বলবেন।
৩. তুমি বিয়ে করে ফেল, এ কথাটা স্বামী যদি  স্ত্রীকে বলে, এ কথাটা কেনায়া নাকি সরীহ তালাক এর       অন্তর্ভুক্ত? স্বামী সত্যিই চায় স্ত্রী বিয়ে     করে নিক কারন তাদের বাচ্চা হয়ন,  এক্ষেত্রে সমস্যা স্বামীর। ও এ কথা বলার কারনে আমি তাকে বলেছি এক স্বামী থাকা অবস্থায় কোন মেয়ে বিয়ে করলে তা হবে না, সে বল্ল আমি তোমাকে তালাক দেব না, তুমি বিয়ে করে ফেল , ও আমাকে খুবই ভালোবাসে, কখনো তার  থাকে তালাক চাইনি। এ পযন্ত ৬-৭ বার বলেছে তুমি বিয়ে করে ফেল, এর মধ্যে প্রত্যেকবার নরমাল ছিল, শুধু ২ বার বলার সময় একটু ঝগড়া হইছে , কিন্তু তালাকের কোন পরিস্থিতিছিল না, দয়া করে আন্সার দেবেন  
by (589,140 points)

মুহতারাম!
প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।আপনার প্রশ্নটি অত্যান্ত সংক্ষিপ্ত বা অস্পষ্ট। তাই আবার প্রশ্ননটি লিখে দেবার জন্য আপনাবে আহবান জানাচ্ছি।জাযাকুমুল্লাহ।


এখানেআমার ২ টি প্রশ্ন রয়েছ। 
১. সে তো এটা বিয়ের আগের হারাম সম্পর্ক নিয়ে বলছিল, তখন ত বিয়েই হয়নি তাহলে কেনায়া তালাক/ তালাক কেন হবে?

জবাবঃ-
উক্ত প্রশ্নের জবাবে বলা যায় যে,
ছেড়ে দিয়েছি শব্দ যদিও উনি বিয়ের আগের বিষয় নিয়ে বলেছেন,তবে তো উনি এখন এই শব্দ বলছেন বিবাহিত অবস্থায়। তাই ছেড়ে দিয়েছি শব্দ বিয়ের পরের হিসেবে গণ্য হওয়ার কথা।তাই এটাকে তালাকে কেনায়া ধরে নেয়া হবে।আর তালাকে কেনায়াতে তালাকের নিয়ত থাকলে তালাক পতিত হবে,নতুবা তালাক পতিত হবে না।

২. এখানে আপনি বলেছেন, তুমি ইদ্দত গননা কর, তুমি পছন্দ কর, তোমার বিষয় তোমার হাতে, এই কথাগুলা কেনায়া তালাক এর অন্তর্ভুক্ত নাকি   সরীহ তালাক এর অন্তর্ভুক্ত একটু বুঝিয়ে বলবেন।

জবাবঃ- 
এগুলো কেনায়া তালাকের অন্তর্ভুক্ত। তালাকের নিয়ত থাকলে, তালাক পতিত হবে, নতুবা তালাক পতিত হবে না।

৩. তুমি বিয়ে করে ফেল, এ কথাটা স্বামী যদি  স্ত্রীকে বলে, এ কথাটা কেনায়া নাকি সরীহ তালাক এর অন্তর্ভুক্ত? স্বামী সত্যিই চায় স্ত্রী বিয়ে করে নিক কারন তাদের বাচ্চা হয়ন,এক্ষেত্রে সমস্যা স্বামীর। ও এ কথা বলার কারনে আমি তাকে বলেছি এক স্বামী থাকা অবস্থায় কোন মেয়ে বিয়ে করলে তা হবে না, সে বলল, আমি তোমাকে তালাক দেব না, তুমি বিয়ে করে ফেল, ও আমাকে খুবই ভালোবাসে, কখনো তার থাকে তালাক চাইনি।এ পযন্ত ৬-৭ বার বলেছে তুমি বিয়ে করে ফেল, এর মধ্যে প্রত্যেকবার নরমাল ছিল, শুধু ২ বার বলার সময় একটু ঝগড়া হইছে, কিন্তু তালাকের কোন পরিস্থিতি ছিল না, দয়া করে আনসার দেবেন।

জবাবঃ-
তুমি বিয়ে করে ফেল,এ কথা দ্বারা যদি স্বামী উদ্দেশ্য নেয় যে,তুমি তালাক।অন্য কোথাও বিয়ে করে ফেল,তাহলে তুমি তালাক।তাহলে তালাক পতিত হবে,যত তালাকের নিয়ত স্বামী করবে।আর যদি স্বামীর নিয়ত থাকে যে,তুমাকে তালাকের তাফবিসের অধীকার দেয়া হল,চাইলে তুমি নিজেকে তালাক দিয়ে অন্য কোথাও বিয়ে বসতে পারো,তাহলে তালাক পতিত হবে না।

by (9 points)
আর একটু বিরক্ত করছি 
১. তুমি বিয়ে করে ফেল এটা কিনায়া / সরিহ তালাক? নিয়ত থাক্লে এক সাথে দুইবার বা তিনবার বলার কারনে কয় তালাক হবে?  বলতে চাইছি প্রতিবার বলার জন্যই তালাক  হবে নাকি?
২.তুমি কোন সীদ্ধান্ত নাও, পরিবারের সাথে মিলিত হয়ে সীদ্ধান্ত নাও এই কথাগুলা কিনায়া / সরীহ তালাক?      
৩. কিনায়া তালাকের জন্য তালাকে বায়েন পতিত হলে, মনে করুন কোন হাজবেন্ড ১ তালাকের উদ্দেশ্য ১০ বার বলেছে তুমি চলে যাও। এক্ষেত্রে ১০ বার বল্লে ও শুধু কি এক তালাকে বায়েন পতিত হবে    নাকি ১০ বার বলার জন্য প্রতিবার ই তালাক ধরতে হবে? যেহেতু ৩ তালাক পর্যন্ত রয়েছে তাই ১ তালাকের নিয়ত করলে কি ১০ বার বলার কারনে ৩ তালাকে বায়েন পতিত হবে?  এটা জিজ্ঞেস করার কারন হচ্ছে, আমি পাকিস্তানের কিছু মুফতির ফতোয়া শুনেছিলাম    তারা বলেছে তালাকে বায়েন, তালাকে বায়েন এর সাথে যুক্ত হয় না৷ কিনায়া তালাক দারা এক বৈঠকে যতবার ই কথাটা বলুক এক তালাকের নিয়ত করলে এক তালাক বায়েন পতিত হবে। সাথে সাথে বিবাহ সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে যাবে, এক্ষেত্রেবিয়ে করার আগে পর্যন্ত আর কোন কেনায়া তালাকের কথা বল্লে নাকি তালাক পডবে না যদি এক তালাকের নিয়ত করে কারন তাদের বিবাহ সম্পর্ক এমনিতেই নেই,   , কিন্তু ৩ মাসের মধ্যে কোন সরিহ তালাক এর কথা বল্লে তালাক পডবে। মুফতি তারেক মাসুদ সহ অনেক বড মুফতি রা এই ফতোয়া দিয়েছেন,, এই ব্যাপারটা যদি বুঝিয়ে বলতেন?  
by (589,140 points)
(১)তুমি বিয়ে করে ফেল এটা কিনায়া / সরিহ তালাক? নিয়ত থাক্লে এক সাথে দুইবার বা তিনবার বলার কারনে কয় তালাক হবে?  বলতে চাইছি প্রতিবার বলার জন্যই তালাক  হবে নাকি?

উত্তর
জ্বী হ্যা,তুমি বিয়ে করে ফেল,এটা কিনায়া তালাক।এটা দ্বারা তালাক পতিত হবে।নিয়ত অনুযায়ী এক তালাক বা তিন তালাক পতিত হবে।দুই তালাকের নিয়ত করলে দুই তালাক পতিত হবে না।


(২)তুমি কোন সীদ্ধান্ত নাও, পরিবারের সাথে মিলিত হয়ে সীদ্ধান্ত নাও এই কথাগুলা কিনায়া / সরীহ তালাক?

