জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো কারো নিকট বান্দার হক পাওনা থাকলে,প্রথমে উক্ত হক পরিশোধের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে।সাধ্যমত চেষ্টা করার পরও যদি সেই হককে আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে উক্ত প্রাপ্য হক্বকে সেই ব্যক্তির পক্ষ থেকে সদকাহ করে দিবে।এবং আল্লাহ তা'আলার নিকট খালিছ নিয়তে তাওবাহ করবে। আল্লাহ তা'আলা কারো প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে গেলে নিজ পক্ষ থেকে বান্দার হককে আদায় করে দিবেন।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
ﻭَﻟَﻤَﻦِ ﺍﻧْﺘَﺼَﺮَ ﺑَﻌْﺪَ ﻇُﻠْﻤِﻪِ ﻓَﺄُﻭْﻟﺌِﻚَ ﻣَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢ ﻣِّﻦ ﺳَﺒِﻴْﻞٍ ، ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﺴَّﺒِﻴﻞُ ﻋَﻠَﻰْ ﺍﻟّﺬِﻳْﻦَ ﻳَﻈْﻠِﻤُﻮﻥَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ ﻭَﻳَﺒْﻐُﻮﻥَ ﻓِﻲْ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﺍﻟْﺤَﻖّ ، ﺃُﻭْﻟﺌِﻚَ ﻟَﻬُﻢ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴﻢٌ
নিশ্চয় যে অত্যাচারিত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে, তাদের বিরুদ্ধেও কোন অভিযোগ নেই।
অভিযোগ কেবল তাদের বিরুদ্ধে, যারা মানুষের উপর অত্যাচার চালায় এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।(৪২/৪১-৪২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।
(বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)
বিস্তারিত জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
যেহেতু ঐ মহিলা জীবিত আছেন, আর তার কাছে টাকাটি পৌছে দেয়ার অনেক মাধ্যমও আছে,সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এই টাকা টা সওয়াবের আশা ছাড়া উক্ত মহিলার নামে দান করতে পারবেননা।
আপনি তার বিকাশ/নগদ/রকেট ইত্যাদি একাউন্টে টাকাটি পাঠাতে পারেন,অথবা তাত মোবাইল নাম্বারে ফ্ল্যাক্সিলোড করে দিতে পারেন,অথবা তার ব্যাংক একাউন্টে টাকাটি পাঠাতে পারেন।
(০২)
আপনি যদি সেখান হয়ে কোনো টাকা গ্রহন করে থাকেন,সেক্ষেত্রে মেস এর সদস্য দের নিকট তাহা ফিরিয়ে দিতে হবে,অথবা তাদের থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
(০৩)
হ্যাঁ, দায় মুক্তি হয়েছে।
(০৪)
হ্যাঁ, এমনটি করতে পারেন।
তবে কোনো ব্যাক্তির বিষয় মনে থাকলে টাকাটি দান না করে সেই ব্যাক্তিকেই টাকাটি দিতে হবে।
(০৫)
আপনি পুরো টাকা উত্তোলন করে অতিরিক্ত টাকাটি ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন,এবং আল্লাহর কাছে বাবা মার মাগফিরাত এর জন্য দোয়া করবেন।
সূদের টাকাটি আপনি নিলে আপনার বাবা ও আপনার উভয়েরই গুনাহ হবে।
সূদ গ্রহনের গুনাহ আপনার হবে।
আর সূদী কাজে সহযোগিতার গুনাহ আপনার বাবার হবে।
(০৬)
উপরে উল্লেখিত কোনো টাকাই মসজিদ মাদ্রাসায় দেয়া যাবেনা।
এই টাকা ফকির মিসকিনকে দিতে হবে।
(০৭)
সে সূদ প্রদান করছে। সেতো সূদ গ্রহন করছেনা।
সুতরাং তার বাসায় খাবার খাওয়া যাবে।
হ্যাঁ যদি সে হারাম টাকায় উক্ত ঋন পরিশোধ করে,সেক্ষেত্রে তার অধিকাংশ ইনকাম হালাল না হলে তার বাসায় খাবার খাওয়া জায়েজ হবেনা।
খাবার খেয়ে থাকলে উক্ত খাবার সমপরিমাণ টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।
(০৮)
তার সাথে এমন ভালো ব্যবহার করতে হবে,যাতে সে অন্তর থেকে ক্ষমা করে দেয়।
অনুনয় বিনয় করে ক্ষমা চাইবেন,এক্ষেত্রে কোনো প্রকারের চাপ প্রদান ছাড়াই সে যদি মৌখিক ভাবে ক্ষমা করে,সেক্ষেত্রে আর কোনো সমস্যা থাকবেনা।