আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
112 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু শায়েখ।  আমার প্রশ্ন টা বুঝতে হলে আগে আমাকে প্রথম থেকে বিস্তারিত বলতে হবে, আর জানাটা জরুরিও, তাই প্রথমেই লেখাটা দীর্ঘ হওয়ার জন্য মাফ চাচ্ছি শায়েখ। তাও অনুরোধ একটু সময় নিয়ে পড়বেন দয়াকরে!!
ছোটবেলা থেকে আমি আমার পরিবারে প্রবলেম দেখে আসছি।  ফ্যামিলি প্রবলেম যাকে বলে৷ আমার আব্বু চাচ্চু তারা পাচ ভাই তার মাঝে আমার আব্বু দুই নাম্বার।  আর আমার সব চাচ্চুরই বিয়ে হয়ে গেছে শুধু একজন বাদে তিনি হলেন আমার ছোট চাচ্চু। তো আমাদের সবাই মিলেই হলো একটা যৌথ পরিবার যেটাকে বলে আরকি বাট আমার আব্বু আর আমার বড় চাচ্চু শুধু এক বাড়িতে থাকি আর নাহলে সবাই ভিবিন্ন কারনে অন্য জায়গায় থাকেন। কোনো বিশেষ দিন বা অনুষ্ঠান হলে সবাই এক হয়,আশা করছি বুঝতে পারছেন এমনি আলাদা থাকলেও আমরা একসাথে ছিলাম।  তো যেহেতু আমার বড় চাচ্চু আর আমার আব্বু মানে আমরা একসাথে ছিলাম তো প্রবলেম টা আমাদের মধ্যেই হতো। আগেই বলি যে আমার আব্বু বিদেশে থাকেন বাট অবস্থা ততো ভালো না, প্রবাসি যাকে বলে,আর আমার বড় চাচ্চু দেশে চাকরি করেন তাও বেতন এতো বেশি ভালো না । তো আমাদের এই পরিবারের সব থেকে বেশি যেটা নিয়ে প্রবলেম হতো সেটা হলো (টাকা)।  প্রশ্ন হলো আমার আব্বু বিদেশে থাকেন বেশি টাকা কেনো দিতে পারেননা। আমার আব্বু হয়তো টাকা জমাচ্ছে এসব নিয়েই আরকি ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি।  তো আরেকটা প্রবলেম হলো আমার আম্মু।  আমার দাদি বলেন আমার আম্মু নাকি আব্বুকে বশ করেছেন বা বুলিয়ে বালিয়ে রেখেছেন, যাতে পরিবারে টাকা না দেয়। বাট আল্লাহর কসম শায়েখ আমি ওনার মেয়ে, আমি জানি আমার আম্মু কখনোই আমার আব্বুকে এমন বলেননি যে টাকা জমাতে হবে পরিবারকে দিওনা।  যাইহোক তো আরেকটা প্রবলেম হলো আমার আম্মু সিলাইয়ের কাজ জানতেন তাই ছোটবেলা থেকে আম্মু আমাকে কাপড় সিলাই করে দিতেন আমার ড্রেস কিনতে হতো না, আর এর মাধ্যমে আম্মু কিছু ইনকামও করতেন সিলাই কাজ করে। আর আমাদের পড়ার খরচ যেমন খাতা কলম বা  পরিক্ষার বেতন ইত্যাদি দিতে পারতেন। তো এখানে আমার  পরিবারেও সমস্যা যে আমার আম্মু সিলাই কাজ করে নাকি সংসারের কাজ করেন না ইত্যাদি।  আর এই সংসারের কাজ নিয়েই প্রবলেম হতো, যেহেতু আমার বড় চাচি আমার আম্মুর বড় জা তাই আমার বড় চাচি সবসময়ই আম্মুর ভুল ধরতেন এবং আমার দাদিকে বলতেন। এ নিয়েই আরকি প্রায়ই পরিবারে জামেলা হতো যে আম্মু পরিবারে কাজ করেননা ইত্যাদি ছোট  বেলা থেকেই। বাট আমি বা আমরা ভাইবোন আজ আমার বয়স ১৮,এসব নিয়ে আমি বা আমরা কখনোই আমার বড় চাচির সাথে তর্কাতর্কি করিনি আমরা নর্মালি সবার সাথেই কথা বলতাম, যেহেতু ঝগড়াটা আমার আম্মুর সাথে আমাদের বাচ্চাদের এখানে রিয়েক্ট করাটা উচিত না তাইনা তো আমরা কিছু বলতামনা এখনো বলিনা।  আর দাদি আমাদের ভালোবাসতেন । এতো কিছুর পরেও সবাই হাসিখুশিতেই চলতেন আমি বলবো যেটাকে কৃত্রিম হাসি বলে আরকি।  তো শেষ পর্যন্ত এসব অনেক জামেলার কারনে একটা সময় আমাদের আলাদ হয়ে যাই, আমাদের নতুন করে ছোট্ট একটা দুই রোমের ঘর বানাই আপাতত ওইখানেই আছি , আর আমার আব্বুর বেতনটাও  ভালো না, আমার আম্মু সিলাই কাজ করে আর আব্বুর বেতন দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ আমাদের সংসারটা ভালোই চলছে।  এর  মাঝেই অনেক জামেলা হইছে যা বিস্তর, লিখে বলা যাবেনা। এতো সব পর পরিস্থিতি ঠিক হয়, সব কিছুটা স্বাভাবিক হয়, দাদিও আমাদের ঘরে এসে রাতে ঘুমাতেন কারন আমাদের ঘরে শুধু আমি আর আম্মু থাকতাম একা, আর আমার ভাই দুইটা মাদ্রাসায়।   তো সেদিন একটা জামেলা হইছে, প্রায় এক মাসের কাছাকাছি , তাও আমার আম্মুর সাথে আমার বড় চাচ্চুর।  আর আমাদের বাড়ির একটা প্রচলিত কথা আছে যে, দেবর বা বাসুর নাকি ভাইয়ের বউকে মারত পারবে, কাটতে পারবে, একটু আতটু গালাগালিও করতে পারবে এতে কিছু হয়না বা ভাইয়ের বউ দেবর বাসুরের  মুখের উপর কথা বলা উচিত না।  যদিও আমি আজও জানিনা এই কথার মানে কি। আর হাদিসে পড়েছিলাম যে দেবর, বাসুর মৃত্যুর সমতুল্য। যেটা আমার  আম্মুও মানেন।