জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত আয়াতটি সুরা সাফফাত এর ১৫৫ নং আয়াত।
প্রথমে আমরা এর আগের ও পরের আয়াত ও আয়াত গুলির অর্থ আমরা জেনে নেই।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
فَاسۡتَفۡتِہِمۡ اَلِرَبِّکَ الۡبَنَاتُ وَ لَہُمُ الۡبَنُوۡنَ ﴿۱۴۹﴾ۙ
এখন তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, আপনার রবের জন্যই কি রয়েছে কন্যা সন্তান এবং তাদের জন্য পুত্ৰ সন্তান?
(সুরা সাফফাত ১৪৯)
اَمۡ خَلَقۡنَا الۡمَلٰٓئِکَۃَ اِنَاثًا وَّ ہُمۡ شٰہِدُوۡنَ ﴿۱۵۰﴾
অথবা আমরা কি ফেরেশতাদেরকে নারীরূপে সৃষ্টি করেছিলাম আর তারা দেখেছিল?
(সুরা সাফফাত ১৫০)
اَلَاۤ اِنَّہُمۡ مِّنۡ اِفۡکِہِمۡ لَیَقُوۡلُوۡنَ ﴿۱۵۱﴾ۙ
সাবধান! তারা তো মনগড়া কথা বলে যে,
(সুরা সাফফাত ১৫১)
وَلَدَ اللّٰہُ ۙ وَ اِنَّہُمۡ لَکٰذِبُوۡنَ ﴿۱۵۲﴾
আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। আর তারা নিশ্চয় মিথ্যাবাদী।
(সুরা সাফফাত ১৫২)
اَصۡطَفَی الۡبَنَاتِ عَلَی الۡبَنِیۡنَ ﴿۱۵۳﴾ؕ
তিনি কি পুত্ৰ সন্তানের পরিবর্তে কন্যা সন্তান পছন্দ করেছেন?
(সুরা সাফফাত ১৫৩)
مَا لَکُمۡ ۟ کَیۡفَ تَحۡکُمُوۡنَ ﴿۱۵۴﴾
তোমাদের কী হয়েছে, তোমরা কিরূপ বিচার কর?
(সুরা সাফফাত ১৫৪)
اَفَلَا تَذَکَّرُوۡنَ ﴿۱۵۵﴾ۚ
তবে কি তোমরা উপদেশ গ্ৰহণ করবে না?
(সুরা সাফফাত ১৫৫)
اَمۡ لَکُمۡ سُلۡطٰنٌ مُّبِیۡنٌ ﴿۱۵۶﴾ۙ
নাকি তোমাদের কোন সুস্পষ্ট দলীল-প্ৰমাণ আছে?
(সুরা সাফফাত ১৫৬)
فَاۡتُوۡا بِکِتٰبِکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ ﴿۱۵۷﴾
তোমরা সত্যবাদী হলে তোমাদের কিতাব উপস্থিত কর।
(সুরা সাফফাত ১৫৭)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন
উপরোক্ত আয়াত গুলি দ্বারা মূলত মক্কার মুশরিকদের একটি আকীদার জবাব দেয়া উদ্দেশ্য।
তাহা হলো তারা বিশ্বাস করে যে ফেরেশতারা আল্লাহ তায়ালার কন্যা সন্তান।
আল্লাহ তায়ালা যে সন্তান থেকে পবিত্র, তাহা বুঝানোই মূলত উক্ত আয়াত গুলি হতে উদ্দেশ্য।
উল্লেখ্য, আল্লাহ তায়ালা যেহেতু সন্তান হতেই পবিত্র,তাই ছেলে সন্তান ও মেয়ে সন্তান সবই তার নিকট সমান।
তবে জাহিলিয়াত এর যুগে মুশরিকরা যেহেতু কন্যা সন্তানকে নিজেদের জন্য মন্দ কিছু বলে মনে করতো,তাই আল্লাহ তায়ালা তাদের বলেছেন যে এটি কেমন ফায়সালা হলো,যে তোমাদের জন্য ছেলে সন্তান,আর আমার জন্য কন্যা সন্তান।
অর্থাৎ যে সন্তানকে তারা মন্দ বলে,সেটিকে আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করলো,আর যে সন্তানকে তারা উত্তম বলে মনে করে,সেটিকে নিজেদের জন্য সাব্যস্ত করলো।
এটি কেমন ফায়সালা হলো!
কন্যা সন্তান মন্দ, এমনটি বলার জন্য আল্লাহ তায়ালা আয়াতটি ইরশাদ করেননি,বরং তাদের কথার প্রেক্ষিতে ও জবাব দানের জন্য এমনটি বলেছেন।
মূলত আল্লাহ তায়ালা এসব হতে পবিত্র।
তার কাছে ছেলে সন্তান ও মেয়ে সন্তান সবই সমান।
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
سُبۡحٰنَ اللّٰہِ عَمَّا یَصِفُوۡنَ ﴿۱۵۹﴾ۙ
তারা (মুশরিকরা) যা আরোপ করে তা থেকে আল্লাহ পবিত্ৰ, মহান।
(সুরা সাফফাত ১৫৯)