আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
258 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (51 points)
https://www.facebook.com/profile.php?id=61553324411507

আসসালামু আলাইকুম উস্তায,  উপরে আমার একটি এফিলিয়েট পেইজের লিংক দিয়েছি। যেখান থেকে আমি ওয়ান উম্মাহর প্রোডাক্ট সেল করে দেই ২০% কমিশন নিয়ে। ওয়ান উম্মাহ তাদের প্রোডাক্টের ব্যাপারে যা বলে তার থেকে বেশি আমি বলি না ইনশাআল্লাহ।  আর কেউ জানতে চাইলে বলি,  ইনশাল্লাহ ভালো প্রোডাক্ট ই পাবেন। আমি ওয়ান উম্মাহ বিডিকে নিজ থেকে বলেও দেই  ' এই অর্ডার নাম্বারের প্রোডাক্ট যেন এভাবে এভাবে কেয়ারফুলি দেয়া হয় '।
আমার পেইজটার মাধ্যমে আলহামদুলিল্লাহ আমার যা আয় হচ্ছে তা কি পুরোপুরি হালাল হচ্ছে?  আমার কোনো করণীয় আছে কি? আমি আসলে শিউর হতে চাচ্ছিলাম৷ যদিও আগেও এখান থেকে আমি এফিলিয়েট কাজের মাসআলা জেনেছি। তবু।
২য় প্রশ্ন :  উস্তায,  আমার শখের কাজ রান্না করা৷  আবার, রান্নার বিভিন্ন রেসিপিও শেয়ার করতে ভালোবাসি।  এজন্য আমি রেসিপি শেয়ারের জন্য একটা পেইজ খুলতে চাচ্ছি। এখন,  আমার এই রেসিপির পেইজ খোলাটা কেমন কাজ হবে?  আমার মৃত্যুর পর কোনোভাবে জবাবদিহি করা লাগবে না তো?  আমার এই কাজের জন্য?  আমি ওই পেইজে বিভিন্ন শিক্ষামূলক কথাও অবশ্য লিখতে চাই ইনশাআল্লাহ।  আর যদি নিজস্ব বিজনেস কোনোদিন করি তাহলে ওই রেসিপির পেইজটাই ব্যবহার করতে ইচ্ছুক।
৩য় প্রশ্ন : আইফতোয়ায় একটা মাসআলা দেখেছিলাম,  রোজা অবস্থায় মেয়েদের লজ্জাস্থানে ভেজা আংগুল প্রবেশ করলে রোজা ভেঙে যাবে।
এখন, আব্দুল ওয়াহিদ উস্তাযের নিকট জিজ্ঞাসার পর তিনি বলেছেন যে,  লজ্জাস্থান তো রোজা ভংগের কোনো স্থান না। এখন,  কোনটা আসলে সঠিক? আর যদি আংগুল প্রবেশের কারণে রোজা ভেঙেই যায় তাহলে তা কতটুকু প্রবেশ করলে ভাংবে? স্বাভাবিকভাবে টয়লেটের সময় ক্লীন করতে গিয়ে যে হালকা একটু প্রবেশ করে তাতেও ভেঙে যাবে?
আর পায়খানার রাস্তায় যদি পানি প্রবেশ করে তাহলে কি সেটা বুঝা যায়? আমি কখনও বুঝতে পারি না যে পানি কি প্রবেশ করে ফেলল কি না। মাঝেমধ্যেই রোজা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়ে যায়।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن  ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: أَمَّا الَّذِي نَهى عَنْهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَهُوَ الطَّعَامُ أَنْ يُبَاعَ حَتَّى يُقْبَضَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَلاَ أَحْسِبُ كُلَّ شَيْءٍ إِلاَّ مِثْلَهُ

ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিষেধ করেছেন, তা হল অধিকারে আনার পূর্বে খাদ্য বিক্রয় করা। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমি মনে করি, প্রত্যেক পণ্যের ব্যাপারে অনুরূপ নির্দেশ প্রযোজ্য হবে।
(সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ৩৪: ক্ৰয়-বিক্ৰয়, অধ্যায় ৫৫, হাঃ ২১৩৫; মুসলিম, পর্ব ২১: ক্ৰয়-বিক্ৰয়, অধ্যায় ৮, হাঃ ১৫২৫)

https://ifatwa.info/60300/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ عَنْ مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلَا يَبِعْهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন খাদ্যবস্তু ক্রয় করে, যেন তা কবজা করার আগে বিক্রয় না করে(সুনানু নাসায়ী-৪৫৯৬)

আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত।
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ، بْنُ عُثْمَانَ عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ لِمَرْوَانَ أَحْلَلْتَ بَيْعَ الرِّبَا . فَقَالَ مَرْوَانُ مَا فَعَلْتُ . فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَحْلَلْتَ بَيْعَ الصِّكَاكِ وَقَدْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الطَّعَامِ حَتَّى يُسْتَوْفَى . قَالَ فَخَطَبَ مَرْوَانُ النَّاسَ فَنَهَى عَنْ بَيْعِهَا . قَالَ سُلَيْمَانُ فَنَظَرْتُ إِلَى حَرَسٍ يَأْخُذُونَهَا مِنْ أَيْدِي النَّاسِ .
তিনি একদা মারওয়ানকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি সূদী কেনাবেচা বৈধ করে দিয়েছেন? মারওয়ান বললেনঃ না, আমি তো তা করিনি। আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি রেশন কার্ড বিক্রি বৈধ করে দেননি? অথচ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাদ্যদ্রব্য পুরোপুরি হস্তগত করার আগে বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। এরপর মারওয়ান এক বক্তৃতায় তা বিক্রি করতে লোকদের নিষেধ করে দেন।
রাবী সুলাইমান (রহঃ) বলেনঃ আমি দেখলাম যে, মানুষের কাছ থেকে সরকারী কর্মচারীগণ রেশন কার্ড ফিরিয়ে নিচ্ছে। (মুসলিম ৩৭৪১.ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৭০৬, ইসলামিক সেন্টার ৩৭০৬)

