আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
82 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বর্তমানে নতুন এক প্রতারক চক্র বেরিয়েছে যারা মেসেজ এর মাধ্যমে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে পরবর্তীতে হয় ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম হ্যাক করার চেষ্টা করে নতুবা বড় অংকের একটা টাকা ভুক্তভোগীর কাছ থেকে আদায় করে উধাও হয়ে যাচ্ছে। এই রকম এক প্রতারক মেসেজ দিলে আমি কৌশল খাটিয়ে তার থেকে কিছু টাকা নিজেদের কাছে নিয়ে আসি। এখন এই প্রতারণার টাকা আমি নিজের কাছে রাখতে চাইনা বা ব্যবহার করতে চাইনা। এই টাকা যদি ওই প্রতারক কে আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয় সে আবার এই টাকা দিয়ে হয়ত অন্য কাওকে ঠকাবে তাই আমি তাকে টাকাটা ফিরিয়ে না দিয়ে যদি কোন অসহায় ব্যক্তিকে দিয়ে দি সেক্ষেত্রে কোন সমস্যা থাকবে কি এটা কি জায়েজ হবে কারো হক মারা হবে কি?

এই টাকার মালিক তো সে না। সেও অন্য কারো কাছ থেকে প্রতারনা করে টাকা নিজের কাছে নিয়েছে। আর এই টাকার প্রকৃত মালিক ও খুজে পাওয়া যাবে না।  টাকাটা তাই শীত বস্ত্র ও ইয়াতিম প্রকল্পে ( আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন এ) দিয়ে দিয়েছি।  কাজটা কি জায়েজ হলো। জানাবেন ইংশাআল্লাহ।
জাঝাকুমুল্লাহ খইরান ❤️

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবাজনকল্যাণ মূলক কাজে ব্যবহার করবেন(জাদীদ ফেকহি মাসাঈল-৪/৫২) কিংবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪) 

والحاصل: أنه إن علم أرباب الأموال وجب رده عليهم، وإلا فإن علم عين الحرام لايحل له ويتصدق به بنية صاحبه''. (5/99،مَطْلَبٌ فِيمَنْ وَرِثَ مَالًا حَرَامًا، ط: سعید)
মোটকথা, মালকে তার মূল মালিকের নিকটই ফিরিয়ে দিতে হবে। যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়, এবং মালের মৌলিকতত্ত্ব যদি হারাম হয়, তাহলে উক্ত মালকে সওয়াবের ব্যতিত সদকাহ করে দিতে হবে।(রদ্দুল মুহতার-৫/৯৯)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1900


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঐ ব্যক্তি যে এই টাকা প্রতারণা করে নিয়ে এসেছে, এটা নিশ্চিত নয়।তাছাড়া প্রতারণা টাকা আপনাকে উসূল করে অন্যত্র যে দিতে হবে, এমন কোনো দায়িত্বভার গ্রহণও আপনার উপর জরুরী নয়, বরং এটা সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
সুতরাং আপনার নিকট এই মুহূর্তে অন্য একজনের টাকা রয়েছে, আপনার দায়িত্ব হল, আপনি ঐ টাকা ফিরিয়ে দিবেন। হ্যা, যদি ফিরিয়ে দেয়া কোনোওভাবে সম্ভব না হয়, তাহলে তখন ঐ টাকা সওয়াবের নিয়ত ব্যতিত সদকাহ করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...