ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সুদ,মদ,শুকুর ব্যতীত অন্যান্য বিষয়ে মূল কাজ বৈধ হলে তা করা যাবে।যেমন গির্জায় ঝাড়ু দেওয়া, ইত্যাদি। কেননা শুধুমাত্র ঝাড়ু দানের কাজ অবৈধ নয়।তাই উক্ত ঝাড়ু দানের কাজ অবৈধ হবে না,চায় তা কোনো গির্জা বা অনৈসলামিক স্থানেই হোক না কেন? যেমন ফাতাওয়া শামীতে বর্ণিত আছে,
ﻭﻟﻮ ﺁﺟﺮ ﻧﻔﺴﻪ ﻟﻴﻌﻤﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﻜﻨﻴﺴﺔ ﻭﻳﻌﻤﺮﻫﺎ ﻻ ﺑﺄﺱ ﺑﻪ ﻷﻧﻪ ﻻ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﻓﻲ ﻋﻴﻦ ﺍﻟﻌﻤﻞ
যদি কেউ কোনো গির্জায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে,অথবা টাকার বিনিময়ে গির্জা নির্মাণ করে দেয়, তাহলে এতে তার কোনো গুনাহ হবে না। কেননা এখানে মূল কাজে কোনো গুনাহ নাই।(রদ্দুল মুহতার,৬/৩৯২)
وصح بيع غير الخمر و مفاده صحة بيع الحشيشة الخ
মদ ব্যতীত অন্যান্য নেশদ্রব্য বিক্রি করা বৈধ,সারমর্ম হলঃ হাশীশ (একপ্রকার তামাক দ্রব্য) বিক্রিও বৈধ।(রদ্দুল মুহতার,৬/৪৫৪)
(ফাতাওয়ায়ে উসমানী, ৩/৮৯,তে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।তানক্বিহু ফাতাওয়াল হামিদিয়্যাহ,৬/৩৬৬,মাজ্বমুআতুল ফাতাওয়া,২/২৭,ফাতাওয়া রশিদিয়্যাহ, ৪৮৮,ক্বিফায়াতুল মুফতী, ৯/১৪৮)
তবে নাজায়েয কাজে সহযোগিতা করার প্রয়োজন হলে, সেই কাজ জায়েয হবে না।
কুরআনে কারীমে আল্লাহ তা'আলা ঘোষণা দিয়েছেন,
ﻭَﻻَ ﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻹِﺛْﻢِ ﻭَﺍﻟْﻌُﺪْﻭَﺍﻥِ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍْ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺷَﺪِﻳﺪُ ﺍﻟْﻌِﻘَﺎﺏِ
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।(সূরা-মায়েদা-২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপরার স্বামীর পূর্বের চাকুরীই তুলনামূলক ভালো ছিলো। যেহেতু এখানে হরহামেশাই এমন অবৈধ কর্মকান্ড চোখের সামনে হতে থাকবে, তাই আপনার স্বামীর উচিৎ এমন কোনো চাকুরীর সন্ধান করা, যেখানে অবৈধ ও নাজায়েয কাজ চোখের সামনে থাকবে না,এবং তাতে কোনো প্রকার সহযোগিতারও প্রয়োজন পড়বে না। যেহেতু আপনার স্বামীর মূল কাজ সিকিউরিটি দেওয়া, মদ স্পর্শ করা বা গানবাজনাতে শরীক হওয়া লাগছে না, তাই উনার জন্য উক্ত চাকুরী হারাম না হলেও পরিবর্তন করে নেয়াই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ।