আস্সালামুআলাইকুম হুজুর,,,,,,,,,,,,
একজন যুবক সাহাবী ফজরের নামাজ শেষে উপার্জন শুরু করতেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে দারসে বসার, ইলম অর্জনের এতো সময় পেতেন না।
.
বাকি সাহাবী ঐ যুবক সাহাবীর জন্য আফসোস করে বললেন, "ইশ! সে যদি তার যৌবন ও কর্মতৎপরতা আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করতো!"
.
রাসূলুল্লাহ সা. তাঁর সাথে বসা সাহাবীদেরকে সতর্ক করে বললেন, "তোমরা এরকম বলো না। কেননা, যদি সে মানুষের কাছে হাত পাতা থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য কাজকর্ম করে, তবে সে আল্লাহর রাস্তায়ই রয়েছে। আর যদি সে নিজের বৃদ্ধ পিতা-মাতা ও দুর্বল শিশুদের জন্য কাজকর্ম করে যাতে অভাবগ্রস্থ না হয়, তবুও সে আল্লাহর রাস্তায়ই রয়েছে।"
.
একজন মুমিনের হালাল উপার্জনের জন্য সময় দেয়াটাও 'আল্লাহর রাস্তায় সময় দেয়া'।
.
ঈসা আলাইহিস সালাম দেখলেন একজন ব্যক্তি সারাক্ষণ ইবাদাত করে, কিন্তু উপার্জনের চিন্তা করে না। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করেন, "তুমি কী কাজ করো?"
.
সে বললো, "আমি শুধু আল্লাহর ইবাদাতই করি।"
ঈসা আ. জিজ্ঞেস করলেন, "তোমার ভরণ-পোষণ কে করে?"
সে বললো, "আমার ভাই।"
এটা শুনে ঈসা আ. বললেন, "তাহলে তো দেখছি তোমার ভাই তোমার চেয়ে বেশি ইবাদাত করে!"
.
ইমাম গাযালির 'ইহইয়াউ উলুমুদ্দীন' থেকে
১)এই হাদীসটিকি সত্য ?
২)প্রতিদিন আমাকে ওয়েবডেভেলোপমেন্টের জন্য ৮ ঘন্টা সময় দিতে হয় (মূলত আমি এটা করছি নিজের বাবা মায়ের আশা পূর্ণ করতে + অসহায় গরিব অভাবীদের পাশে দাঁড়াতে যেন পারি সেজন্যই এটা করছি ,দুনিয়াবী কোনো উদ্দেশ্য নেই আমার এখানে , আমার নিজের বিন্দুমাত্র চাওয়া নেই )যারফলে আমি নফল ইবাদত গুলো করতে পারিনা ,এমনকি নফল রোজা গুলোও না ,প্রতি সোমবারে আমার রোজা দেওয়ার খুবই ইচ্ছা ,কিন্তু সেদিনগুলোতে রোজা থাকলে আমার অনেক মাথা ঘুরে খুব দুর্বল লাগে ঘুম পায় ,যারফলে কোথাও মনোযোগ দিতে পারিনা কাজ করতে পারিনা সালাতও ভালোভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারিনা,তো আমিওকি এই হাদিসের মতো ফজিলত পেতে পারবোনা ? নাকি আমি এটার পিছনে সময় দিচ্ছি বলে নফল ইবাদতের জন্য আল্লাহর কাছে কম পছন্দের থাকবো ?
৩)নবীজী সাঃ এর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে কি কি করতে পারি? আমি তাকে ভালোবাসি সেটা মুখে না বলে কিভাবে প্রমান করবো আমরা যে আমরা তাকে অনেক ভালোবাসি ভালোবাসতে চাই ?