জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
নামাজের প্রতি রাকাতে সুরা ফাতেহা ও সুরা মিলানোর পূর্বে পূর্ণ বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়া সুন্নাত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، عَنْ شُعَيْبٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ نُعَيْمٍ الْمُجْمِرِ، قَالَ صَلَّيْتُ وَرَاءَ أَبِي هُرَيْرَةَ فَقَرَأَ (بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ) الرَّحِيمِ ثُمَّ قَرَأَ بِأُمِّ الْقُرْآنِ حَتَّى إِذَا بَلَغَ (غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ) فَقَالَ آمِينَ . فَقَالَ النَّاسُ آمِينَ . وَيَقُولُ كُلَّمَا سَجَدَ اللَّهُ أَكْبَرُ وَإِذَا قَامَ مِنَ الْجُلُوسِ فِي الاِثْنَيْنِ قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ وَإِذَا سَلَّمَ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لأَشْبَهُكُمْ صَلاَةً بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
মুহাম্মদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দুল হাকাম (রহঃ) ... নুয়ায়ম মুজমির (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর পেছনে সালাত আদায় করি। তিনি প্রথমে পড়লেন বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম। এরপর সূরা ফাতিহা পাঠ করলেন, যখন তিনি غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ এ পর্যন্ত পৌছলেন তখন ’আমীন, বললেন, তারপরে সকল লোক বলল,’আমীন’। যখনই তিনি সিজদা করতেন তখন বলতেন, ’আল্লাহু আকবার’ আর যখন তিনি বসা থেকে দাড়াতেন তখনও আল্লাহু আকবার বলতেন। তিনি সালাম বললেন, যার হাতে আমার প্রাণ, তার শপথ! আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মত সালাত আদায় করে তোমাদের দেখালাম।
(নাসায়ী ৯০৮)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নামাজের প্রতি রাকাতে সুরা ফাতেহা ও সুরা মিলানোর পূর্বে পূর্ণ বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়া সুন্নাত।
এটি ওয়াজিব বা ফরজ বিধান নয়।
(বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম না বললেও নামাজ হয়ে যাবে।)
★সানা,তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ, দোয়ায়ে মাছুরাহ ও রুকু এবং সিজদার শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়তে হবেনা।
(০২)
উভয় ছুরতেই নামাজ হয়ে যাবে।
উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
তবে কেহ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ফরজ নামাজে সুরার ধারাবাহিকতা রক্ষা না করে,প্রথম রাকাতে পরের সুরা তিলাওয়াত করে ইচ্ছাকৃতভাবে পরের রাকাতে আগের সুরা পড়লে তার নামাজ মাকরুহ হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-