তো সেদিন যে একটা জামেলা হয়, ছোট্ট একটা বিষয় নিয়ে, এতে আমার বড় চাচ্চু কিছু গালাগালি করেন আমার আম্মুকে,আর আমার দাদিও আমার আম্মুর বিপক্ষে কথা বলছিলেন যে আমার বড় চাচ্চুর মুখের উপর কথা বলছেন ইত্যাদি।  তো একটা সময় আমার দাদি বলছেন যে আমার আম্মু নাকি আব্বুকে জাদু করেছেন ইত্যাদি এসব নিয়ে তাদের মাঝে অনেক তর্কাতর্কি হয়েছে। তার এক পর্যায়ে আমার ছোট চাচ্চু যার বিয়ে হয়নি ওনি একটা কারনে রেগে আমাদের ঘরে আসেন আম্মুকে মারার জন্য আম্মুকে না পেয়ে আমাদের ঘরে আঘাত করেন এবং এতে আমাদের ঘরের কিছু ক্ষতিও হয়।  তো একটা সময় পরিস্থিতি কিছুটা ঠিক হয়, আর আশা করছি এতে আমার বা আমাদের ছেলেমেয়েদের মনের পরিস্থিতি কি হতে পারে বুঝতে পারছেন শায়েখ।  তাও বলি আমি জামেলায় কোনো কথা বলিনি কারোর পক্ষেও কথা বলিনি উল্টো আমি আম্মুকে কথা না বলার জন্য অনুরোধ করছিলাম।  আর সত্যি বলতে এসব জামেলায় আমার কোনো কথা বলতে ভালো লাগেনা আমার এসব জামেলাই ভালো লাগেনা।  তাও ছোট বেলা থেকে আমাকে এসব জামেলা দেখতে হয়েছে।  যাইহোক,এই ঘটনার পর দাদু আমাদের ঘরে আর আসেন না।  আর এই প্রথম আমিও আমার ছোট চাচ্চুর সাথে কথা বলিনা, বা দাদির সাথে এক কথায় আমি আমার বড় চাচ্চুর ঘরে যাইনা।  যেহেতু আমার ছোট চাচ্চু আর দাদি বড় চাচ্চুর ঘরে থাকেন তাই তাদের ঘরে না যাওয়ায় তাদের সাথেও আমার কথা হয়না, এতে আমার দাদি মনে করেন যে আমি দাদির সাথে এই জামেলার কারনে কথা বলিনা বা বড় চাচ্চুর ঘরে যাইনা। বাট শায়েখ আল্লাহর কসম এমন কোনো কিছুই আমার মনে নাই।  আমি দাদির সাথে বা কারোর সাথেই আমি রাগ করিনি বা রাগ করে তাদের ঘরে যাইনা এমনটা না, আল্লাহর কসম এমন কিছুই না।  কারন আমি তাদেরকেও আমার পরিবার মনে করি, তারা তো আমার পরিবারই আর আল্লাহর কসম আমি তাদের ভালোওবাসি মন থেকে, I love my family ।  বাট এমনিই আমার পর্দার কারনে বেশি ঘর থেকে বের হইনা বেশি না বলতে গেলে বেরও হইনা। আর জামেলার আগেও আমি দরকার ছাড়া বড় চাচ্চুর ঘরে যেতাম না। এখন দরকারও পড়েনা তাই, বাট তারা মনে করে আমি আম্মুর পক্ষ নিয়েই এরকম করছি। আর আজ একদিন হলো আমার ছোট ফুফু বাপের বাড়ি এসেছেন বেড়াতে মানে বড় চাচ্চুর ঘরে। তো সবসময়ই আমার যে কোনো ফুফু আসলে আগে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলতাম ভালো খারাপ জিজ্ঞেস করতাম আর এটাই আমাদের পরিবারে নিয়ম ছিলো।  বাট এইবার ফুফু আসছেন একদিন হয়ে গেছে আমি বড় চাচ্চুর ঘরেও যাইনি আর ফুফুর সাথেও কথা বলিনি। আর এই এক মাস দাদির সাথেও কথা বলিনি। বাট শায়েখ বিশ্বাস করেন আমার মনে অন্য কিছু ছিলোনা বা রাগ এরকম কিছুই ছিলোনা।  তাও আমি কেনো আমার ফুফুর সাথে কথা বলিনি বড় চাচ্চুর ঘরে যাইনা বা দাদির সাথে কথা বলিনা আমি জানিনা বাট রাগ করে কথা বলিনা এমন না শায়খ। আর শায়েখ তারা আমার আপন ফুফু হলেও কেনো জানিনা তাদের সাথে কথা বলতে আমার কণফর্টেবল ফিল করিনা, মানে মনে হয় যেনো আমি বাইরের কারোর সাথে কথা বলছি। তাদের সাথে আমি ফ্রিলি কথা বলতে পারিনা। আমার বড় চাচ্চুর মেয়ে মানে আমার চাচাতো বোনেরা অনেক সুন্দর সব ফুফুদের সাথে গল্প করেন মা শা আল্লাহ।  দেখতেও ভালো লাগে।  আমি কেনো পারিনা জানিনা,যদিও তার অনেক কারন আছে নাই বললাম কারন লেখাটা বড় হয়ে যাবে।  তো এখন শায়েখ আমার প্রশ্ন হলো এইযে আমি এতদিন আমার দাদির সাথে কথা বলিনি, বা আমার ফুফুর সাথে কথা বলিনি এতে কি আমার গোনাহ হবে!? একটা হাদিস পড়েছিলাম যে " আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবেনা "।  তাহলে কি শায়েখ এই হাদিসটা আমার উপরেও আসবে।  আমার কি করা উচিত শায়েখ, আমার কি দাদির কাছে মাফ চাওয়া উচিত এইযে আমি কথা বলিনি , বা আমার ফুফুর কাছে কি মাফ চাওয়া উচিত।  আমি অনেক ভয়ে আছি বুঝতে পারছিনা কি করবো, আমি কি আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারি হয়ে যাবো।  শায়েখ আল্লাহ কি আমাকে মাফ করবেন!?  আমার কি করা উচিত শায়েখ!?
প্লিজ শায়েখ একটু জানাবেন আমাকে, আমি উপেক্ষা করবো।
প্রশ্নটা এতো লম্বা হওয়ার জন্য আবারও মাফ চাইছি শায়েখ পুরো বিষয়টা বুঝানোর জন্যই লিখতে হলো। আফওয়ান ।
জাযাকাল্লাহু খাইরান শায়েখ।

