আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম

আমার বয়স ২৪। ওজন ৩৫ কেজি, উচ্চতা ৫ ফিট থেকে একটু কম। আমার প্রেশার ৫০/৭০। আমি বিছানা থেকে উঠতেই পারি না, মাথা ঘুরায়, গা গুলায়, খাবার দেখলে বমি আসে। প্রথম প্রেগন্যান্সি তেও এমন ছিল।আমার বিয়ে হয়েছে ২.৫ বছর। আমার দেড় বছরের একজন পুত্র সন্তান আছে। আমার এক দেড় মাস আগে ডেঙ্গু হয়েছিল, হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম অনেক বেশি ব্লিডিং হচ্ছিল। এরপর থেকে শরীর এক ফোঁটা শক্তি অবশিষ্ট নাই। আমার খাওয়ার রুচি ও কম। এক মাস ধরে আমার সন্তান ও অসুস্থ তাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি এমন অবস্থায় আমি অতিরিক্ত বমি এবং অসুস্থ হলে জানতে পারি আমি প্রেগন্যান্ট। বাচ্চার রক্তে ইনফেকশন এবং রক্ত কম, সেই সাথে মুখে ঘা ছিল। বাচ্চা ও খুব দূর্বল হয়ে পরেছে। বাচ্চাকে পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার কথা বলেছেন আলাদা ডায়েট চার্ট করে।
বাচ্চা খাওয়া নিয়ে খুব বিরক্ত করে, সারাদিন কান্নাকাটি, ঘ্যানঘ্যান করে। কারোর কাছে যাই না, নেওয়ার মত ও কেউ নেই। এমন অবস্থায় আমি বিছানা থেকেই উঠতে পারছি না বমি, শরীর দূর্বল, কিছুই খেতে পারি না। পেটে ক্ষুধা, কিন্তু খেতে পারি না। এই বাচ্চা কে দেখাশোনা করা ই আমার জন্য খুব কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। আমি আমার পেটের বাচ্চা নিয়ে খুবই চিন্তিত। আমি বড় টাকে আমার অসুস্থ্যতার জন্য ভালোভাবে দেখাশোনা করতে পারছি না, এতে সে ও আরো দূর্বল হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে বুকের দুধ ও শুকিয়ে গেছে।
আমি নিজের শারীরিক অবস্থা, আমার সন্তানের এবং ভবিষ্যত সন্তানের ব্যাপারে খুবই উদ্বিগ্ন! আমি প্রেগন্যান্ট এক মাস হবে। আমি কাকে বাঁচাবো ? নিজেকে না বড় সন্তানকে? না যে আসতে চলেছে? শরীয়ত কি বলে এখানে? আমি বাচ্চা টা রাখতে চাই না।

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিশেষ কিছু কারণে শরীয়ত অনুমোদন প্রদান করে থাকে।
(ক)বর্তমানে কোলে দুধের একটি শিশু রয়েছে,অপরদিকে উক্ত মহিলার গর্ভাশয়ে নতুন সন্তানও উৎপাদিত হচ্ছে। গর্ভের ধরুন দুধ একেবারে শুকিয়ে গেছে। অপরদিকে উক্ত সন্তানকে অন্যকোনো উপায়ে লালনপালন করা যাচ্ছেনা। মায়ের দুধ ব্যতীত অন্যকিছুতে সে মূখই দিচ্ছে না। এমতাবস্থায় চারমাস হয়নি এমন গর্ভকে গর্ভপাত করা বৈধ রয়েছে।
(খ)কোনো মুসলমান বিজ্ঞ ডাক্তার উক্ত গর্ভবতী মহিলাকে পরিদর্শন করে বলে যে,গর্ভপাত না করলে মহিলার জান বা কোনো অঙ্গ বিনাশের আশঙ্কা রয়েছে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/446

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে যেহেতু গর্ভের সন্তানের বয়স ১মাস, তাই যদি দুইজন মুসলিম ডাক্তার গর্ভপাত করানোর পরামর্শ দেন, অথবা যদি নিজের বা সন্তানের ক্ষতির আশংকা থাকে, তাহলে গর্ভপাত করানো জায়েয হবে। নতুবা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 253 views
...