আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in সালাত(Prayer) by (102 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম।

১) মাগরিবের সুন্নত পড়ার সময় শেষ রাকাতে মন একটু অন্যদিকে চলে যায়।রুকু থেকে সমিয়ালাহু লিমান হামিদাহ্ বলে দাড়ানোর পর সিজদায় চলে যাই রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ না বলেই। সিজদায় যাওয়ার সময় যে আল্লাহু আকবার বলবো তা না বলে তখন আমি বলতেছিলাম রব্বানা ওয়া যখনি মনে পরে তখনি আল্লাহু আকবার বলি এই ঘটনা সিজদায় যেতে যেতে হয়েছে।পরে আমি বুঝতেছিলাম না সাহু সিজদা দিবো নাকি না।একবার মনে হলো আমার তো কোনো ওয়াজিব বাদ পড়েনি তাহলে সাহু সিজদা দিতে হবে না আবার মনে হলো এই মাসআলা তো আমি ঠিক জানি না যদি সাহু সিজদা লাগতেও পারে।তাই আমি সতর্কতামূলক সাহু সিজদাও দিয়ে দেই।

নামাজ কি হয়েছে?

২) জানার জন্য প্রশ্ন নামাজে তাকবীরে তাহরীমা অর্থাৎ নামাজ শুরু করার সময় হাত উঠিয়ে আল্লাহ আকবার বলা তো ফরজ।কিন্তু এছাড়া অন্য যে তাকবীর দেয়া হয় যেমন রুকুতে যাওয়ার সময় সিজদায় যাওয়ার সময় যে তাকবীর দেয়া হয় বা আল্লাহু একবার বলা হয় তা কি ফরজ?কেউ যদি একাকী নামাজের সময় রুকুতে বা সিজদায় যাওয়ার সময় আল্লাহু আকবার বলতে ভূলে যায় তাহলে কি তার সাহু সিকদা দিতে হবে? জামাতে নামাজের সময় ইমামের সাথে রুকুতে/সিজদায় যাওয়ার সময় আল্লাহু আকবার না বললে হুকুম কি?

৩) বেশ কয়েকদিন আগে আমার একটি সুতি হালকা মোটা একটা প্যান্ট নাপাক ছিল।একদিন গোসল থেকে আসার পর গা মুছার পর টেবিলে প্যান্ট ছিল তার উপর গামছা রাখি এবং তার উপর জায়নামাজ রেখে তারাতারি বাহিরে যাই একটি কাজে। বাহির থেকে ঘন্টা খানেক পর বাসায় এসে খেয়াল করি যে গামছাটি যেহেতু ভেজা ছিল তাহলে তো প্যান্ট এও লাগছিল এতক্ষণ চাপা পরে ছিল। ততক্ষণে শুকিয়েও গিয়েছে।কিন্তু গামছাটা প্যান্টের যে অংশে নাপাকি লেগেছিল সেই অংশে চাপা পরে ছিল নাকি তা দেখতে মনে নাই। ততক্ষণে অনেক সময় হয়ে গেছিল। গামছায় কোনো নাপাকীর চিহ্ন বা গন্ধ দেখাও যায় নি।তাই বুঝতে পারছি না এটা নাপাক নাকি।

আজকে আবার গোছলের পর আমার মা গামছাটা মাথায় বেধে ফেলে।এতে কি মাথা নাপাক হয়ে গেছে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
নামাযে যেকোনো ভুলের কারণে সেজদা সাহু ওয়াজিব হয়ে যায় না। বরং ভুলে নামাযের কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে কিংবা কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিলম্বিত হলে ওয়াজিব হয়। আর যদি ভুলে কোনো ফরয ছুটে যায়, তবে সেজদা সাহু করা যথেষ্ট নয়, বরং পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। আর কোনো সুন্নত বা মুস্তাহাব ছুটে গেলে সেজদা সাহু করার বিধান নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حدثنا عبد الله بن يوسف، أخبرنا مالك بن أنس، عن ابن شهاب، عن عبد الرحمن الأعرج، عن عبد الله بن بحينة رضي الله عنه، أنه قال: صلى لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ركعتين من بعض الصلوات، ثم قام فلم يجلس، فقام الناس معه، فلما قضى صلاته ونظرنا تسليمه كبر قبل التسليم، فسجد سجدتين وهو جالس، ثم سلم.

আবদুল্লাহ ইবনে বুহায়না রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নামায আমাদের দুই রাকাত পড়ান। তারপর না বসে দাঁড়িয়ে যান। মুকতাদীরাও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে যায়। যখন তিনি নামায পূর্ণ করলেন এবং আমরা তাঁর সালাম ফিরানোর অপেক্ষা করছিলাম তখন সালাম ফিরানোর আগে তাকবীর দিলেন এবং বসা অবস্থায় দুটি সেজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। 
(সহীহ বুখারী, হাদীস ১২২৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৭০)

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
নামাজে রুকু থেকে উঠার সময়,সেজদায় যাওয়ার সময় যেগুলো পড়তে হয়,এগুলো সবই সুন্নাত।
ফরজ বা ওয়াজিব নয়।
যদি এক্ষেত্রে সেই তাকবির গুলো না বলে চুপ থাকা হয়,তাহলেও নামাজ হয়ে যাবে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব ছিলোনা।    

তবে প্রশ্নে উল্লেখিত নামাজ আদায় হয়ে গিয়েছে।
পুনরায় সেই নামাজ আদায় করতে হবেনা।  
,
(০২)
এটি সুন্নাতের খেলাফ হবে।
তবে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা। 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
নামাজে তাকবিরে তাহরিমা ব্যাতিত অন্যান্য তাকবির সুন্নাত।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” إِنَّمَا الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ، فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا، وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا، وَإِذَا قَالَ: {وَلَا الضَّالِّينَ} [الفاتحة: 7] ، فَقُولُوا: آمِينَ، وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا، وَإِذَا قَالَ: سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، فَقُولُوا: رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ،

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন। নিশ্চয় ইমাম নিযুক্ত করা হয়েছে তার অনুসরণ করার জন্য। সুতরাং যখন ইমাম তাকবীর বলে তখন তোমরা তাকবীর বল। আর যখন কিরাত পড়ে তখন চুপ থাকো। যখন ইমাম তিলাওয়াত করে “ওয়ালাদ্বল্লীন” তখন আমীন বলো। আর যখন ইমাম রুকু করে তখন তোমরাও রুকু কর। আর যখন ইমাম সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলে তখন বল রাব্বানা লাকাল হামদ। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৮৮৯, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৮৪৬, সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং-৯২১, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১২৪৫, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৭১৩৭]


(০৩)
যেহেতু উক্ত গামছায় নাপাকির কোনো চিন্হ বা গন্ধ দেখা যায়নি।
তাই সেটি পাক।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...