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছে-


عَنْ مُحَمَّدِ، بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعٌ " . قَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ قَالَ سُفْيَانُ يَعْنِي قَاطِعَ رَحِمٍ .

 

জুবায়র ইবনু মুতঈম (রাঃ) থেকে বর্ণিত যেনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ চ্ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। ইবনু আবূ উমর (রহঃ) বলেনসুফিয়ান বলেছেনঅর্থাৎ আত্নীয়তা সম্বন্ধ ছিন্নকারী। (সহীহ মুসলিম ৬২৮৯)


حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لَا تَبَاغَضُوا، وَلَا تَحَاسَدُوا، وَلَا تَدَابَرُوا، وَكُونُوا عِبَادَ اللَّهِ إِخْوَانًا، وَلَا يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلَاثِ لَيَالٍ

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা পরস্পরকে ঘৃণা করো না, পরস্পর হিংসা করো না, একে অপরের গোয়েন্দাগিরী করো নাম বরং আল্লাহর বান্দারা পরস্পর ভাই ভাই হয়ে যাও। যে কোনো মুসলিমের জন্য তার কোনো ভাইয়ের সঙ্গে তিন দিনের বেশী সম্পর্ক বিচ্ছেদ করা জায়িয নয়।
(আবু দাউদ ৪৯১১)
,
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، يَلْتَقِيَانِ فَيُعْرِضُ هَذَا، وَيُعْرِضُ هَذَا، وَخَيْرُهُمَا الَّذِي يَبْدَأُ بِالسَّلَامِ

