আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
120 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ উস্তায।

১)কুরআনে মোট কতটি আয়াতে "হে ঈমানদারগন/হে মুমিনগণ " শব্দটি রয়েছে? সবগুলো আয়াতের নাম্বারের লিস্ট টা দিবেন দয়া করে।সে আয়াত গুলো একসাথে করে পড়তে চাচ্ছিলাম ইনশাআল্লাহ।

২) উস্তায, হজ্জ উমরাহ তে নারীরা মুখে সরাসরি নিকাব ব্যবহার করতে পারেন না।সেক্ষেত্রে ক্যাপ ব্যবহার করে নিকাব ব্যবহার করেন অনেকে। ক্যাপ ব্যবহার করলে নামাযের সময় সিজদাহ্ টা দেয়া যায় না,কপাল মাটিতে টাচ করে না।করনীয় জানাবেন প্লিজ।

৩)সরাসরি নিকাব পরলে কি গুনাহ হবে ইহরাম বাঁধা অবস্থায়?সরাসরি নিকাব টা সবদিক থেকে সেইফ।কোন কিছু দিয়ে মুখ ঢেকে দিলে চোখে দেখে হাঁটতে পারা যায়না।
৪)কোন নারী কি কোন পুরুষ কে কুরআন শিখাতে পারবে?১২ বছরের পর। তার সাথে যদি অন্যান্য নারীরাও থাকেন অর্থাৎ তারা একাকী না।এমতাবস্থায় কি শেখানোর অনুমতি আছে?

ঘটনাটা এমনঃ বিভিন্ন জায়গায় নারীদের কুরআন পড়া নেয়ার অনেক সুযোগ কিন্তু পুরুষের সে সুযোগ নাই।এমনকি ছেলে বাচ্চাগুলোর ও সুযোগ নেই।সেক্ষেত্রে এই ছেলে বাচ্চাগুলো কি করবে?সবাই তো ইমামের কাছে বা বাসায় টিচার রেখে অনেক টাকা দিয়ে হয় পড়তে পারে না,না হয় বাসা থেকে দিবে না।বিভিন্ন কারন।সেক্ষেত্রে ছেলে বাচ্চাগুলোর কুরআন শেখা দ্বীন শেখার জন্য কি নারী টিচার রা অনলাইনে অন্যদের উপস্থিতিতে পড়াতে পারবেন?পড়াতে না পারলে করনীয় কি?পড়াতে পারলে কিভাবে পড়াবে জানানোর অনুরোধ।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) কুরআনের অসংখ্য স্থানে "হে ঈমানদারগণ!" বলে সম্ভোধন করা হয়েছে। আরবী হল يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا 

সুতরাং আপনি কুরআন তিলাওয়াতের সময় খাতা কলম নিয়ে নোট করে নিবেন।


(২)
এটা বিশুদ্ধ যে,মহিলারা ইহরাম অবস্থায় চেহারাকে কাপড়ের স্পর্শ থেকে বাঁচাবে।ফুকাহায়ে কেরাম লিখেন,
والمرأة احرامها في وجهها باتفاق الفقهاء 
এজন্য ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, মহিলারা মাথা ক্যাপ বা এ জাতীয় এমন কিছু বেঁধে নিবে যে,যার উপর দিয়ে মাথা থেকে কাপড় ছেড়ে দিলে উক্ত কাপড় চেহারা কে স্পর্শ না করে নিচের দিকে চলে যাবে।চেহারা বলতে মুখের ঐ অংশ যা অজুতে ধৌত করা হয়ে থাকে।অর্থাৎ কপালের উপরাংশের চুল থেকে নিয়ে থুতনি পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে অন্য কানের লতি পর্যন্ত।(কিতাবুল ফাতাওয়া-৪/৩৭)

প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
ইহরাম অবস্থায়ও মহিলাদের চেহারার পর্দা করার বিধান রয়েছে- ইহরাম অবস্থায় চেহারায় কাপড় লাগানো নিষেধ। তবে চেহারা ঢাকা নিষেধ নয়। হযরত আয়েশা রা. থেকে বার্ণিত আছে, তিনি বলেন-
كَانَ الرُّكْبَانُ يَمُرُّونَ بِنَا وَنَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُحْرِمَاتٌ، فَإِذَا حَاذَوْا بِنَا سَدَلَتْ إِحْدَانَا جِلْبَابَهَا مِنْ رَأْسِهَا عَلَى وَجْهِهَا فَإِذَا جَاوَزُونَا كَشَفْنَاهُ.
ইহরাম অবস্থায় আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে ছিলাম। লোকেরা যখন আমাদের পাশ দিয়ে যেত তখন আমরা আমাদের চাদর মাথায় সামনে ঝুলিয়ে দিতাম। আর চলে যাওয়ার পর তা সরিয়ে ফেলতাম। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৮৩৩)

এ হাদীস থেকেই বুঝা যায় যে,ইহরাম অবস্থায় চেহারা ঢাকার গুরুত্ব রয়েছে।

হজ্বের মৌসুমে মহিলাগণের দায়িত্ব হল,যথাসম্ভব পর্দায় থাকা এবং পুরুষদের দায়িত্ব হল,নিজ নিজ চোখের হেফাজত করা। সুতরাং ক্যাপ বা হ্যাট জাতীয় কিছু মাথায় লাগিয়ে চেহারাকে ঢেকে নেওয়াই উত্তম হবে। অবশ্য রাস্তায় চলাচলের সময় অথবা বেশি ভিড়ের মধ্যে প্রয়োজনে চেহারা খোলারও অবকাশ আছে। আর কারো জন্য যদি কোনো কারণে ক্যাপ ব্যবহার করা কষ্টকর হয়ে যায় তাহলে তার জন্য ছাড় গ্রহণের অবকাশ থাকবে ইনশাআল্লাহ। অবশ্য সতর্কতামূলক এজন্য ইস্তিগফার করতে থাকবে।
-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ১৪৫৩৯; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৪৯৯; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৮৬; মানাসিক, মোল্লা আলী আলকারী পৃ.১১৫

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3872


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ক্যাপ পরিহিত অবস্থায় নামায পড়তে কষ্টকর হলে, এবং অাশপাশে গায়রে মাহরাম লোক থাকলে তখন ক্যাপের পরিবর্তে নেকাব পরিধান করে নামায পড়া যাবে।

(৩) ইহরাম অবস্থায় সরাসরি নেকাব পরিধান করা যাবে না।

(৪) যদি ঐ এলাকায় কোনো পুরুষ শিক্ষক না থাকেন,তাহলে ফিতনার আশংকা না থাকলেই কেবল ১২ বছরের উপরের কাউকে কুরআন পড়ানো যাবে। তবে মসজিদের ইমাম মুওয়াজ্জিনের নিকট কেন কুরআন পড়া পসিবল না,সেটা বোধগম্য হচ্ছে না। ইমাম মুওয়াজ্জিনের নিকট কুরআন পড়াই সর্বদিক থেকে সবচেয়ে নিরাপদ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 333 views
...