আসসালামু আলাইকুম
আমার বয়স ২৪। ওজন ৩৫ কেজি, উচ্চতা ৫ ফিট থেকে একটু কম। আমার প্রেশার ৫০/৭০। আমি বিছানা থেকে উঠতেই পারি না, মাথা ঘুরায়, গা গুলায়, খাবার দেখলে বমি আসে। প্রথম প্রেগন্যান্সি তেও এমন ছিল।আমার বিয়ে হয়েছে ২.৫ বছর। আমার দেড় বছরের একজন পুত্র সন্তান আছে। আমার এক দেড় মাস আগে ডেঙ্গু হয়েছিল, হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম অনেক বেশি ব্লিডিং হচ্ছিল। এরপর থেকে শরীর এক ফোঁটা শক্তি অবশিষ্ট নাই। আমার খাওয়ার রুচি ও কম। এক মাস ধরে আমার সন্তান ও অসুস্থ তাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি এমন অবস্থায় আমি অতিরিক্ত বমি এবং অসুস্থ হলে জানতে পারি আমি প্রেগন্যান্ট। বাচ্চার রক্তে ইনফেকশন এবং রক্ত কম, সেই সাথে মুখে ঘা ছিল। বাচ্চা ও খুব দূর্বল হয়ে পরেছে। বাচ্চাকে পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার কথা বলেছেন আলাদা ডায়েট চার্ট করে।
বাচ্চা খাওয়া নিয়ে খুব বিরক্ত করে, সারাদিন কান্নাকাটি, ঘ্যানঘ্যান করে। কারোর কাছে যাই না, নেওয়ার মত ও কেউ নেই। এমন অবস্থায় আমি বিছানা থেকেই উঠতে পারছি না বমি, শরীর দূর্বল, কিছুই খেতে পারি না। পেটে ক্ষুধা, কিন্তু খেতে পারি না। এই বাচ্চা কে দেখাশোনা করা ই আমার জন্য খুব কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। আমি আমার পেটের বাচ্চা নিয়ে খুবই চিন্তিত। আমি বড় টাকে আমার অসুস্থ্যতার জন্য ভালোভাবে দেখাশোনা করতে পারছি না, এতে সে ও আরো দূর্বল হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে বুকের দুধ ও শুকিয়ে গেছে।
আমি নিজের শারীরিক অবস্থা, আমার সন্তানের এবং ভবিষ্যত সন্তানের ব্যাপারে খুবই উদ্বিগ্ন! আমি প্রেগন্যান্ট এক মাস হবে। আমি কাকে বাঁচাবো ? নিজেকে না বড় সন্তানকে? না যে আসতে চলেছে? শরীয়ত কি বলে এখানে? আমি বাচ্চা টা রাখতে চাই না।