আবূ আইয়ূব আল-আনসারী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মুসলিমের জন্য তার কোনো ভাইয়ের সঙ্গে (ঝগড়া করে) তিন দিনের বেশী সম্পর্ক ছিন্ন করে থাকা বৈধ নয়। দু’ জন পথিমধ্যে মুখোমুখি হলে একজন এদিকে এবং অপরজন অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এ দু’ জনের মধ্যে যে প্রথমে সালাম দেয় সে-ই উত্তম।।
(আবু দাউদ ৪৯১১)
,
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ السَّرْخَسِيُّ، أَنَّ أَبَا عَامِرٍ، أَخْبَرَهُم حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ هِلَالٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا يَحِلُّ لِمُؤْمِنٍ أَنْ يَهْجُرَ مُؤْمِنًا فَوْقَ ثَلَاثٍ، فَإِنْ مَرَّتْ بِهِ ثَلَاثٌ، فَلْيَلْقَهُ فَلْيُسَلِّمْ عَلَيْهِ، فَإِنْ رَدَّ عَلَيْهِ السَّلَامَ فَقَدِ اشْتَرَكَا فِي الْأَجْرِ، وَإِنْ لَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ فَقَدْ بَاءَ بِالْإِثْمِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো ঈমানদারের জন্য বৈধ নয়, সে কোনো ঈমানদারের সঙ্গে তিন দিনের বেশি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন রাখবে। অতঃপর তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পর উভয়ে দেখা হলে একজন সালাম দিলে এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি তার সালামের উত্তর দিলে উভয়ই সালামের সাওয়াব পাবে। আর দ্বিতীয়জন সালামের উত্তর না দিলে গুনাহগার হবে। ইমাম আহমাদ এর বর্ণনায় রয়েছেঃ সালামদাতা সম্পর্কচ্ছেদের গুনাহ থেকে মুক্ত হবে।
(আবু দাউদ ৪৯১২)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কথা বলা বন্ধ রাখা জায়েজ হয়নি। আপাতত "সালাম দেয়া" চালিয়ে যাওয়া আবশ্যক ছিলো।

সুতরাং এখন আপনার জন্য করনীয় হলো,তারা সামনে পড়লে তাদের সাথে কথাবার্তা বলা।
যদি তারা আপনার সাথে কথা না বলতে চায়,সেক্ষেত্রে আপনি আপাতত সালাম চালিয়ে যাবেন।
তারা সালামের জবাব না দিলেও আপনি "সালাম প্রদান" অব্যাহত রাখবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (6 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। 
যদি ঘরের ছোট ছেলের বউ বড় ছেলের বউকে ছোট করে তার নামে সবার কাছে বদনাম ছড়ায় তার দোষ থাকার পরও।  এর জন্য পরিবারের সবাই বড় বউয়ের সাথে খারাপ আচরণ করে তাকে খারাপ জানে তার থেকে তার মতামত জানার চেষ্টা করে না। আর এটা এতো মারাত্মক পর্যায়ে চলে যায় যে ছোট বউ বড় বউকে নিজের বাচ্চাকে বদনজর দিয়ে  মেরে ফেলছে বলে সবার কাছে দোষারোপ করে আর  বিনিময়ে বড় বউ শুধু চুপ থাকে সব সহ্য করে আল্লাহর কাছে  উত্তম কিছুর আসায়। এতে ছোট ছেলের বউ বড় ছেলের বউয়ের সাথে কথা বলাও বন্ধ করে দেয় তাহলে বড় বউয়ের কি করা উচিত? 
বি.দ্র- বড় বউ ছোট বউকে দেখার সাথেই সাথেই সালাম দিয়েছে কিন্তু এছাড়া দরকার না হলে কথা বলা হয়না তাদের টোটালি কথা বলা বন্ধ। 
by (677,120 points)
এক্ষেত্রে আপাতত সালাম প্রদান করা উচিত।
by
একই বাসায় থাকলে কি বারবার সালাম দিতে হবে?
নাহলে এক্ষেত্রে কি করা উচিত?  
by (677,120 points)
যখন সামনা-সামনি দেখা হবে,তখন সালাম দিবেন।
by
হুজুর বাসায় তো ২৪ ঘন্টায় সামনাসামনি দেখে হয় অনেক বার তখন কি করব?
by (677,120 points)
এক্ষেত্রে পরামর্শ হলো, সকাল,দুপুর,রাত কমপক্ষে তিনবার সালাম দেয়ার চেষ্টা করবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...