আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
উস্তাদ আমার স্বামী সম্প্রতি সরকারি চাকুরী ( আর্মি) থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এখন উনি রেডিসন, লা মেরিডিয়ানের মতো একটি ফাইভ স্টার হোটেলের সিকিউরিটি এজেন্সিতে আছে। স্বাভাবিকভাবেই ঐ হোটেলে নানান টাইপের মডার্ন মানুষ জন যায়। সেখানে একেকদিন ৫-৬ লাখ বা আরও বেশি টাকার মদ বিক্রি হয়। মদের বোতল থেকে ফেরত আসা মদ আমার স্বামীর উপস্থিতিতেই নষ্ট করা হয়।
আবার  সেখানে বিভিন্ন কনসার্ট হয়, সেখানেও উনাকে কদাচিৎ ডিউটি করতে হয়। সেদিন ফ্যাশন শো ছিলো, সেখানে ডিউটি করতে হয়েছে কিছুক্ষণ। বিষয়টা এমন কানে গান আসবে, চোখের সামনে অর্ধোলঙ্গ নারী থাকবে, অন্তরে আল্লাহর ভয় থাকলে তাকাবেনা। বস, জুনিয়র স্টাফ মেয়ে আছে। ওদের ড্রেসাপ অফিশিয়াল পুরুষদের মতোই।
এমন স্থানে চাকুরি করলে উনার চাকুরি  শতভাগ হালাল হবে?
হারাম হালাল বিবেচনায় তাগুত সরকারের চাকুরি ছেড়েছিলেন, এখন আমি চিন্তিত। হোটেলের বেশিরভাগ ইনকাম মদ থেকে আসেনা। কারণ সেখানে রুম ৩০০+ খাবার দাবার আছে। যেহেতু বাংলাদেশেই, তাই প্রায় সব খাবার ই হালাল। সুতরাং ইনকাম মূলত হোটেল বিজনেস থেকে আসে।

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সুদ,মদ,শুকুর ব্যতীত অন্যান্য বিষয়ে মূল কাজ বৈধ হলে তা করা যাবে।যেমন গির্জায় ঝাড়ু দেওয়া, ইত্যাদি। কেননা শুধুমাত্র ঝাড়ু দানের কাজ অবৈধ নয়।তাই উক্ত ঝাড়ু দানের কাজ অবৈধ হবে না,চায় তা কোনো গির্জা বা অনৈসলামিক স্থানেই হোক না কেন? যেমন ফাতাওয়া শামীতে বর্ণিত আছে,
ﻭﻟﻮ ﺁﺟﺮ ﻧﻔﺴﻪ ﻟﻴﻌﻤﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﻜﻨﻴﺴﺔ ﻭﻳﻌﻤﺮﻫﺎ ﻻ ﺑﺄﺱ ﺑﻪ ﻷﻧﻪ ﻻ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﻓﻲ ﻋﻴﻦ ﺍﻟﻌﻤﻞ
যদি কেউ কোনো গির্জায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে,অথবা টাকার বিনিময়ে গির্জা নির্মাণ করে দেয়, তাহলে এতে তার কোনো গুনাহ হবে না। কেননা এখানে মূল কাজে কোনো গুনাহ নাই।(রদ্দুল মুহতার,৬/৩৯২)
وصح بيع غير الخمر و مفاده صحة بيع الحشيشة الخ
মদ ব্যতীত অন্যান্য নেশদ্রব্য বিক্রি করা বৈধ,সারমর্ম হলঃ হাশীশ (একপ্রকার তামাক দ্রব্য) বিক্রিও বৈধ।(রদ্দুল মুহতার,৬/৪৫৪)

(ফাতাওয়ায়ে উসমানী, ৩/৮৯,তে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।তানক্বিহু ফাতাওয়াল হামিদিয়্যাহ,৬/৩৬৬,মাজ্বমুআতুল ফাতাওয়া,২/২৭,ফাতাওয়া রশিদিয়্যাহ, ৪৮৮,ক্বিফায়াতুল মুফতী, ৯/১৪৮)

তবে নাজায়েয কাজে সহযোগিতা করার প্রয়োজন হলে, সেই কাজ জায়েয হবে না।
কুরআনে কারীমে আল্লাহ তা'আলা ঘোষণা দিয়েছেন,
ﻭَﻻَ ﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻹِﺛْﻢِ ﻭَﺍﻟْﻌُﺪْﻭَﺍﻥِ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍْ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺷَﺪِﻳﺪُ ﺍﻟْﻌِﻘَﺎﺏِ
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।(সূরা-মায়েদা-২)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপরার স্বামীর পূর্বের চাকুরীই তুলনামূলক ভালো ছিলো। যেহেতু এখানে হরহামেশাই এমন অবৈধ কর্মকান্ড চোখের সামনে হতে থাকবে, তাই আপনার স্বামীর উচিৎ এমন কোনো চাকুরীর সন্ধান করা, যেখানে অবৈধ ও নাজায়েয কাজ চোখের সামনে থাকবে না,এবং তাতে কোনো প্রকার সহযোগিতারও প্রয়োজন পড়বে না। যেহেতু আপনার স্বামীর মূল কাজ সিকিউরিটি দেওয়া, মদ স্পর্শ করা বা গানবাজনাতে শরীক হওয়া লাগছে না, তাই উনার জন্য উক্ত চাকুরী হারাম না হলেও পরিবর্তন করে নেয়াই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,260 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...