এটা তালাকে কিনায়া।তালাকের নিয়ত থাকলে তালাক পতিত হবে। নতুবা তালাক পতিত হবে না।


(৩)কিনায়া তালাকের জন্য তালাকে বায়েন পতিত হলে, মনে করুন কোন হাজবেন্ড ১ তালাকের উদ্দেশ্য ১০ বার বলেছে তুমি চলে যাও। এক্ষেত্রে ১০ বার বললেও শুধু কি এক তালাকে বায়েন পতিত হবে, নাকি ১০ বার বলার জন্য প্রতিবার ই তালাক ধরতে হবে? যেহেতু ৩ তালাক পর্যন্ত রয়েছে তাই ১ তালাকের নিয়ত করলে কি ১০ বার বলার কারনে ৩ তালাকে বায়েন পতিত হবে?এটা জিজ্ঞেস করার কারন হচ্ছে, আমি পাকিস্তানের কিছু মুফতির ফতোয়া শুনেছিলাম তারা বলেছে তালাকে বায়েন, তালাকে বায়েন এর সাথে যুক্ত হয় না৷ কিনায়া তালাক দারা এক বৈঠকে যতবার ই কথাটা বলুক এক তালাকের নিয়ত করলে এক তালাক বায়েন পতিত হবে।সাথে সাথে বিবাহ সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে যাবে,এক্ষেত্রেবিয়ে করার আগে পর্যন্ত আর কোন কেনায়া তালাকের কথা বল্লে নাকি তালাক পডবে না যদি এক তালাকের নিয়ত করে কারন তাদের বিবাহ সম্পর্ক এমনিতেই নেই,কিন্তু ৩ মাসের মধ্যে কোন সরিহ তালাক এর কথা বল্লে তালাক পডবে। মুফতি তারেক মাসুদ সহ অনেক বড মুফতিরা এই ফতোয়া দিয়েছেন,এই ব্যাপারটা যদি বুঝিয়ে বলতেন?  

উত্তরঃ-
কেনায়া তালাক দ্বারা তালাকে বায়েন পতিত হয়।আর বায়েন তালাক বায়েন তালাকের সাথে সংযুক্ত হয় না।তবে কেউ এক সাথে তিন তালাক বায়েনের নিয়ত করলে তিনি তালাক বায়েন পতিত হয়।কিন্তু পৃথক পৃথকভাবে বায়েন তালাক দিলে একটার সাথে অন্যটা যুক্ত হয়না।
by (9 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম  
১. এক আপুর বিয়ে হইছে ১২-১৩ বছর আগে, বিয়ের ৬-৭ মাস পর ওনার হাজবেন্ড ওনাকে বলছে, তুমি আমার জন্য হারাম  কথাটা মনে হয় ২ অথবা ৩ বার বলছে (আপুর ঠিক মনে নাই) তবে ২ /৩ এর মধ্যে যেকোনো এক্টা  হবে। আপু এক বার বলে ২ আবার বলে ৩ বার। তো একসাথে ২ বার বল্লে কয় তালাক আর ৩ বার বল্লে কয় তালাক হতে পারে আপনি দুইরকম আন্সারই দেবেন প্লিজ।    এ ঘটনার আবার ৫ বছর পরে একসাথে ২ বার বলছে তুমি আমার জন্য হারাম। এখন উনি জানতে চাইছে ওনার কয় তালাক হবে? ওনার হাজবেন্ড বলছে এ কথা বলাতে কোন নিয়ত ছিল না এমনি ই নাকি বলছে। উত্তর টা দিবেন   

২. স্ত্রীকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা   ছিল কিন্তু স্বামী দেরিতে আসায় স্ত্রী রাগ করে বলে আমি তোর সাথে থাকবো না, এ কথা বলায় তাদের কথা কাটাকাটি হয়, স্ত্রীকে কিছুটা মারধরও করে, এরপর হাজবেণ্ড বলে যা, তোকে তালাক দিলাম এখানে কয় তালাক হবে?  আর স্ত্রী পরে হাজবেন্ড কে জিজ্ঞেস করেছে আমরা ত এখন আর বৈধ না। হাজবেন্ড বলেছে তার কোন নিয়ত ছিল না। এটা এক আপুর কথা। আমি জানি এখানে নিয়ত না থাক্লেও তালাক দিলাম এই কথার মাধ্যমে এক তালাক পতিত হয়েছে। যা, তোকে তালাক দিলাম এ কথার মাধ্যমেকয় তালাক হবে?    

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...