’’( وأما ) بيع المشتري العقار قبل القبض فجائز عنه عند أبي حنيفة ، وأبي يوسف استحسانا‘‘
স্থাবর সম্পত্তি কবজা করার পূর্বে বিক্রয় করা জায়েজ আছে।(বাদায়ে সানায়ে-১১/২৫৯)

,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার নিকট পন্য না থাকাবস্থায় অন্যের সাথে বিক্রয় চুক্তি করতে পারবেন না। এবং মাল ক্রয় করে কবজা করার পূর্বে অন্যত্র বিক্রয় করতেও পারবেন না। হ্যা, আপনি কোম্পানির নিয়মতান্ত্রিক এজেন্ট হয়ে কমিশন ভিত্তিতে তাদের মাল বিক্রয় করতে পারবেন যদি কোম্পানি আপনাকে তাদের এজেন্ট নিয়োগ করে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/44

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যদি "ওয়ান উম্মাহ" এর নিয়মতান্ত্রিক এজেন্ট হয়ে তাদের প্রোডাক্ট  ২০% কমিশন নিয়ে সেল করে দেন,তাহলে আপনার কাজ ও ইনকাম হালাল।

তবে যদি আপনি 

কমিশন ভিত্তিতে তাদের এজেন্ট না হয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে আপনি এভাবে অন্যের সাথে বিক্রয় চুক্তি করতে পারবেন না।
জায়েজ হবেনা।
কেননা আপনার হাতে পন্য নেই।

(০২)
উক্ত পেইজের মাধ্যমে শরীয়াহ বিরোধী কোনো কাজ না হলে,মহিলা কন্ঠ ব্যবহার না হলে সেটি জায়েজ হবে।
নতুবা জায়েজ হবেনা।

(০৩)
শরীয়তের বিধান হলো রোযা অবস্থায় যদি কোনো মহিলা গোপনাঙ্গে আঙ্গুল প্রবেশ করায়,এক্ষেত্রে আঙ্গুল যদি শুকনো থাকে, তাহলে রোযা ভাঙ্গবে না। যদি ভিজা আঙ্গুল প্রবেশ করায়, তাহলে মহিলার রোযা ভেঙ্গে যাবে।
এতে কাজা ওয়াজিব হবে।
কাফফারা নয়।

ولو ادخل إصبعه فى إسته أو المرأة فى فرجها، لا يفسد، وهو المختار، إلا إذا كانت مبتلة بالماء أو الدهن، فحينئذ يفسد لوصول الماء او الدهن، (الفتاوى الهندية، كتاب الصوم، الباب الرابع فيما يفسد الصوم ومالا يفسد-1/204, كذا فى الدر المختار-2/397)
সারমর্মঃ
যদি কেহ তার আঙ্গুল মলদ্বারে প্রবেশ করায়,বা কোনো মহিলা তার লজ্জাস্থানে আঙ্গুল প্রবেশ করায়,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে আঙ্গুল যদি তৈল বা পানি দ্বারা ভিজানো থাকে,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।    

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
উস্তাযজী, এফিলিয়েটদের কাজটাই তো এটা যে,  কমিশন ভিত্তিতে আমরা তাদের প্রোডাক্ট সেল করে দিচ্ছি।  তাদের প্রতিটা প্রোডাক্ট সেল করে দিলে তারা আমাকে ২০% কমিশন দিচ্ছে।  কষ্ট করে আমার পেইজটা যদি দেখতেন তবে ভালো হতো। 
** তাহলে ইচ্ছা করে ভেজা আংগুল প্রবেশ করালে তবেই ভাংবে? অনিচ্ছাকৃত প্রবেশ হলে ভাংবে না? 
by (565,890 points)
ক, হ্যাঁ, এভাবে কমিশনের ভিত্তিতে তাদের প্রোডাক্ট সেল করে দেয়া জায়েজ আছে।

খ, ইচ্ছাকৃত হোক আর অনিচ্ছাকৃত হোক,ভেজা আঙ্গুল লজ্জাস্থানের ভিতরে প্রবেশ করলেই রোযা ভেঙ্গে যাবে।
by (51 points)
তাহলে,  আমার পেইজে যারা অর্ডার দিবে বা আমার লিংক থেকে ওয়েবসাইটে গিয়ে যারা অর্ডার দিবে তাদেরকে আলাদাভাবে কিছু বলতে হবে কি? 
এম্নিতে আমি তো স্পষ্টতই বলি,  যে এটা ওয়ান উম্মাহ বিডির প্রোডাক্ট।  
by (565,890 points)
না,কিছু না বললেও হবে।
by
edited
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ, 
খাবারের ছবি তোলা অর্থাৎ শখ করে সুন্দর  ফুড ফটোগ্রাফি করা,   আর সেটা  খাবারের রেসিপির সাথে পেইজে শেয়ার করা,।    কোনো নাজায়েয কাজ হবে কি?  
উপরের জিজ্ঞাসার উত্তরে যেহেতু বুঝেছি যে রেসিপির পেইজ খোলা জায়েয হবে।  তাই জানতে চাইছি, যেকোনো লেখার সাথে ছবি থাকলে বেশি ভালো লাগে।  
by (565,890 points)
নাজায়েজ হবেনা।
তবে প্রানীর ছবি থাকা যাবেনা।
নারীর কন্ঠস্বর ব্যবহার করা যাবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...