ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
কোনো কারণে স্ত্রীর সাথে দুনিয়াতে বিচ্ছেদ হলে, যদি ঐ স্ত্রীর আর কোথাও বিয়ে না হয়, এবং সে যদি জান্নাতে তালাক প্রদানকারী স্বামীর সাথে থাকতে চায়, তাহলে আল্লাহ চাইলে তার এই কামনাবাসনা কে পূর্ণ করতে পারবেন। তবে সে জান্নাতে যেতে পারবে কি না? এবং জান্নাতে যাওয়ার পর তার এই ইচ্ছা থাকবে কি না? সেটাও উল্লেখযোগ্য একটি বিষয়।
যদি ঐ স্ত্রী পরবর্তীতে বিয়ে করে নেন, তাহলে সর্বশেষ স্বামীর সাথে উনি জান্নাতে থাকবেন।
(২)
আলেম উলামাদের শাফায়াত
কুরআন হাদীসে সাধারণ বর্ণনা অনুযায়ী বুঝা যায় যে, নেককার লোকগণ কিয়ামতের দিন সুপারিশ করতে পারবে।যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَوْمَئِذٍ لَّا تَنفَعُ الشَّفَاعَةُ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ الرَّحْمَـٰنُ وَرَضِيَ لَهُ قَوْلًا
দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দেবেন এবং যার কথায় সন্তুষ্ট হবেন সে ছাড়া কারও সুপারিশ সেদিন কোন উপকারে আসবে না।(সূরা ত্বা-হা-১০৯)
হাদীসের ভাষ্যমতে নেককার লোকদের মধ্যে উলামায়ে কেরামরাও হবেন। যেমন হযরত উসমান রাযি থেকে বর্ণিত,
"قال رسول الله ﷺ يشفع يوم القيامة ثلاثة الأنبياء ،ثم العلماء ،ثم الشهداء"(ابن ماجة:4313)
উষমান ইবনে আফফান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন তিন শ্রেণীর লোক শাফা’আত করবে। নবীগণ, অতঃপর আলেমগণ, অতঃপর শহীদগণ।(সুনানু ইবনি মা'জা-৪৩১৩)
তবে উলামায়ে কেরাম ঠিক কতজনকে শাফায়ত করে জান্নাতে নিয়ে যাবেন, তার সঠিক কোনো সংখ্যা বর্ণিত হয়নি।
তাছাড়া উলামায়ে কেরামদের ফযিলত সম্পর্কে বর্ণিত হয়ে,
عن جابر بن عبد الله قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " يبعث العالم والعابد، فيقال للعابد: ادخل الجنة، ويقال للعالم: اثبت حتى تشفع للناس بما أحسنت أدبهم "(شعب الإيمان للبيهقي، باب في طلب العلم،فصل في فضل العلم،2ج:/ص:268،دارالكتب العلمية)
عن ابن عباس:"إذا اجتمع العالم والعابد على الصراط؛ قيل للعابد: ادخل الجنة وتنعم بعبادتك، وقيل للعالم: قف هنا واشفع لمن أحببت فإنك لا تشفع لأحد إلا شفعت فقام مقام الأنبياء"(مسندالفردوس لأبي شجاع،رقم:1493،ج:1/ص:326،دارالكتب العلمية)
(৩) স্বামী স্ত্রী দূরে থাকলে,স্বামী তার স্ত্রীকে গোপনাঙ্গের ছবি দিতে পারবে না। হ্যা, ভিডিওকলে কথা বলতে পারবে।
(৪) স্বামী স্ত্রী উভয় জান্নাতে গেলে তাদেরকে পৃথক পৃথক জান্নাতের মালিক বানিয়ে দেয়া হবে। তারা চাইলে উভয় পরস্পর পরস্পরের সাথে দেখা সাক্ষাৎ ও থাকতে পারবে।
(৫) সকল প্রকার গুনাহকে ত্যাগ করা,ফরজ,ওয়াজিব,সুন্নতকে পালন করার পাশাপাশি কিছু নফল ইবাদত পালন করে নেওয়াই নাজাতের জন্য যথেষ্ট।
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে আবূ হুরায়রা! তুমি আল্লাহভীরু হয়ে যাও, তাহলে লোকেদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইবাদতকারী হতে পারবে। তুমি অল্পে তুষ্ট থাকো, তাহলে লোকেদের মধ্যে সর্বোত্তম কৃতজ্ঞ হতে পারবে। তুমি নিজের জন্য যা পছন্দ করো, অন্যদের জন্যও তাই পছন্দ করবে, তাহলে পূর্ণ মুমিন হতে পারবে। তোমার প্রতিবেশীর প্রতি সদাচারী ও দয়াপরবশ হও, তাহলে মুসলিম হতে পারবে। তোমার হাসি কমাও, কেননা অধিক হাসি অন্তরাত্মাকে ধ্বংস করে।(সুনানু ইবনি মা'জা-৪২১৭)
(৬) সকল প্রকার ফরয,নফল, মুস্তাহাব ইবাদতকে গুরুত্ব সহকারে পালন করবেন। তাহলেই চোখের পলকে পুলসিরাত পার হওয়া যাবে।
(৭) আল্লহর রুহ! কথাটা বুঝলাম না।
আপনার এই প্রশ্ন আমরাও বুঝিনি।
(৮) বাদ আসর বা মাগরিবের কিছুক্ষণ আগে ১৫/২০ মিনিট আগে দুয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।
(৯) এই প্রশ্নটি জবাব প্রদানযোগ্য নয়, তাই উত্তর দিচ্ছি না।
(১০) হুরদের দ্বারা জান্নাতি স্ত্রীরা উপকৃত হবে, কিভাবে ফায়দা নেয়া যাবে, তা আল্লাহই ভালো জানেন।
(১১) জান্নাতে স্বামী যখন হুরের সাথে সময় কাটাবে, স্ত্রী তখন কী করবে?
এ সম্পর্কে আল্লাহই ভালো জানেন।
(১২) নিজ স্বামীর জন্য মাসনা বা হুর নেওয়া যদি অপছন্দ হলে, সেটা কুফরি হবে না। তবে অপছন্দ করা অনুচিৎ।
(১৩) জবাব প্রদানের যোগ্য নয়।
(১৪) স্বামীকে বলা যাবে না যে, আপনি হুর বা মাসনা করিয়েন না। তবে স্বামী সেটা সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিলে, বিবির এই বলার কারণে ঈমানের কোনো ক্ষতি হবে না।