জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا کُتِبَ عَلَیۡکُمُ الۡقِصَاصُ فِی الۡقَتۡلٰی ؕ اَلۡحُرُّ بِالۡحُرِّ وَ الۡعَبۡدُ بِالۡعَبۡدِ وَ الۡاُنۡثٰی بِالۡاُنۡثٰی ؕ فَمَنۡ عُفِیَ لَہٗ مِنۡ اَخِیۡہِ شَیۡءٌ فَاتِّبَاعٌۢ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ اَدَآءٌ اِلَیۡہِ بِاِحۡسَانٍ ؕ ذٰلِکَ تَخۡفِیۡفٌ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ وَ رَحۡمَۃٌ ؕ فَمَنِ اعۡتَدٰی بَعۡدَ ذٰلِکَ فَلَہٗ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ﴿۱۷۸﴾
হে ঈমানদারগণ! নিহতদের ব্যাপারে তোমাদের উপর তোমাদের উপর কিসাসের বিধান লিখে দেয়া হয়েছে। স্বাধীন ব্যক্তির বদলে স্বাধীন ব্যক্তি, ক্রীতদাসের বদলে ক্রিতদাস, নারীর বদলে নারী। তবে তার ভাইয়ের পক্ষ থেকে কোন ক্ষমা প্রদর্শন করা হলে যথাযথ বিধির অনুসরণ করা ও সততার সাথে তার রক্ত-বিনিময় আদায় করা কর্তব্য। এটা তোমাদের রব-এর পক্ষ থেকে শিথিলতা ও অনুগ্রহ। সুতরাং এর পরও যে সীমালংঘন করে তার জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
(সুরা বাকারা ১৭৮)
وَ لَکُمۡ فِی الۡقِصَاصِ حَیٰوۃٌ یّٰۤاُولِی الۡاَلۡبَابِ لَعَلَّکُمۡ تَتَّقُوۡنَ ﴿۱۷۹﴾
আর হে বুদ্ধি-বিবেকসম্পন্নগণ! কিসাসের মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে জীবন, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর।
(সুরা বাকারা ১৭৯)
কিসাস গ্রহণ করার অধিকার যদিও নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকারগণের, তথাপি নিজেরা সে অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না। অর্থাৎ নিহত ব্যক্তির বদলায় হত্যাকারীকে তারা নিজেরা হত্যা করতে পারবে না। এ অধিকার আদায় করার জন্য আইনী কর্তৃপক্ষের সাহায্য গ্রহণ করতে হবে। কেননা, কোন অবস্থায় কিসাস ওয়াজিব হয় এবং কোন অবস্থায় হয় না, এ সম্পর্কিত অনেক সূক্ষ্ম দিকও রয়েছে, যা সবার পক্ষে নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। তাছাড়া নিহত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীরা রাগের মাথায় বাড়াবাড়িও করে ফেলতে পারে, এ জন্য আলেম ও ফেকাহবিদগণের সর্বসম্মত অভিমত অনুযায়ী ‘কিসাস’-এর হক আদায় করার জন্য ইসলামী আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে। [মাআরিফুল কুরআন]
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হ্যাঁ, এতে কবিরা গুনাহ হবে।
(তবে সে যদি কোনো সীমালঙ্ঘন না করে,অন্যায় ভাবে হত্যার বিনিময়ে হত্যা করে।সেক্ষেত্রে মাজলুম হয়ে এমন প্রতিশোধ নিয়ে থাকলে আল্লাহ তায়ালা চাইলে তাকে ক্ষমাও করতে পারেন।)
(০২)
★ইসলাম কে অস্বীকারকারী বলতে সে ইসলাম ধর্ম মানেনা। অন্য ধর্ম মানে। বা কোনো ধর্মই মানেনা। আল্লাহ কে মানেনা,রাসুলকে মানেনা।
★আল্লাহর নিয়ামত কে অস্বীকারকারী বলতে বুঝায়, আল্লাহর দেয়া নিয়ামত পাওয়ার পর আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় না করে অস্বীকার করা।
বলা যে এটি আমার যোগ্যতাতেই আমি অর্জন করেনি।
★ইসলামের বিধানকে অস্বীকারকারী বলতে বুঝায়, সে নামাজের বিধান অস্বীকার করে। রোযার বিধান অস্বীকার করে। অকাট্যভাবে প্রমাণিত শরীয়তের যেকোনো বিধানকে অস্বীকার করে।