আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ।

আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের সদ্য অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়া একজন শিক্ষার্থী।  আমার বাসাও চট্টগ্রামের মিরসরাইতে। বাসা থেকে ভার্সিটি ৭৬/৭৭ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত।
আমার পরিবারের একটু বর্ণনা দেই। আমার আব্বু ইন্তেকাল করেছেন ২০২১ এ। পরিবারে আম্মু, ভাইয়া(আমার ৭ বছরের বড়), ভাবী, আমি, আমার ছোটবোন(৬ষ্ঠ শ্রেণীতে উঠবে এবার), আমার ৯ মাস বয়সী ভাতিজি আছে। অর্থাৎ ভাইয়া বাদে সব ফিমেল মেম্বার।
দ্বীনি অবস্থা- পরিবারে সবাই রক্ষণশীল,  কিন্তু দুনিয়া, সমাজ প্রায়োরিটি দেয়।
আর্থিক অবস্থা- আমার আব্বু সাব ইন্সপেক্টর ছিলেন। খুব বেশি ইনকাম তিনি করেন নি। পারফেক্ট মধ্যবিত্ত লাইফ লিড করেছি আমরা আলহামদুলিল্লাহ। তাঁর সারাজীবনের সঞ্চয় দিয়ে মিরসরাই উপজেলাতে ২ তলা বাড়ি করে দিয়ে গেছেন, ৪টা ফ্ল্যাট, একটায় আমরা থাকি, বাকি ৩টা ভাড়া। অনেক সময়ই  ভাড়ার অভাবে ফ্ল্যাট গুলো খালি থাকে। ভাইয়া এতদিন চাকরি করতো, কিন্তু সে এখন চাকরি ছেড়ে ব্যবসায় মুভ করে। ব্যবসাটা সম্ভাবনাময় বেশ, কিন্তু এই মুহুর্তে অবস্থা খুব একটা ভালো না। তার বিয়ে হয় ২০২২ এ। আমি তখন ৩য় বর্ষে। আমার তখন দ্বীনের বুঝ হয়েছিল আলহামদুলিল্লাহ, কিন্তু বিয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভব হয় নি। মনে হয়েছিলো আমার থেকে ভাইয়ার বেশি প্রয়োজন, তাই তাকে উৎসাহ দিয়েছিলাম। তো ভাইয়ার বিয়েতে লাখ পাঁচেক খরচ হয়ে আমাদের ফান্ড কমে আসে। এরপর ২০২৩ এ বাবুর জন্মের সময়ে আরোকিছু টাকা খরচ হয়। তো সব মিলিয়ে আমাদের ক্যাশ খুব একটা নেই, লাখ খানেক সম্ভবত আছে। বর্তমানে সবকিছুর দাম এতো বেশি  যে কম খরচে বিয়ে করতে চাইলেও এর বেশি টাকা খরচ করতে হবে। অর্থাৎ আমার বিয়ের খরচের জন্য ভাইয়ার ব্যবসার বারকাহর উপর আমরা নির্ভরশীল।
এখন আসি মূল সমস্যায়। ডিপার্ট্মেন্টে মাস্টার্সের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জব করবো না, কনফিডেন্টলি পরিবারকে আগে জানিয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। তারা কোনোরকম মেনে নিয়েছে।  সহশিক্ষা হারাম হিসেবে মানি এবং বুঝি। তাই পরিবারে বলেছি মাস্টার্সে ভর্তি হবো না। তারা এটা মেনে নিচ্ছে না কেউই। সবার এক কথা ভর্তি হয়ে থাকি, ভার্সিটিতে থাকার প্রয়োজন নেই, বাসায় পরিবারের সাথে থাকবো। পরীক্ষার সময় গিয়ে পরীক্ষা দেবো। একাডেমিক পড়া এতো সিরিয়াসলি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কোনোরকমে মাস্টার্স দিলেই তারা খুশি।
এর পাশাপাশি অর্ধেকদ্বীনে বায়ো দেওয়া আছে ২৩ এর জানুয়ারি থেকে। যদি আল্লাহ ভালো পাত্র মিলায়, এমন পাত্র যে এই ফান্ড অনুযায়ীই বিয়েতে আগ্রহী, তাহলে বিয়ে হবে। কিন্তু এই মুহুর্তে কোনো পাত্রকে আমাদের পক্ষ হতে প্রপোজাল পাঠানো সম্ভব নয়, যেহেতু পর্যাপ্ত ক্যাশ নেই হাতে। ব্যবসায় বারাকাহ আসার সম্ভাবনা আছে আল্লাহ চাইলে, যদি আসে,  সাথে সাথেই বিয়ের জন্য প্রপোজাল পাঠানো শুরু করবে।
অর্থাৎ তাদের ইচ্ছা যে, বিয়ে যেহেতু এখনো হয় নি, মাস্টার্সে ভর্তি হয়ে থাকো। নয়তো তাদের মুখ থাকবে না।
আমি খুব দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে আছি । এই মনে হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে গিয়ে ত্যাড়ামি করলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে যাবে অনেক। আবার মনে হচ্ছে আমি মেনে নিতে পারছি না এটা। আবার অনেক ফতোয়ায় রুখসত দেখে মনে হচ্ছে, আমাকে তো ক্যাম্পাসে থাকা লাগছে না। আবার ভার্সিটিও ৭৮ কিলো এর কম দূরত্বে আছে। আপাতত ভর্তি হয়ে বাসায় থাকি, হয়তো এই বছরের মধ্যে ইন শা আল্লাহ দ্বীনি পাত্র মিলে যাবে, বিয়ের ব্যবস্থা করে দিবেন আল্লাহ। তাহলে তো আর মাস্টার্স এক্সামও দেওয়া লাগবে না।
উস্তাদ, এমন পরিস্থিতিতে আমার করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (713,160 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
(১)
জেনারেল শিক্ষা অর্জন সম্পর্কে আমরা ইতি পূর্বে বলেছিলাম যে, 
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।
১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/434

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনি বাসায় থেকে মাস্টার্স কম্পিলিট করার চেষ্টা করবেন। এটাই আপনার জন্য ভালো হবে বলেই মনে হচ্ছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,160 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 239 views
...